পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tూసి ఆ রজনীনাথ ভালমন্দ কোন কথাই বলিলেন ন, কিন্তু মলের মধ্যে হঠাৎ যে বেত্রাঘাতের জাল জলিয়া উঠিয়াছিল, গাম্ভীর্য্যের চেষ্টার মধ্য দিয়াও তাঙ্গ মুখে মুস্পষ্ট হইয়া উঠিল। যোগেশ পুনশ্চ একটা সুগভীব নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিতে লাগিল “নিশ্চয়ই মাথা খারাপ হয়ে গ্যাছে, তা নৈলে আব অমন বুদ্ধি কি এমনি হয়েই বদলে যtয় ? কৰ্ত্তার নামও শুনতে পাবেন না, আপনার কাছে যাবাব কথা শুনলে ও;—ত ওসব কথায় কাজ নেষ্ট আর, আপনাকে দেখলে হয় ত অtলার মন ফিরতেও পারে। আমি কত বোঝালুম তা বল্লেন কি,—আমি মনে কবি আমার কেউ নেই, এখন বুঝতে পেরেচি স্বামীই জগতে শুধু আপনাব, কেউ আপনার নয়,—কারুকে চাই না ।" রজনীনাথের আত্মসম্বরণ করা দুঃসাধ্য হইয়া উঠিতেছিল, তথাপি একটা সন্দেহ, একটা আশা—কিস্তু লাভ কি ? যোগেশের এত মিথ্যা বলিয়া লাভ কি ? লাভ থাকিলে অনেক লোকে মিথ্যাকে কি রকম সাজাইয়। তুলিতে পারে সে কথা রজনী নাথ ভালই জানিতেন, কিন্তু একি অহেতুক মিথ্যা নয় ? কষাঘাতে জর্জরিত অশ্ব একটা গলির সম্মুখে থামিলে তেমনি আত্মজর্জরিতচিত্তে রজনীনাথ যখন সেই প্রদর্শিত গলির মধ্যে প্রবেশ করিয়া সঙ্গীদ্বয়ের সহিত অগ্রসর হইতে লাগিলেন, তখন আবার তাহার হৃদয় অসুতাপ পূর্ণ বেদনায় আলোড়িত হইয়া উঠিল । নিশ্চয়ই তাছার মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়া গিয়াছে, কেননা এইখানে সে বাস করিতেছে আর ভারতী ফাল্গুন, ১৩১৭ সেই ব্যবহার পাইবার পর ! কিন্তু হায় ! বৃথা তাহাকে দোষী করিতেছেন। সম্মুখেই গেমেন্দ্রের বtড়ী, যোগেশ দ্বার খুলিয় দাড়াইল, রজনীনাথকে একটু ইতস্ততঃ করিতে দেখিয়া যোগেশের ইঙ্গিতে হেম কহিল “অমুন”। যোগেশ কছিল “ইণ, আমন আপনার কথা শুনলে তার মন ফিরতে ও পাবে।" রজনীনাথ কিছুই বলিলেন না, বলিবাব শক্তি ও বোধ হয় অল্পষ্ট ছিল, আবার দারুণ সন্দেহ ও আশঙ্কা জাগিয়া উঠিয়া হৃদয়কে বিক্ষিপ্ত করিয়া তুলিতেছিল । সত্যই কি তবে সে এতখানি ভুল বুঝিয়ছে ! পিতার একাপ্ত বিশ্বাস ও স্নেহ ও কি সেই দণ্ডের মধ্যে সে প্রকটত দেখিতে পায় নাই ? সে কি জানেন কি কষ্টই এতদিন ধরিয়া তিনি ভোগ করিতেছেন ? কষ্ট সে বুঝিয়াছে ? পত্র ৪ কি সে কোন রকমে লিখিতে পারিত না ? হায়! বুকে ব রক্ত দিয়া গড় তাহার শান্তি । উত্তেজনায় মাথায় ও মুপে গরম রক্ত ঝর্ণ ঝ" করিতে লাগিল । কিছুক্ষণ পরে হেমেন্দ্র ফিরিয়া আসিয়া, কহিল সে দেখা করতে চায় না,—বলে”—রজনীনাথ উদ্যত আঘাতের হস্ত হইতে আত্মবক্ষা করিবারই জন্ত যেন দুই পদ পিছাইয়া গিয়া আৰ্ত্তকণ্ঠে বাধ৷ দিয়া উঠিলেন “থামো আমি শুনতে চাই না সে কি বলে, নিজে একবার”—“তীক্ষু শ্লেষের মৃদ্ধ হাসি হাসিয়া হেমেন্দ্র বলিল “তবু গুমুন কি বলে। সে বলে কুকুর শেয়ালের মত তে রাতদুটোর সময় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েচেন, তাতেও কি সাধ মেটে নি, আর কেন ? একবার চলুন দেখা কৰ্ব্বেন, এতদিন একথান