পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

যে মস্তিষ্কের দৈর্ঘ্যকেই তালের প্রমাণ বলিয়া গণ্য করা হইত এবং উত্তরকালে Leonardo da Vinciর গ্রন্থেও দেখিতে পাওয়া যায় যে তিনিও মস্তিষ্কের প্রমাণকেই আদিমানরূপে গ্রহণ করিয়া তাহারই তুলনায় অবয়ববিশেষের মান গ্রহণ করিয়াছিলেন। আমাদের দেশে দ্বাদশাঙ্গুলি পরিমাণকেই ‘তাল’ বলা হইত। মূর্ত্তি বড় হউক বা ছোট হউক অবয়ব-সন্নিবেশে আপেক্ষিক তালের প্রমাণ যথানির্দ্দিষ্টভাবে থাকিলেই তাহা সুসঙ্গত বলিয়া গণ্য হইত। শরীরের ভঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে এই তালের যে পরিবর্ত্তন হয় চিত্রসূত্রে তাহাও নির্দ্দিষ্ট আছে। চিত্রের মধ্যে রেখাসন্নিবেশের দক্ষতাকেই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বলা হইয়াছে।—

“রেখাং প্রশংসন্ত্যাচার্য্যা
বর্ত্তনাং চ বিচক্ষণাঃ।
স্ত্রিয়ো ভূষণমিচ্ছন্তি
বর্ণাঢ্যমিতরে জনাঃ॥”
(চিত্রসূত্র, বর্ত্তনাধ্যায়—বিষ্ণুধর্ম্মোত্তর, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ৩৩৫)

 কিন্তু এই সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষীয় চিত্র বা ভাস্কর্য্যপদ্ধতিতে আর একটি বিশেষ কথা উল্লেখযোগ্য। তৃতীয় চতুর্থ শতক হইতেই ভারতীয় চিত্রকলাপদ্ধতি প্রধানতঃ দ্যোতনামূলক করিবার চেষ্টা চলিয়া আসিতেছিল। দ্যোতনা বলিতে ইংরাজীতে যাহাকে significance বা suggestion বলে তাহাই বুঝি। অর্থাৎ চিত্রের মধ্যে এমন কিছু ভাষা রাখিতে হইবে এমন কিছু