পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C&S কিন্তু মন্দা ! দু'দিন মন্দা আসে নাই, তাই তাহার জন্ত প্রাণ ছটফট করিয়াছে ! কেন ? আজ রাত্রে সে মুক্ত হইবে, বন্ধনহীন হইবে—তবে আর কাহার জন্ত চিন্ত । সে আজ চিত্ত দৃঢ় করিয়াছে ! কিন্তু হায়, তবু মন বলে, মন্দা ! وينا সন্ধ্যার সময় বন্দন শেষ করিয়া সন্ন্যাসী বসিয়াছে । আজ গভীর রাত্রে সে ললিতগণ ত্যাগ করিবে । এমন সময় মন্দার ঠাকুমা আসিয়া প্রণাম করিল, “ঠাকুর, মন্দার বড় অসুখ করেছে, একবার তাকে দেখবেন চলুন।” সন্ন্যাসী চমকিয়া উঠিল, “মন্দার অসুখ— কি অমুখ ?”

  • বসন্ত হয়েছে।”

সন্ন্যাসী কাঠের মত বসিয়া রহিল। এ কি পরীক্ষা । আজ সে যখন সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করিতেছিল, তখন সব চেয়ে কঠিন বন্ধনের কি এ নিদারুণ আকর্ষণ ! মন্দা তাহার কেহ নয়, বিশেষ সে চিকিৎসক নহে, কি হবে মন্দাকে দেখিয় ? আর নহে, আবার নুতন করিয়া সে ধরা দিতে রাজী নহে । “আমি গৃহীর বাড়ীতে যাই ন ত আপনাকে আমি এই ছাই দিচ্ছি, এতেই ভাল হবে ।” বৃদ্ধ অনেক অমুনয় করিল, কহিল, “ঠাকুর তোমারই কাছে সে আসত, এখানেই কি অপরাধ করে সে রোগওস্ত হয়েছে,— তুমি দয়া করলেই সে সেরে উঠবে— একটিবার চলো।” সন্ন্যাসী কহিল, “ন৷”— उॉब्रउँौ । ר נסיצ ,f&sןף ፃ হোমের আগুণ নিভিয়া গিয়াছে—এইবার গ্রাম ত্যাগ করিবার সময় আসিয়াছে। অদূরে মন্দাদের বাড়ী, একটা ঘর হইতে আলো আসিতেছিল—বোধ হয়, ঐ ঘরে মনা আছে । সেই দিকে চাহিয়া জল আসিল,—কিন্তু না ! সন্ন্যাসী ধীরে ধীরে উঠিল, এইবার সে ললিতৰ্গ ও তাহার স্মৃতির সহিত সমস্ত সম্বন্ধ শেষ করিবে । এমন সময় কুটিরের দ্বারে একজন স্ত্রীলোক আসিয়া দাড়াইল,— বস্ত্রে সমস্ত দেহ সংবৃত, মুখ খেtল । বিস্মিত সন্ন্যাসী কহিল, “কে ?” সন্ন্যাসীর পায়ে মাথা রাখিয়া সে কহিল, “কমল—” মুহূর্তে সন্ন্যাগী দশ হাত সরিয়া গেল,—- ক্ষীণ আলোকে একবার মুখখান দেখিয়া লইল—“কমলা ?” বোধ হয় দাড়াইবার ক্ষমতা লোপ পাইয়াছিল—সন্ন্যাসী বসিয়া পড়িল । “এ কি ?” দুই পা বুকের মধ্যে জড়াইয়া ধরিয়া কমলা কঁদিতে লাগিল “এক মুহুর্বের দুৰ্ব্বলতা আমাকে কি পাপের মাঝখানে এনে ফেলেছে —তা তোমাকে কি বলব ? তোমার সমস্ত হোমাগ্লির দাহর চেয়ে তীব্ৰ জাল আমাকে দিনরাত্রি পুড়িয়ে মারচে—উপায় নেই,— উপায় নেই—” সন্ন্যাসী পা ছাড়াইয়া লইবার চেষ্টা করিল -“আমাকে স্পর্শ করোনা—” কমলা ফু পাইal কাদিতে লাগিল । সন্ন্যাসীর চোখে