পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । জগৎস্রোত তালে তালে ঘুরিয়া উঠিল ; সে অস্ফুটকণ্ঠে বলিল “না না তুমি আমার সঙ্গে কথা কয়ে না, আমি কিছুই চাই না তোমাব কাছে, শুধু তুমি আমার সঙ্গে কথ। কয়ে না ।” বলিতে বলিতে সে পাগলের মত তেমেন্দ্রে ব ঘবের দাবের দিকে ছুটিয়া গেল । যোগেশ তাহাব এরকম অদ্ভুত ব্যবচারের কোন অর্থ না পাইয়া প্রথমে কিছুক্ষণ হতবুদ্ধি হইয়া গেল, তারপর হঠাৎ একটা কথা মনে পড়িয়া গিয়া মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সমুদয় ব্যাপাবট। তাছাব চোখেৰ সম্মুখে পরিস্ফুট হইয়া উঠিল। শান্তি ঘরে প্রবেশ করিবার পবই সে যেন একবার হেমেন্দ্রেব উত্তেজিত কণ্ঠেব সাড়া পাইয়াছিল ;–ঠিক হইয়াছে, —তাহার মধ্যে যেন যোগেশেরও নাম ছিল না ?--বেtগেশ বোষে ক্ষোভে অপর দংশন করিল –“বটে, এইটুকু পৰ্য্যস্ত সহে নাই, বটে ? অtছ দেখা ষাকৃ এই যোগেশ নইলে তোমাব কেমন দশা হয় ; একবার তবে দেখ । অকৃতজ্ঞ ! এত সন্দেহ ! এত ভয়—তোমার !” যোগেশ সহসা একটু কুষ্ঠিত হইয়া পড়িল, —“সেও কি কোন রকম সন্দেহ, অবিশ্বাস করেচে ? তাই যেন মনে হয়,--ছি ছি ! না আমি এমনিই কি দোষ করেছি ? আমার উদ্দেশ্য কিছুই মন্দ ছিল না, শুধু দয়া ! ওদের অনেক খেয়েছি অনেক পাবার ও আশা রাখি তাই। তবে চাদকে দেখে চোখ বুজবে এমন মুর্থ কে আছে ? ফুলট দেখলে মন যে মুন্দব বলে তারিফ করবে, তাতে দোষই বা কি ?” খোলা জানালীর মধ্য দিয়া স্থৰ্য্য কিরণ পোষ্যপুত্র। レア○○ গৃহে প্রবেশ করায় খুব সকালেই ছেমেন্দ্রের ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। বিছানা ছাড়িয়া উঠিবার ইচ্ছা ছিল না । জানালাটা বন্ধ করিতে বলিতে গিয়া হঠাং পূর্ণ রাত্রির ঘটনাটা মনে পড়িয়া গিয়া মনট একটু খাবাপ হইয়া গেল । শাস্তি গেল কোথায় ? এই অজানা জায়গা বিশেষ বাড়ীব গায়েই ওই একটা পুকুব আছে। নতুন করিয়া অবি ঘুমান হইল না। উঠিয়া বাহিবে আসিতেই দেখিল ; দ্বারের পাশে মাটিতে অঁাচল পা৩িয় শুষ্টয় শান্তি ঘুমাইয়া রহিয়াছে। আকস্মিক দুর্ভাবনার আতঙ্ক হইতে মুক্ত হইয়া সে হাফ ছাড়িল । সকাল হইয়াছিল। আজ উজ্জল সুন্দব প্রভাত । উদার উন্মুক্ত আকাশে বিহঙ্গ - পক্ষের মত লঘু শুভ্ৰ মেঘ প্রা তঃস্থৰ্ঘ্যের স্বর্ণময় কিরণে বিচিত্র হইয়া উঠিয়াছে। চারিদিক কার গাছপালা হইতে একটা পার্থীব কাকলী, পাতার মৰ্ম্মব ও ফুলের গন্ধ একসঙ্গেই নিৰ্ম্মল স্নিগ্ধ বাতাসে ভাসিয়া উঠিতেছিল। হেমেন্দ্র চলিয়া যাইতে উদ্যত হইয়া হঠাৎ কি ভাবিয়া একটু দাড়াইল । সেই রাঙ্গামেঘের ছায়ায় শাস্তির বিবর্ণ ললাটে, গণ্ডে কি স্নিগ্ধ রক্তিমাই ফুটির উঠিয়াছিল। আলুথালু কৃষ্ণচুলের রাশি খুলিয়া পড়িয়া পত্রান্তরালস্থিত ফুলটিব মতন আধখান মুখকে ঢাকিয় ফেলিয়াছে ; মুখথানির উপর হইতে সৰ্ব্বসন্তাপহরা নিদ্রা.দবী তাহার সকল বেদন সকল ক্লাস্তি নিঃশেষ করিয়া মুছিয়া লইয়া তাহাকে প্রশান্ত বিশ্রাম দান করিয়াছিলেন, তথাপি সেই নিদ্র নির্মীলিত চোখের কোলে অশজলের একটি