পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্য । কৰ্ত্তব্যই প্রত্যাখ্যান করিয়া থাকেন । আমেরিকার রমণী সমাজে যে সকল পুরুষের সংসর্গে আসেন প্রায় তাহদের সকলেরি তাঙ্ক বাণিজ্য বুদ্ধি, এই আলাপ পরিচয়ের ফলে রমণীগণের বিষয় বুদ্ধি পরিণত হইয়া উঠে—র্তাহারা সুচারু নিপুণতার সহিত আপুন আপন বিসযু কৰ্ম্ম চালাইয় থাকেন । যদি ও ধনলাভই জীবনের মুখ্য উদ্দেষ্ঠ নহে তবুও সাধারণ্যে প্রতিপত্তি লাভ যে উহাদের জীবনের অস্বীকার করা সায না | দেশ ভ্রমণের নিত্য নুতনের আকাঙ্ক্ষীয় চঞ্চল হইয়। কত স্থানে উপনিবেশ স্থাপনের লেতা ३३ ब्रttछ्न, গণ্ডীর মধ্যে হৃদখের সহানুভূতি এবং আবিস্কাবাক তুহল সংযত করিয়া BKS BBBB BBB BBS SBBB BBS BBBB বপিন। ইউরোপ, আফ্রি ক্ষ, অতি ও দূরতম দেশেও উtহাদের হৃদয়ের সমবেদন প্রসারিত হইয দায়, রোগ শোকদারিদ্র্যে যুক্তহস্তে দান করিতে ঠহার। কুষ্ঠিত ছয়েন না । ইংরাজ মহিলীগণ রাজনীতি এবং ব্যায়ামের বিশেণ পক্ষপাতী, উtহঃদের স্বাস্থাম্য জীবন এবং নিৰ্ম্মল চিত্তবৃত্তি সকল এই পক্ষপাতিতার বিশেষ সহায় । আমেরিকার রমণ স্বভাবতঃই ইংরাজ রমণীগণের অপেক্ষ স্থিরচিত্ত, সহসা কোন বিষয়ে উত্তেজিত হওয়া কিম্বা অধিক ভালবাসায় কাতর হওয়া তাহার প্রকৃতিবিরুদ্ধ, পুরুষের সহি চ তাহীদের প্রণয় অপেক্ষা বন্ধুত্বের সম্বন্ধই সুলভ। আমেরিক দেশের পুরুষগণ তাহাদিগকে সিংহ{সপস্থিত দেবতার হার স্ব ন্তস্থ এবং উন্নততর লোকবাসীর দ্যায় ভক্তি করিয়া থাকেন। যদিও অস্বীকার করিবেন তবুও মনে হয় স্ত্রীলোক সম্বন্ধে এখনও উহাদের ধারণা মধ্যযুগের অনুরূপ। আর এক বিষয়ে ইংরাজ এবং আমেরিকব{সীর বিশেষ পার্থক্য লক্ষ্য হয়। বিবাহের পূৰ্ব্বে ইংরাজ মহিল!র সাহিত র্তাহার ভtধী স্বামীর দেখা সাক্ষাৎ তেমন অধিক হয় না। কিন্তু বিবাহের পর স্ত্রী সৰ্ব্ববিষয়ে গৃহে, সমাজে, সাধারণে তাহার সহযোগিনী, সহধর্মিনী ঠাইদের লক্ষা ইহ। উৎসাsে. उँf१झ! কেবলমাত্র ক্ষুদ্র অন্তঃপুর প্রসঙ্গ । Ե,Գ Տ এবং সহায়স্বরূপ । কিন্তু আমেরিকায় বিবাহের পূৰ্ব্বে বাকদত্ত স্ত্রীপুরুষের বন্ধুত্ব স্বরূঢ়, আমোদ প্রমোদ কিম্ব কর্তব্য কার্থ্যে সৰ্ব্বদাই উভয়ে উভয়ের সহায়ক, কিন্তু বিবাহের পর তাহীদের এ সম্বন্ধ আর থাকে না, উভয়ের জীবন যেন স্বতন্ত্র হইয়া যায়। স্বামী অাপন ব্যবসায় বাণিজ্যে একেবারে নিমগ্ন হইয় থাকেন এবং স্ত্রী গৃহকার্যের অবসরকাল সামাজিক আমোদে অতিবাহিত করেন—তখন আর ঠাহীদের উভয়ের সাধারণ পারিবারিক জীবন থাকে না । বিবেচন। করিয়া দেখিলে মনে হয় স্বামীর দোষেই এরূপ ঘটিয় থাকে । কেননা স্ত্রীকে তিনি কোন কঠিন কৰ্ত্তব্যের সহুভাগিনী না করিয। তাহাকে খেলার পুতুলের মত সুন্দর করিখ সাঞ্জাইয়াই সুখী হন। স্ত্রী স্বামীর জীবনের কোন দায়ীত্বের অংশই বহন করেন না, স্বামীর আয় ব্যয় বিষয়ে সম্পূর্ণ অঙ্গ—কেবল আবখক সময়ে যথেষ্ট টাকা পাইয়। থাকেন মাত্র। আমেরিকার ঝুমূণ তাপনাদিগকে স্বাধীন মনে করিয়া যতই গৌরব অনুভব করুন না কেন কিন্তু একটু বুঝিয়া দেখিলেই স্পষ্ট প্রকাশ পাইবে, fঃনি নিতান্তই পরাধীন ; কেননা একটিমাত্র পয়সার জন্যও তাহাকে স্বামীর নিকট হাত পতিতে হয়। কিন্তু প্রত্যেক ভদ্র ইংরাজ মহিল৷ বিবাহ সময়ে সম্পত্তি লাভ করেন। আমেরিকার রমণীগণ র্তাহীদের তীক্ষ বুদ্ধি, সুন্দর হৃদয় বুত্তি, এবং উন্নত শিক্ষার অধিকারী হইয়াও ভবিষ্যৎ জাতীয় জীবনের উন্নতিসাধন করিতে পরিবেন না ইহা জসস্তব মনে হয় ; বর্তমানে যদিও ঠাহীদের এই সকল গুণ ব্যর্থ এবং অপব্যয়িত হইতেছে, তবে নিরাশ হুইবার কারণ নাই, এখনই কতকগুলি চিঙ্গ দেখা যাইতেছে যtহ হইতে মনে হয় তাহার। আর অধিক দিন কৰ্ত্তব্যবিমুখ থাকিবেন না ; নিকট ভবিষ্যতে উহাদের সৌন্দর্য্য, নি:স্বর্থ সেবা, উন্নততর চেbl, জাতীয় জীবনে নবীন যুগ অ,নয়ন করিবে। শ্ৰীমতী প্রি ।