পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

প্রত্যক্ষ করিলে তাহাকে আঁকা যায় না। যাহারা কোন মানুষকে মডেল রাখিয়া আঁকে, তাহারা বড়জোর সেই মানুষের তাৎকালিক একটি ভাবমাত্রকে রূপ দিতে পারে, অথচ সেই ভাবটি হয়ত একটি অত্যন্ত অবান্তর ভাব এবং হয়ত তাহা তাহার প্রাণপ্রদ ধর্ম্মের সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রতি মানুষের মনের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে নানা ভাবের উদয় হয় ও বিলয় হয়। হয়ত এমন অনেক ভাবও উদিত হয় যাহা একান্ত অবান্তর এবং আগন্তুক, কিন্তু যে চিত্রী দেখিয়া আঁকে তাহার পক্ষে তাহার আঁকিবার সময়ে যে ভাবটিকে দেখিতে পায় বা অনুমান করে যে দেখিতে পাইল, সে তাহাকেই কোন রকমে চিত্রের মধ্যে ধরিতে চেষ্টা করে। প্রত্যেক উদীয়মান ও বিলীয়মান ভাবের সঙ্গে মুখের অভিব্যক্তি, দৃষ্টির অভিব্যক্তি পরিবর্ত্তিত হইতে থাকে। এই অজস্র পরিবর্ত্তনের মধ্যে বাহ্যশিল্পী কোথায় যে তাহার দৃষ্টি রাখিবে তাহা খুঁজিয়া পায় না। কিন্তু যিনি যথার্থ ধ্যানশিল্পী তিনি সমগ্র প্রাণপ্রদ ধর্ম্মের সহিত তাহার চিত্রের পুরুষকে গ্রহণ করেন বলিয়া বিভিন্ন ভাবের মধ্য দিয়া সেই পুরুষের যে একটি স্বাভাবিক সাম্য আছে সেই সাম্যের সহিত তাহাকে গ্রহণ করিতে পারেন এবং সেইজন্য সেই পুরুষের কোন একটি বিশেষ ক্ষণের ভাবকে অতি জাগ্রত না করিয়া সমগ্র ভাবের সামঞ্জস্যের সহিত সমগ্র মূর্ত্তির সামঞ্জস্য গড়িয়া তুলিতে বা অঙ্কিত করিতে পারেন। মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যখন যে ভাব ওঠে সেই অনুসারে তাহার মুখের আকার