পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* عبر

  • Soe

তর্কের বিষয়ীভূত হইয়াছিলেন বটে কিন্তু তজ্জন্ত কোনরূপ দণ্ড ভোগ করেন নাই।

  • গর্ভে ভ্রণের প্রথম মস্ত ক উৎপন্ন হইয়া থাকে ইহা শৌনক বলিয়াছেন কারণ মস্তকই দেহ ও ইন্দ্রিয়গণের মূল। কৃতবীৰ্য্যের মতে হৃদয়, কারণ তাহাই বুদ্ধি ও মনের স্থান। পারাশৰ্য্য বা পরাশর মতে নাভি, যে হেতু নাভি অবলম্বন করিয়া দেহ বদ্ধিত হইয় থাকে । মার্কণ্ডের মতে হস্ত পদ, কাবণ গর্ভ তাহাই অবলম্বন করিয়া স্পদিত হয় । গৌতম স্বভূতির মতে মধ্যশরীব, যেহেতু সকল শরীর তাহতে নিবদ্ধ রহিয়াছে। ইহার কোনটাই যথার্থ নহে যেহেতু ধন্থগুরি বলেন শরীবের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলি যুগপৎ উৎপন্ন হইয়া থাকে ; গর্ভের স্বহ্মত্ব প্রযুক্ত উপলব্ধি হয় না । উদাহরণস্বরূপ বংশাঙ্কুর ও আম্রফল । আম্র পরিপক্ক হইলে কাল প্রভাবে কেশর ( আঁশ ) মাংস ( শাস ) অস্থি ( অঁাটি ) মজ্জা (কশি ) গুলি ঘেমন পৃথক পৃথক প্রকাশিত হয় তরুণ অবস্থায় স্থস্বত্ব প্রযুক্ত সেই গুলি দৃষ্ট হয় না। কালই তাহার কেশরাদি প্রব্যক্ত করিয়া দেয় । এইরূপে ংশাস্কুরও বাখ্যাত হইতে পারে সুতরাং সিদ্ধাস্ত হইল যে গর্ভের তরুণাবস্থায় সৰ্ব্ব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বর্তমান থাকিলেও সূক্ষ্মতানিবন্ধন ইন্দ্রিয়গোচর হয় না । তাহাই পরবত্তীকালে প্রব্যক্ত হইয় ওঠে ।” শারীরস্থান তৃতীয়

ठा५!tग्न । এই বচনে পাঠকবর্গ দেখিবেন ধন্বন্তরির যুক্তি ও সিদ্ধাস্তে কত সারবত্তা রহিয়াছে । তাহার যুক্তি অখণ্ডনীয় ও সিদ্ধাস্ত দোষশূন্ত । এস্থানে অনেকগুলি ঋষির মত উদ্ধত করা ভারতী । পৌষ, ১৩১৭ হইয়াছে । ইহারা সকলে যে ধন্বন্তরির পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী তাহ বোধ হয় না। সুভূতি গৌতম ত বুদ্ধদেবের জনৈক আত্মীয় ও শিষ্ণু এবং কৌমারভূত্য নামক বালচিকিৎসা শাস্ত্রের প্রণেতা। পারাশৰ্য্য অর্থে পরাশর পুত্র অর্থাৎ ব্যাসদেব । তিনি কোন চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রণেতা কিনা তাঙ্গা শ্রী ত হওয়া যায় নাই। তিনি ধৰ্ম্মচর্চা ও যোগাভ্যাসেই রত থাকিতেন। তবে আত্ৰেয় পুনর্ব মুর ছয় শিষ্যেব মধ্যে একজনের নাম পরাশর ছিল জ্যোতির্বৈত্তা পরাশরের ও নাম শ্রুত হওয়া যায়। ধৰ্ম্মসংহিতাপ্রবক্ত। পরাশর মুনির বিষয় ও শোনা যায়। ইহারা সকলেই এক বা বিভিন্ন ব্যক্তি তাহ। ঠিক বলা যায় না । তবে নাগাৰ্জ্জুন যে চিকিৎসাশাস্ত্র প্রণেতা পরাশরকে লক্ষ্য করিয়াছেন তাহা আমাদের অনুমান মাত্র । চরক ও সুশ্রুত উভয় গ্রন্থেই গোমাংসের গুণ ও ব্যবস্থা উক্ত হইয়াছে (চর কবিমান স্থান ৮ম অধ্যায় )। আবার পরক্ষণেই তাহ উষ্ণ অসাত্ম্য—অর্থাৎ যাহা হৃদয় গ্রহণ করিতে চায় না—যাহা আত্মার ভাল লাগে না ;–ও আ প্রশস্ত বলিয়া নিষিদ্ধ হইয়াছে । ( চরক চিকিৎসাস্থান ১৫ম অধ্যায়) । অতএব ইহা নিশ্চয় যে, এ দেশের পক্ষে ইহা অস্বাস্থ্যকর ও অখাদ্য । চরকে ধন্বন্তরীয় চিকিৎসকদের বিষয় এবং ধন্বন্তরিকে প্রণাম আদি লিখিত থাকায় আত্ৰেয় পুনবম ও ধন্বন্তরির সমসাময়িকতা প্রকাশিত হইতেছে । তাহারা ঋষিসংঘে সন্মিলিত হইয়া , মানবহিতকল্পে আয়ুৰ্ব্বেদের একএকটা অঙ্গের উপদেশ দিতে প্রতিশ্রুত হন। শিষ্যগুণ এবং