পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b ՏՀ সিংহাসনের সম্মুখে দাড়িয়ে এই কথাটি জানাতে এসেছি, আমার এই সংসার আনন্দের, আমার এই জীবন আনন্দের। বেশ করেছ আমাকে ক্ষুধাতৃষ্ণার আঘাতে জাগিয়ে রেখেছ তোমার এই জগতে, তোমার এই বহুধা শক্তির অসীম লীলাক্ষেত্রে । বেশ করেছ তুমি আমাকে দুঃখ দিয়ে সন্মান দিয়েছ —বিশ্ব সংসারে অসংখ্য জীবের চিত্তে দুঃখতাপের দাহে যে অগ্নিময়ী পরমাস্বষ্টি চলচে বেশ করেছ আমাকে তার সঙ্গে যুক্ত করে গৌরবান্বিত করেছ ! সেই সঙ্গে প্রার্থন। করতে এসেছি, আজ তোমার বিশ্বশক্তির প্রবলবেগ বসন্তের উদাম দক্ষিণ বা ভালের মত ছুটে চলে আমুক, মানবের বিশাল ইতিহাসের মহাক্ষেত্রের উপর দিয়ে ধেয়ে আমুক, নিয়ে আনুক তার নানা ফুলের গন্ধকে, নানা বনের মৰ্ম্মবধবনিকে বহন করে—আমাদের দেশের এই শব্দহীন প্রাণহীন শুষ্ক প্রায় চিত্ত-অরণ্যের সমস্ত শাখাপল্লবকে দুলিয়ে কঁাপিয়ে মুখরিত করে দিকৃ—আমাদের অন্তরের নিদ্রোথিত শক্তি ফুলে ফলে কিশলয়ে অপৰ্য্যাপ্তরূপে সার্থক হধার জন্তে কেঁদে উঠুক ! দেখতে দেখতে ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ শতসহস্ৰ কৰ্ম্মচেষ্টার মধ্যে আমাদের দেশের ব্রহ্মোপাসনা আকার ধারণ করে তোমার অসীম তার অভিমুখে বাহুতুলে আপনাকে একবার দিগ্বিদিকে ঘোষণা করুকৃ । মোহের আবরণকে উদঘাটন কর, উদাসীনতার নিদ্রাকে অপসারিত কবে দt ও—এখনি এই মুহূর্তে অনন্ত দেশেকালে ধাবমান ঘুর্ণমান চিরচাঞ্চল্যের মধ্যে তোমার নিত্যবিলাসিত আনন্দরূপকে দেখে নিই, তারপরে সমস্ত জীবন দিয়ে তোমাকে প্রণাম করে সংসারে মানবাত্মাব স্বঠক্ষেত্রের মধ্যে প্রবেশ করি, যেখানে নানা দিক্‌ থেকে নানা অভাবের প্রাথন, দুঃখের্ব ক্ৰন্দন, মিলনের আকাঙ্ক্ষা এবং সৌন্দয্যের নিমন্ত্রণ আমাকে আহবান করচে, যেখানে আমাৰ নানাভিমুখী শক্তির একমাত্র সার্থকতা সুদীর্ঘকাল ধরে প্রতীক্ষা করে বসে আছে এবং যেখানে বিশ্বমানবের মহাযজ্ঞে আনন্দের হোমহুতাশনে আমার জীবনের সমস্ত সুখদুঃখ লাভক্ষতিকে পুণ্য আহুতির মত সমপণ করে দেবার জন্তে আমার অন্তরের মধ্যে কোন তপস্বিনী মহানিফ্রমণের দ্বার খুজে বেড়াচ্চে । এববীন্দ্রনাথ ঠাকুর । দেবশক্তি । জলিয় উঠেছে অগ্নি ধরি ধীর বেশ, জগতের তমোরাশি করিবারে শেষ, তিরোহিত করিবারে সৰ্ব্বদুঃখ ভয় জীবনের সর্বগ্লানি মিথ্যা সমুদয় করিতে নিঃশেষ,—যাছে মানব জীবন অন্ধকারে মোহ ঘোরে থাকে অচেতন । সৰ্ব্বগ্রাসী বিশ্বনাশি অগ্নি মহাবীর প্ৰজলিত করি শিখ হইল বাহির ঃ– বিশুদ্ধ-মঙ্গল-মুৰ্ত্তি, নাশি পাপ ভাব, বিনাশিয়া জগতের গূঢ় অন্ধকার, সাধিয়া মঙ্গল, তবে হইল নিৰ্ব্বাণ, দিব্য রথে শূন্ত পথে করিল প্রয়াণ । সেথা হতে শাস্তিধারে হয়ে বরষণু সুন্দর শুiমল করি তুলিবে ভুবন । শ্রীমতী হেমলতা দেবী ।