পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । “পাঞ্চভৌতিক ষড়রসময় চর্বাচোষ্যলেহ পেয় এই চতুর্বিধ যে অtহার আছে ইহার সম্যক্ পরিণতির যে তেজোভূত পরমসুন্ম সার তাহাকে রস বলে । ইহার স্থান হৃদয় । তাহাই হৃদয় হইতে দশ উদ্ধে নিম্নে দশ ও তিৰ্য্যগ্‌ ভাবে চার এইরূপে চতুব্বিংশতি ধমনীতে প্রবাহিত হইয়া কৃৎমশরীরকে বেষ্টনপুৰ্ব্বক অদৃষ্টকৰ্ম্মবলে তৃপ্তি প্রদান,বদ্ধন, ধারণ, নিঃসারণ ও জীবনী শক্তি প্রদান করিতেছে । অতএব ক্ষয়বৃদ্ধিবিকার দ্বারা শারীরিক রসের গতি অনুমান করবে।” এখন এই সৰ্ব্বশরীর ব্যাপ্ত রস সম্বন্ধে প্রশ্ন এই যে—ইহা জলীয় না আগ্নেয় ? স্নিগ্ধতা, সজীবতা, তৃপ্তিসাধন, ধারণাদি দ্রবণীয় পদার্থের গুণ থাকায় ইহা সৌম্য বলিয়াই বোধ হয়। সেই জলীয় রস যকৃৎ প্লীহায়ু উপস্থিত হইয়া রক্তবর্ণ প্রাপ্ত হয় | ঋষি তাহাই অন্ত যে জুই শ্লোকে ব্যক্ত করিয়াছেন তাহার ব্যাখ্যা এই ; “এই যকৃৎ প্লীহান্তর্গত রস শরীরস্থ অগ্নিদ্বারা রঞ্জিত হইয়া প্রসন্নত। ( নিৰ্ম্মলতা ক্লেদহীনতা ) প্রযুক্ত রক্ত নামে অভিহিত হয় । জলীয় বলিয়াই স্ত্রীলোকের রক্তকে রজ বলে তাহা দ্বাদশবর্ষে উৎপন্ন হইয়ু পঞ্চাশং বর্ষে ক্ষয় প্রাপ্ত হয় ।” অতএব দেখা গেল যকৃৎ প্লীহাই রক্ত প্রস্তুত করিবার যন্ত্র। এই মত পাশ্চাত্য কি পুরাতন বা আধুনিক কোন গ্রন্থে নাই সুতরাং ইহা যে ভারতীয় ঋষিগণের মৌলিক মত তাহার কোন সন্দেহ নাই । পাশ্চাত্যগণ বলিয়া থাকেন যে হিন্দুগণ চিকিৎসা শাস্ত্র গ্রীকদিগের নিকট শিক্ষা স্বত্রত। “Rసె করিয়াছেন। উপরিউক্ত ঋষিবচন দ্বারা এই প্ৰলাপও নিরস্ত হইল। “শরীরে ৩৬০খানি অস্থি আছে ইহা বেদবাদীগণের উক্তি কিন্তু শল্যতন্ত্রদ্বারা ৩০০ খানি অস্থিরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাছার মধ্যে শাখা অর্থাৎ হস্তপদ বাহু জানু জঙ্ঘা আদি স্থানে ১২• খানি ; নিতম্ব পঞ্জর পৃষ্ঠ উদর ও বক্ষে ১১৭ খানি গ্রীব ও তাছার উদ্ধ মস্তকে ৬৩ থানি,—সকলের সমষ্টি ৩০০ খানি।” শাবীবস্থান ৫ম অধ্যায়। এস্থলে বেদের সহিত উক্তি বিভিন্ন হওয়ায় ঋষি ভীত হয়েন নাই ; তাহার ভয়ের কোন কাবণও ছিল না। কেন না তিনি পর্য্যবেক্ষণ কবিয়া যথার্থ মতই ব্যক্ত করিয়াছেন। এ ত আর বাইবেল শাসিত দেশ নহে যে তাহার একটা ভ্রান্ত বচন খণ্ডিত হইলে খ গুনকারী শূলোপরি দণ্ডভোগ বা যাবজ্জীবন কারাবাস ভোগ করিবে । ইহা পুণ্যভূমি ভারতবর্ষ। এস্থানে ভূঞ্জোদর্শন ও পরীক্ষা দ্বারা নির্মলীকৃত জ্ঞানলাভ করাই ঋষিগণের মুখ্য উদ্দেশু ছিল। কপিলদেব যজ্ঞের দোষ উল্লেখ করিয়া মোক্ষের অনুপযুক্ত বলিয়াছেন তথাপি তিনি বেদে সন্মানহঁ বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছেন । তিনি রামায়ণে ঈশ্বরাবতার বলিয়া কথিত হইয়াছেন। মহাভারতে র্তাহার বহু প্রশংসা পাওয়া যায় এবং ভগবদগীতায় তাহাব সাংখ্যযোগ জ্ঞান যোগের নামান্তর বলিয়া লিখিত হইয়াছে। পরবত্তীকালেও ধীশক্তি সম্পন্ন ব্রাহ্মণ যুব আর্য্যভট্ট প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে পৃথিবীর দৈনন্দিন আবর্তন ও শূন্তে স্বৰ্য্য প্রদক্ষিণরূপ স্বীয় মত ব্যক্ত করিয়া জ্যোতিষীগণের