পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I বরুণী পড় 49כל করিতে হইয়াছিল, কিন্তু অধিক দিন কারাযন্ত্রণা ভোগ করিতে হয় নাই। উক্ত খৃষ্টাবেই কারাগারে তাহার ইহলীলার শেষ হয়। রাজা মুকুন্দদেবের সময় অবধিই তদীয় বংশধরগণ সাধারণ বৃত্তিভোগীরূপে পরিণত হইয়া নামে মাত্র পুরীর রাজ বলিয়া জনসমাজে পরিচিত হইতেছেন। যাহার একদা মহারাজ চক্রবর্তী উপাধিতে বিভূষিত হইতেন এবং বাহুবলে মান্দ্রাজ হইতে বঙ্গদেশ পৰ্য্যন্ত অধিকার বিস্তার করিয়াছিলেন, আজ র্তাহীদের অবস্থা এইরূপ । ইহাকেই বলে চঞ্চলা ভাগ্যলক্ষী। যাহা হউক উৎকলরাজগণের ভাগ্যরবি চিরকালের জন্য অস্তমিত হইলেও “চলস্তিবিষ্ণু” অর্থাৎ জগন্নাথদেবের প্রতিনিধি বলিয়া উড়িষ্যাবাসী সৰ্ব্বসাধারণে র্তাহাদিগকে দেবরাজ আখ্যা প্রদান পূর্বক বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করে। জগন্নাথদেব মন্দিরের পশ্চাৎ দিকে বালিসাহী নামক স্থানে রাজা মুকুন্দদেব যে সমুদয় নিকেতনাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করিতেন, তাহার মৃত্যুর পর তদীয় পুত্র রামচন্দ্র সেই ভবনাদি পরিত্যাগ পূর্বক রাজপথের পার্শ্বদেশে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস স্থাপন করেন। সেই সময়াবধি র্তাহার বংশধরগণ ইহাতে বাস করিতেছেন। রাজা রামচন্দ্র কর্তৃক তদীয় পিতৃভবন এইরূপে পরিত্যক্ত হইয়া অরক্ষিত অবস্থায় থাকাতে ক্রমেই উহা ধ্বংসমুখে পতিত হইতেছে। এই সমস্ত ভগ্ন গৃহাদিকে স্থানীয় সৰ্ব্বসাধারণে পুরাণ নহর, নবর, বা নর কহে। এই শব্দ উড়িষ্যা ভাষায় রাজনিকেতন জ্ঞাপক। উক্ত নিকেতনাদির ভগ্নাবশেষ ব্যতীত এই স্থানে একটা পুষ্করিণী, দুইটা দেবমন্দির ও একটা দোলমঞ্চ আছে। একটা মন্দিরে কালী অপরটাতে গোপাল বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। এই সমস্তই হতভাগ্য রাজা মুকুন্দদেবের শেষ কীৰ্ত্তিচিন্তু স্বরূপ অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে। মন্দির দুইটা সুরক্ষিত। ইহাতে নিত্য নিয়মিত পূজাৰ্চনা হইয়া থাকে।