পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৮৩

বিন্যাসের সঙ্গে সেই জন্যই সমগ্র চিত্রটি তাহাদের নিকট ভাববাহুল্যে মুখর হইয়া উঠিত।

 অজন্তার চিত্র-শিল্প অমরাবতীর শিল্পের কাল হইতেই চলিয়া আসিতেছিল। অজন্তার সর্ব্বপ্রাচীন চিত্র-সৃষ্টি প্রথম শতাব্দীর পূর্ব্বে নহে। এই অজন্তার চিত্র-শিল্পে ভারতীয় চিত্রশিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন পাওয়া যায়। অমরাবতীর চিত্রশিল্পের শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমশঃ উত্তরোত্তর উৎকৃষ্টতর গুপ্ত শিল্পের বিন্যাসে অজন্তার গুহাগুলিতে বহুশতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চিত্রিগণের চিত্র একত্র পুঞ্জীভূত হইয়াছে। পরম্পরাক্রমে পর্যবেক্ষণ করিয়া দেখিলে ভারতীয় চিত্র পদ্ধতির ক্রমোন্নতির ধারা অজন্তাতে পরিলক্ষিত হয়। গান্ধার শিল্পের যে কোন প্রভাব অজন্তাতে নাই তাহা নহে, তবে যেটুকু গান্ধার শিল্পের প্রভাব সেখানে দেখা যায় তাহার মধ্যে ইহাও দেখা যায় যে গান্ধার শিল্পকে অতিক্রম করিয়া গ্রীসীয় আদর্শকে অবনমিত করিয়া ভারতীয় শিল্পী তাহার বিশেষত্ব ক্রমশঃ ফুটাইয়া তুলিতেছেন। ১৭নং গুহায় বুদ্ধের জীবনচরিত যে চিত্রে পরিণত হইয়াছে তাহাতে বুদ্ধ চরিতের আখ্যানভাগের নাট্যতুল্য ভাবব্যঞ্জকতা স্পষ্ট হইয়াছে বটে, কিন্তু সেই জীবন্ত ছবির মধ্যে চিত্রী কোন ধ্যানধৃত ভাব ফুটাইয়া তোলেন নাই। চিত্রস্থ প্রত্যেক ব্যক্তি যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইয়াছে। তাহাদের স্থান (posture) ও অঙ্গহারাদি দ্বারা (graceful movement) তাহাদের চরিত্রের বিশেষত্ব সুন্দরভাবে অভিব্যক্ত হইয়াছে। ১ম ও ২য় নং গুহাতে