পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

জন্যই সৌন্দর্য্য সম্বন্ধে প্রত্যেকের দৃষ্টির সীমা অনুসারে, শিক্ষার সীমা অনুসারে এবং স্বাভাবিক বোধের তীক্ষ্ণতার কম বেশী অনুসারে অনেক মতভেদ উৎপন্ন হইতে পারে। প্রাচীন গ্রীকেরা মনে করিতেন যে অধয়বসন্নিবেশের ছন্দ সামঞ্জস্য ও একতানতার, উপর সৌন্দর্য্য নির্ভর করে। “Among the ancients the fundamental theory of the beautiful was connected with the notion of rhythm, symmetry and harmony of parts.” কিন্তু আধুনিক যুগে ভাবাভিব্যঞ্জকতার দিকে, জীবনকে প্রকাশ করিয়া তুলিবার দিকে অধিক আগ্রহ দেখা যায়—“Among the moderns we find that their emphasis is laid on the idea of significance, expressiveness, the utterance of all that life contains.” এই উভয়কে একত্র করিয়া যদি লক্ষণ করিতে যাওয়া যায় তবে তাহাকেই শ্রেষ্ঠ চিত্র বলা যায়, যাহা সর্ব্বসাধারণ ভাবাভিব্যঞ্জকতার আনুগত্যে বা একতানতায় পরিদৃশ্যমান ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত দ্যোতনার মধ্য দিয়া প্রকাশ করিতে পারে। আমাদের ভারতীয় শিল্প সম্বন্ধে যে পর্যালোচনা করা হইয়াছে। তাহার মধ্যে প্রধানভাবে সর্ব্বসাক্ষিক সৰ্বসাধারণ অন্তরস্থভাবকে মূত্তির অবয়বের মধ্য দিয়া ফুটাইয়া তুলিবার দিকে অধিক আগ্রহ দেখা যায়। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের দিকে আমাদের দেশের শিল্পীর তেমন আগ্রহ ছিল না, যেমন আগ্রহ তাহাদের ছিল কেমন করিয়া কোনও ব্যক্তি তাহার ব্যক্তিত্বকে অতিক্রম