পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবলী בכל খোদিত হইয়াছিল। প্রথম ফলকের পরবর্তী ছুইটী ফলকের লিপি সমূহ আকারে বৃহৎ এবং যত্নের সহিত খোদিত নহে। গভীর রেখা-বেষ্টনীর মধ্যস্থ চতুর্থ ফলকের লিপি সমুদয় সৰ্ব্বাপেক্ষ যত্নে খোদিত । গত সপ্তবিংশ বর্ষ মধ্যে ঐ সমস্ত শিলালিপির অনেক অক্ষর লুপ্ত হওয়ায় অবশিষ্ট লিপি সমুদয় যাহাতে নষ্ট না হয় তদুদেশে বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক ঐ সমস্ত শিলালিপির উৰ্দ্ধভাগে পর্বতগাত্র হইতে একটি প্রস্তর-অলিন্দ ইদানীং নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। তদ্বুদ্ধদেশে পূর্বকালের নিৰ্ম্মিত ১৬ ফিট দীর্ঘ ১৪ ফিট প্রস্থ যে এক অলিন্দ রহিয়াছে তাহার দক্ষিণ পাশ্বস্থিত পাষাণস্তুপ খোদিত করিয়া হস্তীর সম্মুখভাগের অনুরূপ এক মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইহার নিৰ্ম্মাণ কার্য্যে বিশেষ শিল্পনৈপুণ্য লক্ষিত হয়। সৰ্ব্বসাধারণে উক্ত মূৰ্ত্তিকে “অশ্বথাম” নামে অভিহিত করে। o বর্ণিত হস্তিমূৰ্ত্তি কোন সময়ে কোন ব্যক্তি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এই বিষয় জ্ঞাত হওয়া যায় না। যাহা হউক— যদি ইহা প্রাগুক্ত শিলালিপি সমূহের সমকালীন হইয়া থাকে, তাছা হইলে পুরাকালে যে সমস্ত প্রস্তরমূৰ্ত্তি ভারতবর্ষে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তন্মধ্যে ইহাও অন্যতম ; এবং উক্ত মূৰ্ত্তি যে তৎকালে নিৰ্ম্মিত হয় নাই ইহাতে সন্দেহ করিবার বিশেষ কোন কারণ লক্ষিত হয় না। যে পাষাণখণ্ড খোদিত করিয়া উল্লিখিত হস্তিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, তদৃগাত্রে কতকগুলি নৈসর্গিক গুহা দৃষ্টিগোচর হয়। আদৌ অশ্বথামা নামক বর্ণিত হস্তিমূৰ্ত্তিটা গৌতমবুদ্ধের নিদর্শনস্বরূপ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, প্রত্নতত্ত্ববিৎগণ এইরূপ অনুমান করেন ; কিন্তু নূ্যনকল্প অৰ্দ্ধশতাব্দীকাল অবধি হিন্দুগণ কর্তৃক এই মূৰ্ত্তি পূজিত হইয়া আসিতেছে। স্থানীয় লোকের নিকট অবগত হওয়া যায় যে, পূর্বে সংবৎসরান্তে একবার মাত্র পল্লীবাসী এক ব্রাহ্মণ আগমন করিয়া উক্ত হস্তিমূৰ্ত্তির অভিষেক কাৰ্য্য সম্পাদনান্তে তদগাত্রে সিন্দর প্রলেপ প্রদান পূর্বক ইহার পূজা করিয়া যাইত; কিন্তু ইদানীং নিকটবর্তী গ্রাম সমুদয়ের হিন্দু অধিবাসিগণ এই স্থানে আগমন পূর্বক প্রায়শঃ ইহার পূজা করিয়া থাকে ও কোন বিষয়ের প্রতিজ্ঞা করিতে