পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెe& থেলিয়া থাকে। বরফ এবং বৃষ্টিপাতের সময় ঘরের ভিতর কারুতা ( তাস ) সতরঞ্চ এবং গোলকধাঁধ ধরণের কতিপয় খেলা এবং গে। থেলা হয় । আমাদের দাবার দ্যায় গো খেলিতে বেশ বুদ্ধির দরকার। কাষ্ঠ ফলকে ৩৬১টি ঘুটি রাখিবার ঘর আছে। দুই ব্যক্তি সমান সংখ্যক ঘুটি অর্থাৎ সৈন্ত লইয়া বুদ্ধি ও কৌশলে ঘর দখল করিতে থাকে। এই গে। খেলায় যিনি যত বেশী ঘর দখল করিতে পারেন তিনি উহাতে তত বেশী নিপুণ। সংবাদপত্রে মাঝে মাঝে বিখ্যাত গে। খেলোয়ারদের নাম দেখিতে পাইতাম । ছেলেদের প্রধান খেলা যুদ্ধবিগ্রহ। রাস্তাঘাটে ভদ্র লোকের ছেলেদের সাধারণত স্থলসৈন্ত অথবা নোসৈন্তের পোষাকেই ভূষিত দেখিতে পাওয়া যায়। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে কাদিতে আরম্ভ করিলে অনেক সময় মাতা সস্তানকে রঙিন কাগজের জাতীয় পতাকা ক্রয় করিবার জন্ত একটি পয়সা অথবা অৰ্দ্ধ পয়সা দিয়া থাকেন। নিশান পাইয়া কান্না ভুলিয়া যায়। মিঠাইওয়াল অথবা মজাদার ঘুংড়িদান কিম্বা সাড়ে বত্রিশ ভাজি ওয়ালাদের দ্যায় ফেরিওয়ালার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাগজের জাতীয় পতাকা গুচ্ছ সঙ্গে লইয়া ফেরি করিয়া থাকে। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ক্রেতাদিগকে এক একট পতাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। উহাদের পতাকার দিকেই বিশেষ লক্ষ্য মিঠাই উপলক্ষ মাত্র । বঙ্গের পল্লীগ্রামে সময় সময় যাত্রার দল ब्रांभांग्र-१ भझांडांद्भcङङ्ग ८कtन ८कांना विषग्न ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ অভিনয় করার পর তথাকার বালকের দুই এক সপ্তাহকাল কেহ ভীম, কেহ শকুনী, কেহ রাম, কেহ হনুমান সাজিয়া যষ্টিদ গুকে অস্ত্রস্বরূপ ধরিয়া “আয় পাপাধু যুদ্ধ করি” বলিয়া যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়। গত রুষ-জপ-যুদ্ধের সময়ও জাপানের ছেলেদেব ভিতব যুদ্ধের থেলা ছাড়া অঙ্ক কোনরূপ থেলা ছিল না । সে বৎসর আমাদেব শিল্প বিজ্ঞান সমিতির প্রথম বৎসর। আমবা সাত জনে একসঙ্গে জাপানে গিয়া এক বাড়ী ভাড়া করিয়া অবস্থান করিতেছিলাম । বাড়ীর সঙ্গে লাগানই একটা ক্ষুদ্র পাহাড়। প্রার প্রতিদিনষ্ট সে পাহাড়ের উপর ছেলেদের যুদ্ধ চলিত। সৈন্তদের দ্যায় মারি বাধিয়া বিউগলেব তালে তালে পাহাড়ের তলদেশ পর্য্যন্ত আসিয়া দুই দলে বিভক্ত হইত। এক দল পাহাড়ের উপর উঠিয়া এখানে ওখানে কাগজেব তাবু তৈয়ার করিত, অপর দল নীচেই তাবু রচনা করিত। দুই পক্ষের যোগাড় যন্ত্র হওয়ার পর যুদ্ধ আরম্ভ হইত। তালে তালে বিউগলু বাজিতে থাকিত । হাওয়া বন্দুকের ফাক আওয়াজে সংগ্রামের গুরুত্ব যেন আরো বাড়িয়া উঠিত। দৌড়াদোড়ি ছুটাছুটিতে অনেক সময় থোকাদের আত্মবিস্তৃতি ঘটিত । যখন দুই পক্ষ একেবারে সম্মুখীন হইত তখন অনেককে যষ্টি এবং বন্দুকের প্রহারে আহত হইতে হইত। আহত ব্যক্তিকে রেড, ক্রশ সোসাইটির লোকেরা স্কন্ধে করিয়া পরিচর্য্যার জন্ত শিবিরে লইয়া যাষ্টত ; ডাক্তার ব্যাণ্ডেজ বাধিয়া দিত। স্থানে স্থানে আগুন লাগিয়া তামু ভক্ষ্মীভূত হইয়া যাইত। অনেকক্ষণ যুদ্ধের পর যখন ছেলেরা একেবারে ক্লাস্ত হইয়া পড়িত