পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९8 চাকুরী পরিত্যাগ করিয়া, অন্ত রাজার অধীনে চাকুরী পাইবার জন্ত, নানা স্থানে ঘুরিয়া বেড়ায়। অর্থই তাহাদিগের উপাত্ত দেবতা । তাহার কাহার অধীনে কি কার্য্য করিতেছে, তাহ! আদেী ভাবে না, জাতিধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়া অর্থলাভ করিতে পারিলেই তাহার কৃতাৰ্থ হইত। এমন কি, যদি কোন ভিন্নদেশীয় লোকও ( অর্থাৎ ভারতবাসী নহেন ) সৈন্তদিগের দৈনন্দিন ব্যয় নিৰ্ব্বাহকরণোপযোগী অর্থ সংগ্ৰহ করিতে পারেন, তাহা হইলে তাহার পক্ষেও সৈম্ভবল গঠন কোনরূপে দুষ্কর কার্য বলিয়া পরিগণিত হয় না। এই সকল সৈন্ত তাহার পক্ষাবলম্বনপূর্বক সমরাঙ্গণে অবতীর্ণ হইতে কুষ্ঠাবোধ করে না। ইহার জন্মাবধিই যোন্থপুরুষ, অস্ত্রচালনা ব্যতীত অন্ত ব্যবসায় জানে না। অসাধ্য সাধনার্থও যদি কেহ ইহাদিগকে কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ করান, অর্থ পাইলে, ইহার তাহাতেও পশ্চাৎপদ নহে । ইহাদিগের “স্বদেশ প্রেম” বলিয়া কোন বৃত্তি নাই, কেবল বাল্যের ক্রীড়াভূমি পাদপশ্রেণী-পরিশোভিত কয়েকট। মৃত্তিকাখণ্ড ইহাদিগের হদয়ে সময়ে সময়ে প্রীতিপূর্ণ স্মৃতিকে জাগাইয়া তোলে। এই বিষয়ে ভারতবাসীকে জগদ্বাসী বলিলে অত্যুক্তি হয় না। পিতা, পুত্র, ভ্রাতা প্রমুখ স্বজননিচয় ভিন্ন ভিন্ন লোকের অধীনে পদগ্রহণ করিয়া যুদ্ধস্থলে পরম্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিতে পরায়ুখ হয় না ; এমন কি, একের হস্তে অষ্টের নিধনপ্রাপ্তিও যে বিরল ঘটনা এমনও নহে।” : ভারতের এবংবিধ অবস্থার সময়, আৰ্মষ্ট্রং डाँच्नस्नेो । পৌষ, ১৩১৭ নামক জনৈক ইংরাজ সৈনিকপুরুষ হোলকারের সেনাবিভাগে চাকুরী গ্রহণ করেন। আমস্ট্রং মেজরের পদে উন্নীত হন। ডুডারনেগ এবং প্লমে নামক হোলকারের ফরাসীসেনাপতিদ্বয় যখন সিন্ধিয়ার সেনাগমন দেখিয়া ভয়ে কাপুরুষের ন্তায় স্বদলে রণক্ষেত্র পরিত্যাগ করিল—অন্নদাত প্ৰভু হোলকারের সৰ্ব্বনাশ সাধনে ইতস্ততঃ করিল না—তখন হোলকার গত্যস্তর না দেখিয়া আমষ্ট্রংকে মেজর প্রমের পদে নিযুক্ত করেন। পাঠক ! উপরি-উদ্ধত পত্রের অনুবাদ পাঠ করিলেই বুঝিতে পরিবেন, ডুডারনেগ ও প্লমের বিশ্বাসঘাতকতায় হোলকার সমগ্র ফরাসীজাতির উপর কিরূপ বিরক্ত হইয়াছিলেন ; এমন কি ; উহাদিগকে “দাগাবাজ” বলিয়া অভিহিত করিতেও বিরত হন নাই । যাহা হউক, ১৮০২ খৃষ্টাব্দে হোলকারের অমুকম্পায় তদীয় দ্বিতীয় সৈন্যদলের অধিনায়কের পদে মেজর আর্মষ্ট্রং বরিত হইয়া সেই বৎসরেই পুণার যুদ্ধে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন । দুর্ভাগ্যবশতঃ মেজর আৰ্মষ্ট্রংএর কার্য্যকাল দীর্ঘ হয় নাই। কারণ পর বৎসরে অর্থাং ১৮০৩ সালে ইংরাজকোম্পানীর সহিত হোলকারের যুদ্ধ বাধে। হোলকারের বিশ্বাস ছিল, তাহার অর্থে পুষ্ট ইংরাজ সেনানীবৃন্দ তাহার আজ্ঞা প্রতিপালন করিবে, “নিমকহারামী” করিবে না। কিন্তু তাহাব এই সিদ্ধান্ত যে ভ্রমপুর্ণ, কাৰ্য্যকালে তিনি তাহার প্রমাণ পাইলেন । হোলকার স্বয়ং ভারতবাসী স্বতরাং তদানীন্তনকালের ভারতবাসীর দ্যায় তাহারও স্বজাতিপ্রতি, স্বদেশপ্রেম প্রভৃতির মৰ্ম্মাবগত