পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্য । উপক্রম দেখ! যাইতেছে। পদদ্বয় হইতে হস্তস্বয়ের গঠন একেবাবে বিভিন্ন হইয়। পড়িয়াছে। অবশ্ব ইহা যুগযুগান্তরের অভ্যাসের ফল । সোজী হইয়া চলিবার দরুণ আমাদের পদদ্বয় হস্তদ্বয় অপেক্ষা অধিক বলিষ্ঠ লম্বীকৃতি ও দৃঢ় অস্থি সংযুক্ত। আমরা যে সকল কার্যের জন্ত হস্তেব অঙ্গুলি ব্যবহার করিয়া থাকি ;—মুঠ করা, অঙ্গুলি দ্বাবা টিপিয়া ধরা প্রভৃতি যে সকল কার্য্যে তস্তাঙ্গুলী ও হস্ততালুব লক্রীভাল ধাবণ ক বাই, পদদ্বয়ের অঙ্গলিতে মে সকল কাৰ্য্য করা আমাদেব আবগু ক ল স্ট্র ওয়ায় আমাদের সে অভ্যাস চলিয়া গিয়াছে। কিন্তু মৰ্কট হস্ত ও পদেব অঙ্গুলি সমভাবে ব্যবহার করিতে পারে । এষ্ট নিমিত্ত প্রাণী তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেবা বানর জাতিকে 5##‐g (quadrumana ) e ataq Effzge দ্বিহস্ত ( Bimana ) এই দুষ্ট প্রাণীবিভাগে ফেলিয়াছেন । মানব দ্বিগুস্ত জীবের একমাত্র প্রতিভূ। উপরি উক্ত কাৰণে আমাদের পদদ্বয়ের অঙ্গুলি ছোট, ও অকৰ্ম্মণ্য হইয়া গিয়াছে। পায়ের আঙ্গুল এখন না থাকলেও ক্ষতি নাই ; ক্রমণ : হয়ত মংস্তের ডানার ষ্টায় আমাদেব সমস্ত পদাঙ্গুণ চৰ্ম্ম ও মাংসপেশী দ্বাবা আবৃত হইয় পড়বে ও পদতল পাদুক তলের দ্যায় সমক্ষেত্র হইয়া যাইবে । উদ্ধ বাহু সন্ন্যাসী যে হস্ত ব্যবহার করেন না, তাহী ক্রমে অকৰ্ম্মণ্য হইয়! তদবস্থ একখণ্ড কাষ্ঠ প্রস্তরেব ন্তায় হইয়। যায়। ঐ অবস্থায় যদি তাহার ঔৰষে ঐরুপ উদ্ধবাহুযুক্ত কোন রমণীর গর্ভে সস্তান জন্মে তবে সেই ভ্রুণের ঐ অঙ্গহীন হইবে ইহাই সম্ভব । কিন্তু সকল ক্রনলি কাণে অভ্যাসের প্রভাব । ৯২৭ ক্ষেত্রে নাও হইতে পfরে। সেই ক্রণ হইতে যে মানব হইল সে ও যদি ঐ রূপ উদ্ধ বাহুত্ব অভ্যাস করে এবং ঐ রূপ অঙ্গহীন রমণীর সহিত বিবাহিত হয়, তাহ হইলে তাহদের সন্তানের ঐ রূপ অঙ্গহীন হওয়া পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক সম্ভব । এষ্টরূপে ৫৭ বংশ ধরিয়া যদি একই অভ্যাস চ{লয় আসে তাহ হইলে স্থায়ী প্রকৃতিগত বিকাব আসিয়া পড়ে, আর সে বিষয় অভ্যাস করতে হয় না । ইহtষ্ট Asstölä sii'i:1–Law of Habit এক্ষণে জিজ্ঞাস্তা, এষ্টরূপ অভ্যাসের কাবণ কি ? সে অভ্যাসের একটা বিষম পবিবর্তন আমাদেব শরীরে ও মনে ঘটিয়া থাকে, সে অভ্যাসের দাস আমরা হই কেন ? এ প্রশ্ন বড়ষ্ট জটিল। স্থলতঃ দেখা যায়, সুবিধা ও মুখবোধ বা দুঃখ ও কষ্ট নিবারণের স্পুছাই অভ্যাসেব মূল। অনেক স্থলে অজ্ঞাতসারে একটা অভ্যাস পুরুষাঙ্গুক্রমে চলিয়। আদিতেছে দেখা যায়। আবার অনেক. স্থলে জ্ঞা ওলাবে একটা মুবিধা বা মুখের চেষ্টায় অভ: সিট প্রবর্তি ত হইয়ছিল এবং সেই সুবিধা বা মুখ ক্রমাগত অভ্যাসের দ্বারা প্রাপ্ত হু ওযা যাই ত ব’ল্য ঐ অভ্যাসেব ফল এক্ষণে একটা স্থায়ী পরবর্তনে আসিয়া পড়িয়ছে । জলচর ও থেচৰ পক্ষীর পুচ্ছের আবশ্যক ; সেই প্রাণী যখন স্থলে বিচরণ কবে তখন তাখাকে পুচ্ছের ব্যবহার আদৌ কবিতে হয় না। ক্রমশঃ যে জীব জলে বা আকাশে গতিবিধি একেবারে পরিত্যাগ করিয়াছে তাহার অব্যবহারের অভ্যাস বশতঃ পুচ্ছ ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইয়া অবশেষে একেবারে অন্তৰ্দ্ধান করে । কিন্তু যদি কোন বলে