পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\so গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন এবং যথারীতি তাহাদের দুজনকেই বিবাহ করিলেন। কিন্তু ঐ দুজনের মধ্যে একজনও ব্রাহ্মণকন্ত নহে ; একটি কৰ্ম্মকার ও অপরটি কুম্ভকারের কন্যা। এই কথা প্রচার হইবামাত্র গ্রামস্থ সকলেই দেবপালের উপর অসন্তুষ্ট হইল। অনন্তর রাজা দেবপাল স্বীয় প্রাসাদের পূর্ব-প্রান্তে দুইটি স্ববৃহৎ পুষ্করিণী খনন করাইলেন এবং উহার মধ্যস্থলে এক-একটি বাড়ি প্রস্তুত করাইয়া দুই স্ত্রীকে তথায় রাখিলেন । তদবধি ঐ দুই দীঘির নাম “দে-সতীনা” বলিয়া চতুর্দিকে ঘোষিত হইল। অতঃপর কেহই আর দেবপালকে ব্রাহ্মণ বলিয়া মান্ত করিত না এবং তাহার সংশ্রবে থাকিলে জাতি ও ধৰ্ম্ম নষ্ট হইবে, এই আশঙ্কায় সেই _ छोब्रडौ । কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ গ্রামবাসী ব্রাহ্মণগণ সকলেই স্ব স্ব পৈত্রিক বাসস্থান পরিত্যাগ করিয়া ভিন্ন গ্রামে গিল্প বাস করিতে লাগিলেন । সেই অবধি ঐ গ্রাম ব্রাহ্মণশূন্ত হইয়াছে। রাজা দেবপাল দীর্ঘকাল বাচিয়া ছিলেন কিন্তু তাহার কোনো পুত্রকন্ত জন্মে নাই । কালক্রমে ঐ দেবপল্লীর নাম ‘দে-পাড়া’ হইয়াছে। উক্ত গ্রামবাসীদের নিকট রাজা দে পালের নাম ও অনেক বিচিত্র কাহিনী শুনা যায়। তাহদের কথিত দে পালই যে সেই ইতিহাস-প্রসিদ্ধ দেবপাল, সে বিষয়ে সন্দেহ করিবার কোনো কারণ নাই । অতীতের সাক্ষ্যস্বরূপ এই “দো-সতীন” দীর্ঘিকা আজ অবধি বৰ্ত্তমান ब्रश्म्निो८छ् । ঐবিপিনবিহারী চক্ৰবৰ্ত্তী। শারদ-লক্ষী । পুলক-ঢালা আকাশ-নীলে ছায় কি তব স্পর্শ । উড়িয়ে-চলা মেঘের কোলে বেড়ায় ছুটে হর্ষ ? ছড়িয়ে-পড়া সোনার রোধে ভাসে মুখের দীপ্তি ? আকাশ ৰন সমীর চুমি ভায় কি তৰ তৃপ্তি । সবুজ ধানে ঢউ তুলিয়ে বহু কি তুমি বহগৈ৷ r কৃষাণ-বধু পরাণ মধু চুমিয়া তুমি রহ গো । মদিল্লখন শেফালিবাসে বিকাশে হৃদি-বেদন| r কল-আরাবে কৃহরে কি গো মুখর শত কামনা ? পরাণ আজি করুণ বাজি খুজিয়া ফিরে তোমারে, নয়ন-মনে পরশমুখে চাই ষে তৰ দেখা রে ? কপোতগলে বরণ-মালে চকিতে যাও মিলায়ে, কাশের ফুলে ধরিতে গেলে যাও যে মেঘে পলীয়ে ! ফাটিয়ে-টুটা চকিতে-ছুটা তোমার পাব দেথা কি ? বাধন-হার কণাগুলির কোথাও আছে মেলা কি ? শ্ৰীমুখরঞ্জন রায়। প্রেম ও মিলন । প্রেম চায় মিলনের নিবিড় সংযোগ, অনিবৃত্ত আকাঙ্ক্ষার অবিচ্ছেদ ভোগ ; মিলন কাদিয়া ফিরে সরমের মাঝে,— প্রেম-কণ্ঠে নিরাশার ভগ্নবীণা বাজে ! ঐকান্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত।