পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । জন্ত কোমল হস্তে তাহাদিগকে সেবা করিতেন, তখন যে তাহারা তাহাকে স্বর্গের দেবী বলিয়া মনে করিত তাহাতে আর কোনই সন্দেহ নাই। সেই ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্রে চারিদিকে বিক্ষিপ্ত, মৃত এবং আহুতদিগের মধ্যে অমান্নুষিক পরিশ্রমে র্তাহার দিন কাটিত। ভাবিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়—তাহার সুকুমার দেহযষ্টি কেমন করিয়া অবিশ্রান্ত দিনরাত্রি সেই দারুণ ক্লেশ, অভাব ও পবি শ্রম সহ করিত। সৈনিকেরা তাহাকে এতই ভালবাসিত যে তিনি যখন পাশ দিয়া হঁটিয় ষাইতেন তখন তাহারা মুইয়া পড়িয়া তাহার ছায়াকে চুম্বন করিত। এই অমান্নুষিক পরিশ্রম এবং দেবদুর্লভ করুণায় তাহার নাম জগদ্ধি fাত হইয়া পড়িল এবং ইংলণ্ডবাসী সকলেই ১৮৫৬ সালে তাহার দেশে প্রত্যাগমন সময়ে বিপুল সমারোহে তাহাকে অভ্যর্থনা করিবার জন্ত উৎসুক হইয়া উঠিলেন। কুমারী ফ্লরেন্স বাল্যাবধি বাহাড়ম্বরশুষ্ঠ মামুষের নিকট যশোমানলাভে অনিচ্ছুক ছিলেন তাই কাহাকেও তাহার আগমনবাৰ্ত্ত না জানাইয়া গোপনে আপন দেশে ফিরিয়া আসিলেন! দারুণ পরিশ্রমে তীtহার স্বাস্থ্য চিরকালের মত এবং পলিত

  • একে একে সব সার্থী করেছে প্রয়াণ,

শীতের শীতল বায়ু সতত কঁপায়। আর কেন ? ওহি পর্ণ পাণ্ডু ম্ৰিয়মান, এখনও তরুর গায়ে আছো কি আশীয় ?” পলিত পত্র। ףeף ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল, জীবিতকালে অীর তিনি নিজ হন্তে শুশ্রুষা করিবার মুখ লাভ করেন नाई। हेश्ल७नांनौज्ञां शश्वन ॐांशंब्र निभिड কোনরূপ সমারোহ করিতে পারিলেন না তখন তাহাকে উপহার দিবার জন্ত সাৰ্দ্ধ সাত লক্ষ টাকা সংগ্ৰহ করিলেন, কিন্তু মহৎ হৃদয়া কুমারী ফ্লরেন্স সে অর্থও গ্রহণ করিতে অসন্মত হইলেন। তখন সেই অর্থ দিয়া কৃতজ্ঞতার সাক্ষ্যস্বরূপ র্তাহার নামে একটি সেবাগৃহ নিৰ্ম্মিত হইল। জীবনে কুমারী ফ্লরেন্স যে মহৎ সেবাত্রত প্রচার করিয়া গিয়াছেন তাহার স্থান অতি উচ্চে। কি রাজ কি প্রজা কি স্বদেশী কি বিদেশী-আত্মপর উচ্চ নীচ নিৰ্ব্বিশেষে সকলেই তাহার স্বাৰ্থত্যাগ তাহার নিরতিশয় পরদুঃখকাতরতা প্রশংসাপূর্ণ কৃতজ্ঞ হৃদয়ে চিরদিন স্মরণ করিবে । ক্রিমিয়া যুদ্ধে সেবাব্রত গ্রহণ করিয়া তিনি ষে অপূৰ্ব্ব আত্মবিসর্জন দৃষ্টান্ত দেখাইয়া গিয়াছেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকিয় তাহা চিরদিন মানব হৃদয়কে উৎসাহিত এবং মইত্ত্বে প্রণোদিত করিবে । ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী । পত্র । “গেছে সব ! তাহে কিবা ?—শীতের সমীর পলে পলে মৃত্যু আনে কঁপাইয়া কায়া, ভাবিয়াছি, শেষবিন্দু বুকের রুধির— শুকাইয়া কিসলয়ে দিব তৰু ছায়া।” শ্ৰীকালিদাস রায়।