পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উম গ e^9 প্রতিষ্ঠিত আছে। কতিপয় খর্জুর-রক্ষ সুশোভিত নির্জন শৈলমালার পৃষ্ঠদেশস্থ উক্ত মন্দির—এই স্থানের সমগ্র স্বাভাবিক দৃশ্বকে এরূপ হৃদয়গ্রাহী করিয়াছে যে, সেরূপ মনোমুগ্ধকর সুগম্ভীর ভাবময় দৃশ্ব সাধারণতঃ লোকের দৃষ্টিপথে কদাচিৎ পতিত হইয় থাকে। বাস্তবিক—এই মনোজ্ঞ দৃশ্ব সুনিপুণ চিত্রকরের তুলিকার উপযুক্ত। o উল্লিখিত মন্দির যে সমুদয় পাষাণখণ্ডে প্রস্তুত হইয়াছে, সেই সমুদয় কোনরূপ যোজক পদার্থের দ্বারা সংযুক্ত নহে ; লৌহ-কীলকের দ্বারা পরস্পর ংলগ্ন, এবং ইহার মধ্যস্থিত প্রত্যেক বিশাল শিলা-স্তম্ভ এক একটা সম্পূর্ণ পাষাণ খণ্ডে নিৰ্ম্মিত । মন্দিরটা ভারতবর্ষের উত্তর পশ্চিম প্রদেশস্থ মন্দির সদৃশ নহে ; অনেকটা উৎকল দেশস্থ মন্দিরের অনুরূপ। ইহার দ্বারের উৰ্দ্ধদেশে কতিপয় ক্ষুদ্র আরব্য অক্ষর-লিপি এবং “আল্লা” শব্দ উৎকীর্ণ আছে | 鹹 হিন্দুধৰ্ম্মানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত দেবমন্দিরের গাত্রে এবংবিধ যাবনিক ভাষায় শবদ উৎকীর্ণ থাকার সম্বন্ধে কথিত আছে যে—ধৰ্ম্মান্ধ যবনগণ কতৃক মন্দির খানি বিনষ্ট হইবার আশঙ্কায় স্থানীয় মুসলমান নিবাসিগণ ইহার দ্বারদেশে ঐ সমুদয় আরব্য লিপি ও “আল্লা” এই শব্দ খোদিত করিয়াছিল। ইহার কারণ—একদা উক্ত মন্দির স্থানীয় ইসলামৃ ধৰ্ম্মাবলম্বিগণ কতৃকও মসজিদের তুল্য ভক্তিপূর্ণনেত্রে দৃষ্ট হইত ; এবং অত্রস্থ মুসলমানগণ প্রায়শঃ ইহার সমীপে আগমন পূর্বক যাবনিক প্রথানুসারে ঈশ্বর উপাসনা করিত। মন্দির-গাত্রে উৎকীর্ণ ঐ সমুদয় যাবনিক লিপি কালক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়া ইদানীং অনেক অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে। এতদ্ব্যতিরেকে হিন্দুগণও অনেকগুলি অক্ষর বিনষ্ট করিয়াছে বলিয়া কথিত হয়। উক্ত মন্দিরের প্রবেশদ্বার পর্বতের অভিমুখে । ইহার সম্মুখে পুরীর জগন্নাথদেব-মন্দিরের সম্মুখদেশস্থিত শিলাস্তম্ভের অনুরূপ সম্পূর্ণ এক খণ্ড প্রস্তর নিৰ্ম্মিত একটি পাষাণ-স্তম্ভ স্থাপিত আছে। বর্ণিত মন্দিরের সম্বন্ধে—ইহার সমীপবৰ্ত্তী এক প্রস্তরখণ্ডে উৎকীর্ণ