পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . . . কৌশল্পী এ" মিষ্টর ভিনসেন্ট স্মিথ উক্ত লিপির এবংবিধ ব্যাখ্যা করেন ?—শ্রদ্ধেয় নৃপতি কৌশাম্বীর কৰ্ম্মচারিগণের প্রতি নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করেন-সংঘের নিয়ম পরিত্যক্ত হইবে না ; ভিক্ষু কিংবা ভিক্ষুণী যে কেহ সংঘের নিয়ম ভঙ্গ করিবে, তৎকাল হইতে তাহাকে শ্বেত বর্ণের বেশ ধারণ করিতে বাধ্য হইতে হইবে এবং ধৰ্ম্মযাজকগণের জন্য নিৰ্দ্ধারিত স্থানে বাস করিতে পারিবে না। প্রয়াগ-দুর্গের মধ্যস্থিত প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত অশোকস্তম্ভের অনুরূপ একটা ভগ্নমস্তক শিলাস্তম্ভ কৌশাম্বীদুর্গের ধ্বংসাবশেষ-মধ্যে প্রোথিত আছে। ইহাও অশোক কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া অনুমিত হয়। গুপ্তবংশীয় নৃপতিগণের রাজত্বকাল অবধি যে সমস্ত তীর্থযাত্রী ও পরিব্রাজক এই স্থানে আগমন করিয়াছিলেন, তাহারা প্রত্যেকে স্বীয় নাম উক্ত স্তম্ভ-গাত্রে লিখিয়া গিয়াছেন। ঐ সমস্ত উৎকীর্ণ লিপির মধ্যে জনৈক সোনী বৈষ্ণব কর্তৃক যে লিপি সম্রাট, আকৃবরের রাজত্বকালে খোদিত হইয়াছিল, তাহতে এই স্থানই কৌশাম্বী বলিয়া উল্লিখিত আছে । ইহার প্রতিলিপি নিম্নে প্রদত্ত হইল । “মোগল পাতীসাহ আকবর পাতসাহরাজী শ্ৰীগণেশ সংবত ১৬২১ চৈত্র বদী বারানয় মে কোঁসাংবীপুর—নাগনীক সোনী-মুখ দর্শন বৈষ্ণবদর্শন-সোনীহ কে দেব ভৈরব অনংদস্থত...” উল্লিখিত লিপি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া বর্তমান “কোসমূ” গ্রামটাই যে পুরাকালের কৌশাম্বী নামক সেই স্থবিখ্যাত নগরী ইহা বিশ্বাস করিতে কোন দ্বিধা থাকিতে পারে না। কথিত আছে যে, এই শিলাস্তম্ভ পূর্বে “ভৈরবনাথ নামে খ্যাত ছিল এবং জনসাধারণ কর্তৃক পূজিত হইত। অধুনা ইহা “রামকি ছড়ী’’ নামে অভিহিত হয়। যে সমুদয় শিলালিপির প্রতিলিপি এই পুস্তকে প্রদত্ত হইয়াছে, সেই সমুদয় “মাধুরী” নামক হিন্দী ভাষায় প্রচারিত মাণিক পত্রিকায় শ্ৰীযুত ভাগীরথী প্রসাদ কর্তৃক লিখিত প্রবন্ধ হইতে উদ্ধত হইল । খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে দিল্লীর পাঠান অধিপতি সুলতান বলবণ