পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

برا را با শাস্ত্রকার ও দার্শনিক পণ্ডিত যাহীদের মীমাংসায় ভিন্ন ভিন্ন পথ অবলম্বন করিয়াছেন, আত্মজ্ঞান, অভিব্যক্তিবাদ, কাৰ্য্যকারণ, প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি, অদ্বৈতবাদ, বিবৰ্ত্তবাদ, জগতের শুভাশুভ প্রভৃতি অনেক দার্শনিক সমস্তা গুরুদাস বাবু কে বল আলোচনা করিয়াই ক্ষীস্ত হন নাই, আপনার স্বাভাবিক মনীষী বলে, সে সকলের প্রকৃত তথ্য নির্ণয় করিবার জন্ত যত্নবান হইয়াছেন । দার্শনিক তত্ত্ব শুনিলেই অনেকে ভয় পাইয়া থাকেন, কিন্তু এস্থলে আশঙ্কার কোন কারণ নাই । স্বীকার করি দার্শনিক প্রসঙ্গ স্বভাবতঃ নীরস এবং অনেক সময় তাহার আলোচনায় নীরসত বাড়িয়া উঠে এবং আলোচ্য বিষয় অধিকতর ফুৰ্ব্বোধ্য হইয়া পড়ে ! কিন্তু সে দোষ কাহার ? বিষয়টি সম্যকরূপে বুঝিতে না পারিলে সে বিষয়ে তাহার আলোচনা বিকলাঙ্গ ’ এবং দীর্ঘ দীর্ঘ ‘কোটেশন’ আপনার বক্তব্যের অভাব পূর্ণ করিতে বাধ্য হইতে হয় । আলোচনা দ্বিবিধ এক মুল কারণtথসন্ধান, আর ব্যবহারিক কাৰ্য্যে তাহার প্রয়োগ নিরূপণ। গুরুদাস বাবু উভয় ভাবেই ‘জ্ঞান ও কৰ্ম্মের আলোচনা করিয়াছেন । এ গ্রন্থে, একদিকে ষেমন বুধমণ্ডলী, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শাস্ত্র বিজ্ঞানের নিগুঢ় রহস্যজাল কিরূপে অনায়াসে বিচ্ছিন্ন হইয়াছে দেখিয়া বিস্ময় বিমূঢ় হইবেন অন্যদিকে সাধারণ পাঠক জ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং কৰ্ম্মে বলিষ্ঠ হইবার উপযোগী চরিত্রগঠনের অনেক উপাদান পাইবেন। সরসতা বিধানের জন্ত ইহাতে মধ্যে মধ্যে মনোহর গল্প সন্নিবিষ্ট হইয়াছে । ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ অনেকের স্মবণ থাকিতে পারে যে লড কজ্জনের শাসনধীনে ছাত্রনিবাস সম্বন্ধে তুমুল আন্দোলনের স্বষ্টি হয়। সে সম্বন্ধে গুরুদাস বাবুর অভিমত জানিবার জন্ত অনেকের কৌতুহল জন্মিতে পাবে, তজ্জন্ত আমরা নিয়ে তাহ অবিকল উদ্ধত করিয়া দিলাম। যে সকল ছাত্র দুর হইতে আইসে ও যাহদের কোন অভিভাবক নিকটে নাই, তাহাদেব থাকি বার জন্ত বিদ্যালয়ের নিকটে ও বিদ্যালয়েব কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ছাত্রনিবাস থাকিলে ও তথায় ছাত্র ও শিক্ষক একত্রে অবস্থিতি করিলে সুবিধা হয় সন্দেহ নাই । কিন্তু সুধিধার সঙ্গে সঙ্গে অসুবিধাও আছে । বহুসংখ্যক ছাত্রের একত্রবাস সুশৃঙ্খলামত হওয়া অতি কঠিন ব্যাপার এবং তত্ত্বাবধানের একটু ক্রাট হইলেই অনেক অনিষ্ট্রেব সম্ভাবন স্বজনবর্গের মধ্যে থাকিলে শিক্ষার্থীব চিত্তবৃত্তিব যেরূপ বিকাশ হইতে পারে, ছাত্রনিবাসে, শিক্ষকের নিকটে থাকি লেও সেরূপ হওয়া সম্ভাবনীয় নহে ৷ ছাত্রগণ স্ব স্ব আবাসে থাকিলে স্বী তন্ত্র্য ও সংসারের সৰ্ব্বদিকে দেখা গুনা অভ্যাস করিতে পাবে, ছাত্রনিবাসে থাকিলে তাই না । সুশাসিত ছাত্রনিবাসে ছাত্রগণ কলের মত পরিচালিত হইতে পারে, কিন্তু স্বতঃ প্রবৃত্ত হইয়া মানুষের মত চলিতে শিথে কি ন সন্দেহের স্থল । অতএব নিতান্ত প্রয়োজন ন হইলে, এবং তত্ত্বাবধারণের বিশেষ সুযোগ না থাকিলে ছাত্রনিবাসে থাকা বাঞ্ছনীয় বোধ হয় না । কেহ কেহ মনে করেন, ছাত্রনিবাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সৰ্ব্বদা সমাবেশ হইতে-পারে, অতএব ছাত্র নিবাসে অবস্থান প্রাচীন ভারতে