পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

braや ধৰ্ম্ম সংস্থাপন করিয়াছেন বলিয়া এইরূপ মনে করা যেমন হস্তকর তেমনি অসার-অযৌক্তিক। প্রকৃতপক্ষে ভারতের অধিকাংশ মুসলমানই হিন্দুসস্তান; অতএব ধৰ্ম্ম ভিন্ন আসলে আমাদের ভেদ কিছুই নাই।—আমরা উভয় ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ই ভারতসন্তান, এবং উভয়ে মিলিয়া দেশের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধনে যত্নবান হইলে অনতিবিলম্বে যে আমাদের প্রণষ্ট গৌরব আমরা ফিরাইয়া আনিতে পারিব তাহাতে সন্দেহ নাই । পরিশেষে সৰ্ব্বজন মাননীয় ভক্তিভাজন নবাব আবদুল জব্বার সি, আই, ই, সাহেবের কথায় এ প্রবন্ধের পরিসমাপ্তি করিতেছি । গত ১৯০৭ খৃষ্টাব্দে তিনি কলিকতাব কোন এক সভায় এইরূপ বলিয়াছিলেন-- আমি আশা করি হিন্দুমুসলমান ভ্রাতার গুtয় কাৰ্য্য করিবে ও রাজনৈতিক অনুশীলনে পরস্পরকে সাহায্য করিবে। প্রতি দ্বন্দিতায় ক্ষতি নাই, কিন্তু দ্বেষ হিংসা ঘৃণাৰ্ছ ও ক্ষতিকর। উভয় জাতির সম্বন্ধ সৰ্ব্বদ। সাম্যভাব সুচক হইবে । যেখানে শান্তি নাই, ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ যে দেশেব লোক অহরহ কলহে মগ্ন সে দেশে বিজ্ঞান বা সাহিত্যের সম্যক বিকাশ অসম্ভব। যেখানে ভূমিবিষয়ক বিবাদ বিদ্যমান সেখানে শস্য কদাচিৎ জন্মায়। সৰ্ব্বজনীন শাস্তি ব্যতীত শিল্পকলারও বিস্তার হয় না । এমন কি মনে শাস্তি না থাকিলে দেবারাধনাও সম্ভব নহে । র্যাহার দেশে শান্তি স্থাপনের প্রয়াস পান তাহারাই প্রকৃত দেশহিতৈষী । আর যাহারা ঐ বন্ধুত্বকে ভঙ্গ করিতে উদ্যত, র্তাহারা মানব জাতির শত্র। আমরা হিন্দুমুসলমান একই দেশের অধিবাসী ও একই রাজার প্রজ,— বিবাদে আমবা কিছুই লাভ করি না ; তাতাতে কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হই। এ দেশের কুলতিলক স্বনামধন্ত মহানুভব মুর্শিদাবাদ নওয়াব বাহাদুরের ন্তায় যাহার অlমাদিগকে সখ্য ভাবে থাকিতে উপদেশ প্রদান করিয়া থাকেন, তাহারাই আমাদের প্রকৃত হিতৈষী। মতের বিভিন্নতা সময়ে সময়ে হইতে পারে, কিন্তু তাহ যেন আমাদিগকে মন্দ অভিপ্রায় বা ঈর্ষার পথে না লইয়া যায়। শাস্তিই আমাদের এখন একমাত্র অাদর্শ সেখানে উন্নতিও নাই। প্রজাপুঞ্জেব মুখ হউক । ব্যতীত কোন মহৎ কাৰ্য্য সাধিত হয় না। শ্ৰমৈমুদ্দীন হোসেন। বক্তব্য । যে হিন্দুমুসলমান এতকাল পাশাপাশি আত্মীয়ের মত সদ্ভাবে বাস করিতেছিল, আঞ্জ তাহীদের মধ্যে অকারণে একটা অপ্রীতির লক্ষণ আসিয়া দেখা দিয়াছে । সমাজের এরূপ সঙ্কট সময়ে উভয় পক্ষেরই উদারতা ও সহামুভূতির একান্ত আবস্তক। প্রবন্ধকার মহাশয় এই উভয় সম্প্রদায়ের মিলন সম্বন্ধে যেরূপ অপক্ষপাত উদার মত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা দেখিয়া আমরা মুগ্ধ হইয়াছি। তাহার ন্তায় মিলনত্ৰ তী হিন্দুমুসলমানের • সংখ্যা দেশে অধিক থাকিলে, আমাদের মধ্যে এ মনোমালিষ্ঠের সম্ভাবনাই ঘটিত না । কিন্তু