পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

মঙ্গলের মত উদ্ধৃত করিয়া তিনি আরও বলিয়াছেন যে সমাধি যেমন আন্তর প্রযত্ন, তেমনি অভ্যাস বাহ্য প্রযত্ন, এই উভয়শক্তির দ্বারা কার্য্য সুসম্পন্ন হইতে পারে। এতদতিরিক্ত আর একটি শক্তি আছে যাকে বলা যায় প্রতিভা। প্রতিভা থাকিলে প্রত্যক্ষদৃষ্ট বস্তুও অপ্রত্যক্ষের ন্যায় হয়, আর প্রতিভা থাকিলে অদৃষ্ট বস্তুও প্রত্যক্ষের ন্যায় হয়। কাব্যমীমাংসার মতে প্রতিভা দুই রকম, কারয়িত্রী ও ভাবয়িত্রী। যে প্রতিভা শিল্পকার্য্যসাধনের অনুকূল হয় তাহাকে বলা যায় কারয়িত্রী। এই কারায়ত্রী প্রতিভা আবার তিনরকম, একটি স্বাভাবিক বা সহজ। ইহার একটী জন্মান্তরের সংস্কারের দ্বারা উৎপন্ন হয়, আর একটী ইহজুন্মের সংস্কারের দ্বারা উৎপন্ন হয়, তাহাকে বলা যায় আহার্য্য, আর একটী তৃতীয়স্তরের প্রতিভাকে বলা যায় ঔপদেশিকী। সহজ প্রতিভায় অল্পমাত্র ইহজন্মের সংস্কারের দ্বারাই কার্য্য নিষ্পন্ন হয়, আর আহার্য্য প্রতিভায় অধিক পরিমাণে ইহজন্মের সংস্কারের প্রয়োজন হয়। এই ত্রিবিধ প্রতিভাসম্পন্ন কবিকে যথাক্রমে সরস্বত, আভ্যাসিক ও ঔপদেশিক বলা হয়। দ্বিতীয় প্রকারের ভাবয়িত্রী প্রতিভার দ্বারা কবির অভিপ্রায় উদ্ভাসিত হয়। এই জাতীয় প্রতিভাসম্পন্ন লোক না থাকিলে কবির কাব্যতরু নিষ্ফল হয়। অনেক লোক আছে যাহাদের রুচি নাই, তাহার কাব্যরস গ্রহণ করিতে পারে না। এতাদৃশ বুদ্ধিকে আরোচকিতা বলে। কেহ কেহ বা কোন জাতীয় জ্ঞানেই এতাদৃশ অনুরক্ত যে কাব্যরস আস্বাদন করিতে পারে না। কেহ