পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৩৭

can hardly help noting, by the way how distinct this state of mind is from that with which we began”. Daumiere-এর এই চিত্রে বর্ত্তুলাকার স্থানসন্নিবেশ ও আলোছায়ার সন্নিপাত যেভাবে করা হইয়াছে, তাহা সম্পূর্ণভাবে চিত্রোৎপাদিত চৈত্তিক অবস্থার অনুকূল আচরণ করিয়াছে তাহা বলা যায় না। যেখানে উভয়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকে, (যেমন Rembrandt-এর Boy at Lessons-এর চিত্রে) সেখানে কিছু বলিবার নাই; কিন্তু তাহা না হইয়াও যেখানে শিল্পী কোনও জড়বস্তুর উপর তাহার চিত্তবৃত্তির বা ধ্যানধৃতরূপের বা কোনও গভীর বেদনার এমন ছাপ রাখিয়া দিতে পারে, যাহাতে সেই জড়বস্তু আমাদের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার অভিব্যঞ্জন করিতে পারে, বাহিরের লৌকিক অবস্থাপেক্ষী না হইয়া অলৌকিক হৃদয়ভাবকে ফুটাইয়া তুলিতে পারে সেইখানে শিল্পীর শিল্পশ্রম সার্থক হয়।

 ইতিপূর্ব্বে আমরা বলিয়াছি যে মানুষের মধ্যে নিরন্তর নানা ভাবতরঙ্গ খেলিয়া বেড়ায়, সাধারণতঃ শিল্পীরা তাহারি কোনও একটি অবস্থাবিশেষকে অঙ্কিত করিতে বা মূর্ত্তি দিতে চেষ্টা পাইয়া থাকেন। একটা ঐতিহাসিক চিত্র আঁকিতে গেলে একটি বিশেষ অবস্থাকে মনের সঙ্কল্পের মধ্যে আনিয়া তাহাকে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ Rembrandt-এর “Christ before the Pilate” ছবিখানির মধ্যে দেখা যায় যে বিচারক প্রধান স্থানে বসিয়া রহিয়াছেন এবং তাঁহার সম্মুখে