পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৪৭

নাগর এবং মিশ্র। যথাবৎ প্রকৃতির অনুকরণ করিয়া যে চিত্র আঁকা হইত তাহাকে সত্য বলা হইত—“যৎকিঞ্চিৎ লোকসাদৃশ্যং চিত্রং তৎ সত্যমুচ্যতে।” প্রমাণানুযায়ী অথচ দীর্ঘাকৃতি চিত্রকে বৈণিক চিত্র বলা হইত। বর্ত্তুলাকারের চিত্রকে নাগর চিত্র বলা হইত ও ইহাদের অন্তবর্ত্তী মিশ্রলক্ষণসম্পন্ন চিত্রকে মিশ্র চিত্র বলা হইত। চিত্রসূত্রে আরও লিখিত আছে যে কোনও চিত্রের প্রশংসা করিতে গেলে প্রাচীন আচার্য্যেরা রেখাপদ্ধতিরই প্রশংসা করিতেন, পণ্ডিতেরা চিত্রের জীবন বা expressionকে প্রশংসা করিতেন, স্ত্রীলোকেরা চিত্রের অলঙ্কৃতির প্রশংসা করিতেন এবং সাধারণ লোকেরা বর্ণের প্রচুরতা দিয়া চিত্রসম্বন্ধে মত প্রকাশ করিত। এই বর্ত্তন বা জীবন অনেক সময় পত্রাকৃতি রেখার দ্বারা প্রকাশ করা হইত, অনেক সময় বা কতকগুলি বিন্দুর দ্বারা প্রকাশ করা হইত। বর্ত্তন বা জীবন সম্বন্ধে চিত্রসূত্রে লিখিত আছে—“তিস্রশ্চ বর্ত্তনাঃ প্রোক্তাঃ পত্রাহৈবিকবিন্দুজাঃ”। চিত্রের প্রশংসা করিতে গিয়া আরও লিখিত আছে যে স্থান (posture), প্রমাণ (proportion), চিত্রভূমি হইতে চিত্রের প্রতীয়মান বর্ত্তুলতা মাধুর্য্য বা grace ও প্রতি অবয়বে পরস্পর বিভক্ততা (differentiation), মূল বস্তুর সহিত সাদৃশ্য এবং স্থান (posture) অনুসারে অবয়বের হ্রস্বদীর্ঘতা, এইগুলিই চিত্রের প্রধান গুণ। এই প্রসঙ্গে নানাদেশীয় নানাজাতীয় লোক কি করিয়া অঙ্কিত করিতে হয় ও তরুশৈল, নদী, কান্তার, রাজপথ, নগর ও বিভিন্ন প্রাণী