পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ψήιν সজ্জা সমস্তই অতীব অদ্ভুত। আমি ভাবিতে णांशिलाभ-श्रांभांद्र आलुङ्गांध्र सूर्ध्नि शृङ्गं ध११ ७ উপধৰ্ম্মভীরু হইত এবং মধ্যযুগের যোগীদিগের স্তায় আমার প্র (ল কল্পনা শক্তি থাকিত, তাহ। হইলে এই আগ্নেয়গহবব দেখিয়া নিশ্চয়ই আমার আতঙ্ক উপস্থিত হইত ? অামার মনে হুইত, আমার পাদদেশে একটা নবকের দ্বার উদঘাটিত হইয়াছে —যে নরকে,—প্রেমময় ঈশ্বরের ইচ্ছায়, অসংখ্য পাপী অনন্তকাল ধরিয়া দগ্ধ হইতেছে ! কিন্তু আমি উনবিংশতি শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি, আধুনিক বিজ্ঞান, আমার অন্তরে শাস্তিতর ভাবের অঙ্কুর, উচ্চতর চিস্তার অঙ্কুর স্থাপন করিয়াছে। বিজ্ঞান নিরাকুলভাবে এই সকল প্রাকৃতিক ব্যাপারের ব্যাখ্যা করিয়া থাকে ; বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত এই যে, পৃথিবীর গর্ভকেন্দ্রে একটা বৃহৎ অগ্নিকুণ্ড প্রজ্জলিত রহিয়াছে – বিজ্ঞানের এই আভাস ইঙ্গিতে, মানুষেব কল্পনা ছুটিয়া চলিয়াছে। না জানি এই পৃথিবীর গর্ভস্থ উত্তাপ কতদূর হষ্টতে আসিয়, আমার নিকটবত্তী এই জলরাশিকে ফুটাইয়া তুলিতেছে! কি প্রকাও আমাদের পৃথিবী ! कि थकt ऽ त्रांमt:मब्र cगोब्रछ१९-यांशन्त्र নিকট আমাদের এই পৃথিবী ও একটি ক্ষুদ্র বিন্দু মাত্র । আর এই সমস্ত অসংখ্য তারা, এই সমস্ত গ্রন্থ, এই সমস্ত স্বৰ্য্য লইয়। যে ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ব্ৰহ্মাও –এই ব্ৰহ্মাণ্ড কি প্রকাগু, কি অমেয়, কি অসীম !...এই যবদ্বীপের আগ্নেয়-গিরি আমার মনে আনন্তের ভাব জাগাইয়া তুলিয়াছে—তারা-সস্কুল নিমেধ আকাশ দর্শনে যেরূপ অনন্তের ভাব উদ্বোধিত হয়, ইহা ও কতকটা সেইরূপ। আমার এইরূপ মনোভাবের হেতু নির্ণয় করিতে চেষ্টা করিতে করিতে, ব্রমোর শিখরে উঠিয়া, বিরাট্র-রস (sublime) সম্বন্ধে ক্যান্টের (kant) •সিদ্ধান্ত আমার মনে পড়িয়া গেল । ক্যাণ্টের মতে,—মানুষ যখন যুগপৎ আপনাকে ইন্দ্রিয়বিশিষ্ট ক্ষুদ্র জীব ও জ্ঞান-নীতি সম্পন্ন উন্নত জীব বলয় মনে করে, তখনই মাঙ্গুষের মনে বিরাট্‌-রসের আবির্ভাব হয়। ক্যান্ট যেভাবে বিরাটের অর্থ করেন, সেই অর্থে এই যবদ্বীপের আগ্নেয়-গিরি, বিরাট ভালোদীপক। এই সকল আগ্নে্যু গিরি আমাদের মনে অনন্তের ভাব উদ্বোধিত করে ; পক্ষান্তরে ইহা ও মনে করাইয়া দেয়, প্রকৃতি য তই বৃহৎ হোক না কেন, মানুষ প্রকৃতি অপেক্ষ বড়, প্রকৃতি অপেক্ষ বুদ্ধিমান, প্রকৃতি অপেক্ষা প্রতিভাজন। বিজ্ঞানের দ্বারা মানুষ যখন বাস্তবকে বুঝতে পারে, মানুষ যখন বিশ্ব-বtলী কতকগুলি জীবের দুঃখ হ্রাস ও মুখ বৰ্দ্ধন করিবার জন্ত প্রাণপণে চেষ্টা করে, তখনই মানুষ আপনার শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করে । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।