পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و)ty O মতন করিয়া যথাস্থানেই সাজাইয়া রাথিত । আঁচল দিয়া টেবিলটি মুছিয়া কেদারাখনি ঝাড়িয়া সেই আঁচলখানি মাথায় ঠেকাইয়। তারপর অপরিতৃপ্ত চিত্তে আবার দ্বার বন্ধ করিয়া দিয়া ধীরে ধীরে ফিরিয়া আসিত। কই সেখানে তো তাহার জন্ত কোন সাম্বন, কোন আশ্ৰয়ই নাই ! সে যে বিনোদকে জানিত—যে তাহার স্বামী— তাহার স্মৃতি—তাহার যোগ ত ইহাদের মধ্যে সে দেখিতে পায় না ! হাতেব লেখাগুলি এমন সুন্দর এমন রচনাসরস ! মুর্থ শিবানী তো তাহার হস্তাক্ষর পূৰ্ব্বে কখনও দেখে নাই তাই তাহার নিকটে তাহাঁদেরও শক্তি যেন মন্ত্রনিরুদ্ধবীৰ্য্য ! এখানে আসিয়া শিলানী তাহার শ্বাগুড়ির পরিত্যক্ত গৃহে স্থান পাইয়াছিল । সেই ঘরের প্রবেশ দ্বারের উপরে একখানা বিচিত্র ফ্রেমে বাধীন বিনোদের চিত্র। কিশোর বিনোদ, অজাত গুম্ফ, কুঞ্চিত কেশ উৎসাহ চঞ্চল দৃষ্টি, মাত ভূবনমোহিনীর কোল ঘেঁসিয়া তাহারই বাহুর উপর ঈষৎ হেলিয়া রহিয়াছে। শিবানী প্রভাভে সৰ্ব্ব দেবতার পূৰ্ব্বে ইহাকেই প্রণাম করিত। প্রথম ভাগ্য পরিবর্তনের বিস্ময় ও শাস্তির ভালবাসার আবর্তে পড়িয়া কিছুদিন যেন সে একটু শান্তি পাইয়াছিল। কিন্তু শাস্তির গমনে তাহার অন্তরে পূর্বের মতন হাহাকারই পুনরায় জাগিয়া উঠিয়াছে। সিদ্ধেশ্বরী মেয়েকে এখনও চিনিয়া উঠিতে পারেন নাই, আর যে কখনও পরিবেন সে অtশাও অধিক ছিল না । সেই সব ভাবিয়া চিন্তাইয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে বেইমানি মেয়েকে ভারতী । - মাঘ, ১৩১৭ কোন কথাই আর বলিবেন না । তবে নেহাৎ মায়েব প্রাণ কিনা সেইজন্যই যা মধ্যে মধ্যে এক-আধ দিন নেহাৎ অসৈরণ হষ্টলে তাহারি ভালর জন্ত ফুকথা না বলিলেও, চলে না । পোড়া মেয়ের ‘বরাত' যে এখনও মেঘাচ্ছন্ন রহিয়াছে, শ্বশুবকে দিয়া ইহার একটা প্রতিকার করান যে তাহার পক্ষে কৰ্ত্তব্য এই সামান্ত কথাটি ‘অবাগীর বেটি'কে না বোঝাইয়াই বা থাকেন কেমন করিয়া ? কিন্তু একগুঁয়ে মেয়ে এখনও সেই পূর্বের মতনই নিজের গোয়ে হয় চুপ করিয়া শুনিয়া যায়, না হয় কাষ্ঠের মতন শক্ত হইয়া শুধু বলে “আমি বলব না” । এদিকে সিদ্ধেশ্বরী শুনিয়াছেন কর্তা নাকি উইল কবিতেছেন তাহাতে হেম ও হেমের বউ তাহার অৰ্দ্ধেক বিষয় পাইবে । এমন সময় শিবানী যদি শ্বশুরকে বলে—সেটা ঠিক নয়—তবে অনায়াসে কার্য্যসিদ্ধ হয়,—তাত সে বলিবে না ! পোড় কপাল অমন বুদ্ধির । রাগ করিয়া একদিন সিদ্ধেশ্বরী বলিলেন ‘আমার এখানে আর মন টিকচে না আমি বৃন্দাবনে যাই, কি বলিল ?” শিবানী আগ্রহে তৎক্ষণাৎ বালল, “তাই চল মা তাই চল, আমরা দুজনেই যাই ।” হা রে বুদ্ধি ! সিদ্ধেশ্বরী আর উচ্চ বাচ্য করিলেন না। কিন্তু শিবানীর চিত্তে এই সম্ভাবনাটা যেমন হঠাৎ জাগিয়া উঠিয়াছিল তেমনি শীঘ্রই মিলাইয়া গেল না । একদিন রাত্রে সে মায়ের ঘরে গিয়া তাহার কাছে বসিল । সিদ্ধেশ্বরী একটু বিস্মিত হইয়া গেলেন। সে বড় একটা আপন হইতে র্তাহার কাছে