পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペペ আমার পানে কি বিস্ময়ের সহিত সে চাহিয়াছিল ! চোখে একটা কেমন যেন ভাব ! যেন একটা কাতরতার লক্ষণ ! মাঝে মাঝে সে শুধু ঘবের কোণে তাব ধাত্রীর পানে চাহিতেছিল –ধাত্রী কাদিতেছিল । মেরির গালে চুমা দিয়া তাকে বুকেব মধ্যে চাপিয়া রুদ্ধস্বরে আমি ডাকিলাম,—“মেবি, মেরি অামাব !” মেরি আমাকে মৃত্নভাবে ঠেলিয়া মুখ সরাইয়া লইল! কছিল, “আঃ–ছাড়ন আপনি আমাকে !” 'আপনি !’ প্রায় এক বৎসব পরে সাক্ষাৎ ! এই এক বৎসরে সে আমাকে ভুলিয়া গিয়াছে ! আমার কথা, আমার মুখ, অামাব আদর অtজ মনের মধ্যে কোথায় সব মিলাইয়া গিয়াছে । তারই বা অপরাধ কি ? আমার এই দীর্ঘ শ্মশ্র, মস্তকে জটার মত কেশের ভাব, শীর্ণ পাণ্ডুব মুখ, কয়েদীব পোষাক, রুদ্ধ ভগ্ন কণ্ঠস্বর—কি করিয়া সে চিনিতে পারিবে ? একমাত্র যে আমাকে মনে রাখিবে বলিয়া হৃদয়ে সত্ত্বন ও সুখ ভোগ করিক্তে ছিলাম আজ সে,—সে-ই আমাকে ভুলিয়া বলিয়াছে—চিনিতেও পারে না ! হা ভগবান ! আজ আমি তার বাবা’ নহি ! নিজের কস্তার মুখে পিতৃসম্বোধন, কচি ফুলের পাপড়ির মত তার হাসিমাথা মুখে সেই মধুব সম্বোধন, “বাবা” ! হায়, আiজ আমি তাহা হইতেও বঞ্চিত! কি এ দারুণ অভিশাপ ! এ সময়, জীবনের এই শেষ মুহুর্তে, একবার, শুধু একবার ঐ একটি ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ সম্বোধনের পবিবৰ্ত্তে আমার কস্তার মুখের ঐ একটি আহবান মুহূর্তের জন্য শুনিতে পারিলে, চল্লিশ বৎসরের এই সুদীর্ঘ জীবন অামি হাস্ত্যমুখে দান করিতে পারিতাম ! “মেরি”—তার ছুটি হাত মুঠার মধ্যে পুরিয়া আমি ডাকিলাম, “মেরি, মা আমার— আমাকে চিনতে পাচ্ছ না ?” সে তার উজ্জল দীপ্ত চক্ষু আমার পানে ফিরাইয়া, ভংসনার স্বৰে কহিল, “না !” আমি ক হলাম, “দেখ, ভাল কবে চেয়ে দেখ–কে আমি ?” সে কহিল, “ আপনি—আপনি এক জন ভদ্রলোক !” কি অমান তার কণ্ঠস্বর ! হtয়—জগতেব যে একটি প্রাণীর প্রতি সমস্ত হৃদয় ঢালিয়া দিয়াfছ, যাব একটা কথা, একটু হাসিব জষ্ঠ সৰ্ব্ব ৰ বিকাইয়। দিতে পারি, তার মুখে আজ এই কথা, তার চক্ষুতে আজ এই দৃষ্টি ! কি বিড়ম্বিত এ জীবন ! আমি কহিলাম, “মেরি,—তোমার বাবা আছে ?” সে কহিল, “আছেন ।” আমি কহিলাম, “কোথায় সে ?” মেরি আমার পনে চাহিয়া বলিল, “তিনি বলুন !” হী রে কষ্ঠা আমার ! হা রে দীর্ণ পিতৃহৃদয়ের ব্যাকুলত। আমি কছিলাম, “কোথায় তিনি ?” - মেরিব চক্ষে নিমেষে একটা মানিম লক্ষ্য করিলাম—মেরি কহিল, “তিনি স্বর্গে !” আমি কহিলাম, “স্বর্গে ? মেধি, জানে, এ স্বর্গ কোথায় ? এ স্বর্গের মানে কি ?”