পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৫

মায়াদেবী যখন স্বপ্ন দেখিলেন যে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করিবেন, তখন সেই স্বপ্নে তিনি দেখিলেন যে শ্বেতহস্তীরূপে বুদ্ধ তাঁহার শরীরে প্রবেশ করিতেছেন। ভার্হুটের স্তূপে ইহার যে চিত্র আঁকা হইয়াছে তাহাতে এই হস্তীটি মায়াদেবী অপেক্ষা দীর্ঘায়তন নহে। শুধু ইহাই নহে একটি চিত্রের রচনাপ্রসঙ্গে তরু গুল্মাদির ও অন্যান্য সহচর মূর্ত্তি যখন অঙ্কিত হইত, তখন যদিও প্রত্যেক মূর্ত্তিরই একটি স্বতন্ত্র বিশিষ্টতা দেওয়ার চেষ্টা করা হইত, তথাপি কোনও মূর্ত্তিরই এমন বিশিষ্টতা থাকিত না যাহাতে তাহারা স্বতন্ত্র হইয়া পৃথক্‌ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে। সকলগুলি চিত্র লইয়া এবং তাহাদের বিশিষ্ট অবস্থানসঙ্কেত লইয়া একটি অখণ্ড চিত্রের অখণ্ডভাব যাহাতে দ্যোতিত হইতে পারে, এই ছিল চিত্রীর লক্ষ্য। এইদৃষ্টিতে না দেখিয়া ইয়োরোপীয় রীতিতে ভারতীয় চিত্র বুঝিতে গেলে ভারতীয় চিত্র বোঝা সহজ হয় না। বুদ্ধ ভূমণ্ডলে অবতীর্ণ হইতেছেন ইহা দেখাইবার জন্য চিত্রী হয় ত একটি সোপানাবলি দেখাইয়া তাহার উপর দুই একটি পদচিহ্ন বা পদ্মফুল আঁকিয়া তাঁহার কার্য্য শেষ হইল বলিয়া মনে করিতেন। বুদ্ধের আবির্ভাব বুঝাইবার জন্য তাঁহার শরীর দেখাইবার কোনও প্রয়োজন নাই। বুদ্ধ নামিলেন, সঙ্ঘ নামিলেন, ধর্ম্ম নামিলেন ইহা দেখাইতে তিনটি ধাপ অঙ্কিত করা হইল। উপরের ধাপে একটি পদচিহ্ন এবং নিম্নতম ধাপে একটি পদচিহ্ন দেওয়া হইল, চারিদিকে ভক্তেরা করজোড়ে রহিয়াছেন, দেবযোনিরা উপরে উড়িয়া