পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4υν হইতে এই প্রথার প্রচলন আছে। কারণ অস্থসন্ধানে তাহারা নিতান্তই নিস্পৃহ । তার পর মহারাজা এক শিবিক বা দোলনায় চড়িয়া অপর এক মন্দিরে চলিলেন, আমাদের কায ঐ পর্য্যন্তই শেষ হওয়ায় আমরা বাড়ী ফিরিলাম। মশালগুলি সাধারণ লোকে কুড়াইয়া লইল । উহা ঘরে থাকিলে নাকি অমুখ বিমুখের আশঙ্কা কম থাকে। পরদিন সন্ধ্যাবেলায় আবার আমরা কেল্লায় সমবেত হইলাম। সেদিন মহারাজা ভারতী। পৌষ, ১৩১৭ তার পর প্রাসাদের বিস্তৃত প্রাঙ্গণে হাতি দৌড়, এবং ঘোড়াদৌড় দেখিয়া রাত্রি আটটায় বাড়ী ফেরা গেল। পরদিন প্রাতে অনেকটা বাঙ্গাল দেশের বিজয়া সম্ভাষণ । জাপানের গুtয় সকলে পরস্পর দেওয়ালীর রাম রাম জানাইতে বাহির হইলাম। ঐ দিবস এগারটার সময় নজর দরবার বসিল। মহারাজা সশরীরে উপস্থিত না হওয়ায় সিংহাসন দণ্ড প্রভৃতিকে প্রতিনিধি ধরিয়া নজর সেলামী শেষ করা হইল। তার পর দশহরার দ্যার আমরা প্রত্যেকে নারিকেল উপস্থিত হইতে পারেন নাই। শাসন দণ্ড,চামর, এবং দুই টাকার জোয়ারী লইয়া ঘরে ঢাল তরওয়াল প্রভৃতি র্তাহার প্রতিনিধি স্বরূপ ফিরিলাম। ধরিয়ালওয়া হইল। মন্দিরে মন্দিরে পূজা হইল, শ্ৰীযদুনাথ সরকাৰ । অন্তঃপুর প্রসঙ্গ। লক্ষীর শ্ৰী । পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিবীর আবিস্তকতা বুঝিলে কোনও বিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্ত যাইতে হয় না। মহিলাগণ নিজে নিজেই ঘরে ঘরে সে ব্যবস্থা করিতে পারেন। আমরা স্বভাবতঃ এক হিসাবে অপরিস্কার । “বিছানা শেষ” মাসান্তেও ধোপার বাড়ী যায় না এমন গৃহস্থ বিস্তর। পরিধেয় বসন নিত্য তিন চার বার ধোয়া হয়—কিন্তু মলিনতার দিকে দৃষ্টি আদপে আমাদের নাই! অনেকে বলিবেন যে “আমরা চব্বিশ ঘণ্ট। রাল্লা বাল্প নিয়া ছেলে পিলে নিয়া ব্যস্ত থাকি ; আমরা গরীব মানুষ—আমাদের মেম সাঞ্জিবার অবসরও নাই, অত ধোপার কড়ি দেবার পয়সাও নাই।” এক কথায় ইহা সকলেরই সঙ্গত মনে হইবে। কিন্তু আলোচনা করিয়া দেখিলে বেশ বোঝা যায় যে অবসর বা অভাবের জন্ত যে আমরা সৰ্ব্বদা অপরিচ্ছন্ন থাকি তাহা নহে ; সে দিকে আমাদের দৃষ্টি নাই বলিয়াই আমরা অপরিচ্ছন্ন থাকি। ছেলেবেল গল্প শুনিয়াছি রাজকন্ত! *গোসা” ঘরে গিয়া শয়ন করিয়া আছেন শুনিয়া রাজা রাণী অস্থির—“কেন মা তুমি রাগ করিয়া কঁাদিতেছ কেন ।” অনেক সাধ্য সাধনায় রাজকন্ত বলিলেন —“আমার ধূলামুঠি কাপড় চাই।” তখন রাজা ও রাণী কাদিতে কঁাদিতে বলিলেন —“তুমি আমাদের সর্বস্ব-সাত রাজার ধন এক মাণিক, আর যা চাও তাই দিব—কিন্তু