পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਵੇਲ਼ੇ ৩৪শ বর্ষ ] পৌষ, ১৩১৭ [ ৯ম সংখ্যা নীলগিরির টোডা জাতি। বহুদিন পূর্বে ভারতীতে নীলগিরি সম্বন্ধে একাধিক প্রবন্ধ লিথিয়ছিলাম ! কিন্তু সে সঙ্গে তখন চিত্র ছিল না। টোডাদিগের ছবি দেখাইবার জন্যই প্রধানতঃ পুনরায় সংক্ষিপ্তাকবে এই প্রবন্ধটি লিখি ত হইল। ভী সঃ । আমরা যখন উৎকামন্দে ছিলাম তখন বর্ষাকাল। কিন্তু বর্ষাকালে সেখানে সাবাদিন ধরিয়া টপটপ বা ঝুপব্রুপ করিয়া বৃষ্টি পড়ে না। যখন বৃষ্টি হয় মুষলধারে খানিকক্ষণ বেশ জোরে বৃষ্টি হইয়া যায় ; তাহার পর আবার নিৰ্ম্মল আকাশতলে পরিষ্কার রৌদ্র ফুটিয়া উঠে। দাৰ্জিলিঙ্গে বর্ষার দিনে অনবরত বৃষ্টিবৰ্ষণশীল মেঘাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে একটা বিরক্তিব ভাব আছে, শীতে ক্লাস্তি আছে, সেখানকার রৌদ্রস্ফুট তুষার দৃগু ও অতি মহান, অতি গম্ভীর, অতি বিস্ময়কর, তাহা কেবল দুব হইতে দর্শনের, স্পর্শনের নহে, তাই তাহার মধ্যে তৃপ্তির পূর্ণ স্থখ নাই। নীলগিরির জলবায়ু হইতে দৃষ্ঠ সৌনর্য্য সমস্তই নিরতিশয় তৃপ্তিজনক । মান্দ্রাজ গভর্ণমেণ্টের গিরিবিহার এই উৎকামন্দ নীলগিরির সৰ্ব্বোচ্চ শিখরে অবস্থিত। দার্জিলিঙ্গেরই প্রায় সমান। কিন্তু ইহার শৈত্য দীরঞ্জিলিং নৈনিতাল প্রভৃতি গিরি নিবাসের তুলনায় মৃঢ়মন্দ –এবং দৃগু ও কোমল-মধুর। উৎকামনে হিমালয়ের সেই রজতগুভ্ৰ তুষারসজ্জিত শৈলশৃঙ্গশ্রেণীর উচ্চতায় ইহা প্রায় ৭• • ০ ফুট . সুমহান সৌন্দর্য্য নাই, দিনে নিশীথে ঝিল্লি ধ্বনি মুখরিত নিবিড় গম্ভীর অরণ্যানীর রুদ্রশোভা, অথবা পথপীশ্বে কোথাও বা লতাশৈবাল জড়িত মহাবৃক্ষনিবিড়ত, কোথাও বা অত্যুঙ্গ মন্থণ পৰ্ব্বত প্রাচীর, কোথাও বা গভীর খদের ভয়ঙ্কর ভাব নাই। যত্র তত্র বিবিধবর্ণ বনফুল ও বিচিত্র লতাগুন্মের বিচিত্র সমাবেশ, নিঝর প্রপাতেব ফেণময় উচ্ছসিত কল্লোল এবং মেঘ বৌদ্রের মুহূমুহু লীলাখেলাও নাই। পাহাড়গাত্র যে সকল মুন্ধর স্বস্তৃপ্ত তরুরাজি সমাচ্ছন্ন-তাহাও রুদ্রভাববিরহিত কানন শোভাসস্কুল, ভ্রমণেও পাৰ্ব্বত্য শ্রমক্কাস্তি নাই—পথ দুরারোহ উচ্চ নীচ নহে, ঘূর্ণমান সমতল চড়াই পথে—নিম্নভূমির মত গাড়ী ঘোড়া চলিতেছে! সহরের যত উৰ্দ্ধেই উঠিতে চাও ঘোড়ার গাড়ীতে যাইতে পার —বাতাসও মলয়ানিলের স্তায় উপভোগ্য। ইহার দিগন্তবেষ্টিত মেঘহীন স্বচ্ছগুত্ৰ আকাশের কোলে স্তরে স্তরে নীলিমায় তরঙ্গাম্বিত অতি নীল,—নীলাকাশ হইতেও ঘননীল –স্বনামে সার্থক অনতি উচ্চ শৈলীবলী অতি সুদৃশু । এত নবঘন নীল মাধুরী অন্ত কোন পাহাড়ে দেখা যায় না। ইহার বক্ষস্থিত