পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভোজপুর শাহাবাদ জিলার অন্তর্গত ডুমরাওঁ ষ্টেশনের দুই মাইল উত্তর দিকে “ভোজপুর” নামক এক প্রাচীন গণ্ড গ্রাম আছে। এইরূপ কিংবদন্তী প্রচলিত আছে যে, একদ। ঐ গ্রাম নৃপতি ভোজের স্থবিখ্যাত রাজধানী এবং এক সমৃদ্ধিশালী নগরী ছিল । উক্ত গ্রাম-মধ্যে যে কতিপয় নিকেতনাদির ভগ্নাবশেষ অধুনা পরিলক্ষিত হয়, সেই সমুদয় ভোজরাজ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত ভবনাদির বিধবস্ত অংশ বলিয়৷ তৎপ্রদেশস্থ জনসাধারণে নির্দেশ করে । ভারতবর্ষে ভোজ নামে খ্যাত একাধিক নৃপতি রাজত্ব করিয়াছিলেন – এইরূপ ইতিহাসে উল্লেখ আছে। তন্মধ্যে দুই জন ভোজরাজ স্থপ্রসিদ্ধ । প্রথমতঃ কান্যকুজের অধিপতি খ্যাতনামা মহারাজাধিরাজ ভোজের বিষয় উল্লেখ যোগ্য । তদীয় সমসাময়িক ভারতবর্ষের নৃপতিগণের মধ্যে তিনি এক জন প্রবল প্রতাপান্বিত মহীপাল ছিলেন । কথিত আছে যে, তিনি বাহুবলে কাশ্মীর পর্য্যন্ত ভারতের সমস্ত উত্তরাংশে অধিকার বিস্তার করিয়াছিলেন । তদীয় রাজত্বকাল খৃষ্টীয় নবম শতাব্দী বলিয়া “পেহবা”, “গোয়ালিয়র” ও “দেওগড়ের” শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় । উক্ত কান্তকুজের অধীশ্বর ভোজরাজের পরই মালবাধিপতি “প্রমার” বা “পোয়ার” বংশীয় খ্যাতনামা ভোজরাজ ইতিহাসে স্থপ্রসিদ্ধ । তিনি “ধারা” নগরীতে রাজধানী স্থাপন পূর্বক ১০১৮ হইতে ১০৬০ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজ্য