পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । আজ রোগশয্যায় শায়িত। তোমরা কি এখন তাহার সেবায় নিযুক্ত হইবেন ?" রাম ভাবতের দুঃখ কাহিনী বর্ণনা করিতে করিতে আত্মহারা হইয়া উন্মত্তের দ্যায় বলিয়া ছিলেন যে,— “তোমরা রামের দেহকে পরিত্যাগ করিতে পার, রামকে নিষ্পেষিত করিতে পার, রামকে কাটিয়া থও থগু করিতে পার, রামের দেহ লইয়। যtহ] ইচ্ছ। তাঁহাই করিতে পার কিন্তু দোঙ্গাই তোমারের ভারতের পক্ষ অবলম্বন কর, সত্যের পক্ষ অবলম্বন কর ।” জাতিভেদেব কথা বলিতে গিয়া বলিয়া ছিলেন,— “কে তুমি কে আমি দে নিম্নশ্রেণীর কার্যাকে নাচ বলিব বা ঘৃণা করিব । পুরোহিত যোদ্ধা বা ব্যবসায়ী অপেক্ষ। তাহাদিগের কায্য কি সে হল ? ভারতের অবস্থা এমনই শোচনীর হইয়া দাড়াইয়াছে যে পথ দিয়৷ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ব৷ বৈষ্ঠের গমনাগমন করেন সে পথ দিয়া শূদ্রের যাইবার অধিকার নাই । সে গ্রামে ব্রাহ্মণ কণযস্থ বাস করবেন সে গ্রামে নিয়শ্রেণীর বাসের অধিকার নাই । যদি শূদ্রের ছয ব্রাহ্মণের উপর পতিত হয়, তাহা হইলে তাহাকে স্নান করিয়া পবিত্র হইতে হইবে, যদি নিম্ন জাতির লোক কোন দ্রব্য স্পশ করেন তাহা হইলে তাহ অপবিত্র কলুষিত হইয়৷ উচ্চ জাতির ব্যবহারের অনুপযুক্ত হইয়া যায়। নিম্ন জাতির বালকগণ উচ্চ জাতির বালকদিগের সহিত একই বিদ্যালয়ে পড়িতে পায় না । ইহা অপেক্ষা অমানুষিক অত্যাচার আর কি হইতে পারে। এ সব কথা ভাবিতে রামের হৃদয় বিদীর্ণ হইযt যtয় ।” নারী জাতিকে রাম বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধা করিতেন। র্তাহাদের উল্লেখ কবিয়া বলিয়াছিলেন,— "ইহার স্বৰ্গীয় জিনিষ, ইহাদিগকে পুজা করিতে হয়। ইহার দেবতা, আত্মদেব সৌন্দৰ্য্যস্থয্যের সমুজ্জ্বল রশ্মি। যে শাস্ত্র, যে বিধি নারী ও শূদ্ৰকে স্বামী রামতীর্থ।

  • ) 2

অজ্ঞানীন্ধকারে নিমজ্জিত রাখিতে চায় তাহাকে কৰ্ম্মনাশার জলে নিক্ষেপ কর ।” স্বামী রাম বেদান্তদর্শনের জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তি ছিলেন। অনেকে বেদান্ত পাঠ কবিয়াছেন বেদান্ত আলোচনা করিয়trছন কিন্তু কেহ রামের মতন জীবনে বেদান্ত প্রতিপালন করেন নাই । কি প্রাচ্য কি প্রতীচ্য দাশনিক যিনিষ্ট রামের সষ্ঠিত আলীপ করিয়াছেন, সহ বাস করিয়াছেন, তিনিট ইষ্ট স্বীকার করিয়াছেন । রাম সত্যের জন্ত দণ্ডায়মান হষ্টয়াছিলেন । তিনি কোনও দিনই শাস্ত্রের অর্থ কদৰ্য্য করিয়া আপনার মত সমর্থন কবেন নাই । যেখানেই শাস্ত্রের সহজ ও সরল অর্থের সহিত র্তাহার মতের অনৈক্য হইয়াছে সেখানেই মুম্পষ্টরূপে •ভtহা স্বীকার করিয়াছেন। এখানেও রাওর্ষি রামমোহনের কথা মনে পড়ে। তিনি হিন্দু মুসলমান খৃষ্টায়ান প্রভৃতি নানা সম্প্রদায়েব সহিত ধৰ্ম্মযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া{ছলেন তিনি ' কোন ও স্বার্থসিদ্ধির জন্ত শাস্ত্রেব কদৰ্থ করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করেন নাই । স্বামী রাম সরলতার আদর্শ ছিলেন । র্তাঃার সরল অমায়িক ভাব দেখিয়া সকলেই মুগ্ধ হইয়। যাইতেন। যাহা সত্য বলিয়া বুঝতেন তাঙ্গ সরল স্পষ্ট কথায় বলয় যাইতেন । লোক বা সমাজ বিশেষের খাতির রাখিতেন না। দেরাদুনস্থ আর্য্যসমাজ মন্দিরে বক্তৃতাক লৈ তাছাদের অতি প্রিয় “হোমযজ্ঞে”র অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা উপলক্ষে বলিয়াছিলেন— এক বাক্যে “অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কবিয়া বায়ু পরিষ্কার করিবার জন্ত হোমের প্রয়োজন নাই। প্রতি গৃহে শত সহস্র