পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । কাৰ্য্যকারী শিক্ষ{ । ꬃእግ কার্য্যকরী শিক্ষা। জীবনের কর্তব্যকে নিত্য প্রয়োজনীয় কৰ্ম্মের উপযোগী করাই শিক্ষার উদ্দেশু । সাধারণতঃ প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে যে শিক্ষা প্রদত্ত হইয়া থাকে, শিল্প ও ব্যবসায় শিক্ষা তাহা হইতে স্বতন্ত্র । স্কুল শিক্ষা ও জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় কৰ্ম্মোপযোগী শিক্ষার মধ্যে কিরূপ সম্বন্ধ থাক কৰ্ত্তব্য ইহা বহুদিবস হইতে ইয়োবপের শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রের আলোচ্য বিষয় হইয়াছে। কেহ কেহ বলেন মানসিক বৃত্তিনিচয়ের সম্যক্ পরিস্ফুরণ, পর্য্যবেক্ষণ শক্তির উৎকর্ষসাধন, স্মৃতিবৃদ্ধি এবং যুক্তি শক্তির উন্নতি বিধানই শিক্ষাব একমাত্র উদ্দেশু । জীবনের বাস্তব কাৰ্য্যের সহিত স্কুল শিক্ষার কোনরূপ সম্বন্ধস্থাপন তাহার আদেী আবখ্যক বলিয়া মনে করেন না । কিন্তু এই দ্বিবিধ শিক্ষার মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন আধুনিক পণ্ডিত সাধারণেব অভিমত। সেই নিমিত্ত ইদানীং পাশ্চাত্য জগতের প্রায় সকল বিদ্যালয়েই মনোবৃত্তি প্রফুল্লাবণকারী শিক্ষার সহিত কাৰ্য্য করা শিক্ষা প্রদানেরও ব্যবস্থা হইয়াছে। প্রাচীন সাহিত্যে অপিত সময়ের কিয়দংশ লাঘব করিয়া তাহ আধুনিক সাহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চার নিমিত্ত প্রদত্ত হইয়াছে ; জ্যামিতি অধ্যয়নের সঙ্গে জ্যামিতি বিষয়ক অঙ্কন এবং স্তায় ও অলঙ্কার শাস্ত্রের শিক্ষার সহিত ধনবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হইতেছে। এইরূপ পরিবর্তন অবশুই প্রাচীন শিক্ষা পদ্ধতির থৰ্ব্বসাধন না করিয়া হয় নাই। মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের চিন্তা রাশির সমন্বয় করিয়াই আজকালিকার বিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকা প্রণয়ন করা হইয়াছে। পুৰ্ব্বকালেও ইয়েরপে প্রাচীন সাহিত্য কেবলমাত্র মানসিক উন্নতিব জন্তই শিক্ষা দেওয়া হইত ন; ; র্যাহারা গির্জায় প্রবেশ করিতেন, এবং যে সকল শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবীর সকল স্থানে পণ্ডিতমণ্ডলীর সহিত বাক্যের আদান প্রদান করিতেন, কার্য্যোপযোগী বলিয়াই র্তাহারা প্রধানতঃ গ্রীস ও রোমের প্রাচীন সাহিত্য অধ্যয়ন করিতেন—মনোবৃত্তির উৎকর্ষসাধন তাহদের প্রধান উদ্দেশু ছিল না । প্রাচীনকালে শিল্প বাণিজ্যের উন্নতিবিধান জাতীয় গৌরব বলিয়া বিবেচিত হইত না। য়িহদীদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মগ্রন্থ প্রণয়ন ও ধৰ্ম্মান্থ ষ্ঠান কাৰ্য্য জাতীয় কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মের প্রধান অঙ্গ ছিল । গ্রীক ও রোমানগণ দক্ষনাগরিক ও রাজনৈতিক স্বষ্টি করাই গৌরবকর বিবেচন করিতেন। মধ্যযুগে শিক্ষিত সম্প্রদায় গির্জা ও দৈহিক সামর্থ্যের প্রতি সমধিক গুরুত্ব অর্পণ করিতেন। কাজেই পুরাকালে প্রধানতঃ নীতিশিক্ষা ধৰ্ম্মশিক্ষা ও ব্যায়ামশিক্ষা প্রচলিত ছিল । অশিক্ষিত ও নিম্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেই তখন শিল্পচর্চা আবদ্ধ ছিল। ব্যবসা বাণিজ্য চলিত তখন দ্রব্য বিনিময়ে। শিক্ষিত ব্যক্তি ঐ সকল কাৰ্য্য হেল্পজ্ঞান করিতেন । গ্রীস এবং রোমে কাৰ্য্যকারী ব্যবসা আদেী আদৃত হইত না, সুতরাং সাধারণ শিক্ষার সহিত তাহার কোন সম্বন্ধ ছিল না । তথাপি পেন ( Mr. Payme ) বলিয়াছেন যে, মনুষ্যকে শিল্প ও ব্যবসায় বিষয়ক কাৰ্য্যের উপযোগী করাই সমুদায়