পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৭৮

উত্তর ভারতের বিদেশী রাজ্যপুঞ্জের ধ্বংসের পর হইতেই গুপ্তদের প্রাদুর্ভাব। গুপ্তদের পরেই হর্ষবর্ধনের বিশাল সাম্রাজ্য, তাহার পরই পাল ও সেন বংশীয়ের রাজত্ব করেন। দাক্ষিণাত্যে অন্ধ্রদের সময় হইতেই হিন্দু রাজত্ব চলিয়া আসিতেছিল। যে সময়ে গান্ধার শিল্প গ্রীক শিল্পের প্রভাবে হতবীর্য্য হইয়া আসিতেছিল সে সময়কার মাথুর শিল্পেও এমন অনেক নিদর্শন পাওয়া যায় যেগুলিকে এই গ্রীক প্রভাব বর্জিত বলিয়া বলা যায়। এই সমস্ত বুদ্ধমূর্তিতে বুদ্ধকে মুণ্ডিতমস্তক এবং চূড়াকারে উষ্ণীষযুক্ত ও ভ্রমধ্যে উর্ণাবিযুক্তভাবে গঠিত করা হইয়াছে। দক্ষিণ স্কন্ধ বস্ত্রহীন, বিশালবক্ষ এবং অতি লঘু বস্ত্র গাত্রসংলগ্ন করিয়া দেখান হইয়াছে। এই জাতীয় মুক্তি হইতেই ক্রমশঃ গুপ্তযুগের শিল্পের তরুণ কোমল পেলব সৌন্দর্য্য বিকশিত হইয়াছে। গুপ্তশিল্পের মধ্যে নারীমূর্তিগুলি সাঁঁচীর নারীমূর্তির ন্যায়ই কামোদ্দীপক, কিন্তু তদপেক্ষা অধিকতর ভাবব্যঞ্জক ও অতি মনোজ্ঞভাবে শরীরসৌষ্ঠবসম্পন্ন। অমরাবতী ছিল অন্ধ্রদের রাজধানী এবং খৃষ্টপূৰ্ব দ্বিতীয় শতক হইতে খৃষ্টীয় তৃতীয় শতক পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে দেশীয় নরপতিদের করায়ত্ত ছিল। অমরাবতীর শিল্পকে এইজন্য ভারত ও সাঁচীশিল্পের ও গুপ্তশিল্পের মধ্যবর্তী বলা হয়। এই শিল্পে কোন বিদেশীয় প্রভাব পড়ে নাই। এই শিল্পে প্রাকৃতিক সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য্য সজীবভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে। গান্ধার শিল্পের যাহা কিছু প্রভাব এখানে আসিয়া পড়িয়াছিল তাহা চতুর্থ শতকের পূর্বে নহে। এই