পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె\లిe কন্ত। ব্যতীত সংসারে আর কেহই ছিল না। দুহিতার অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় পাইয়। মহর্ষি বিশেষ যত্নে তাহাকে ব্রহ্মসাধনায় নিযুক্ত করিয়াছিলেন । গৃহকৰ্ম্ম, আশ্রমোচিত কাৰ্য্য ও সাধনীর অত্যন্ত্র অবসরেও এই কোমল হৃদয়া ঋধিতনয়, পিতার সহিত দম্য রুদ্রের সেবা শুশ্ৰুষায় যথাশক্তি যোগদান করিত। একদিন রুদ্র বালিকাকে জিজ্ঞাসা করিল :– “খ ষ তনয়ে, তোমরা প্রতিদিন কাহার অর্চনা কর এবং সেই অর্চনারই বা ফল কি” ? বালিকা উত্তর কবিল ঃ — “যিনি আমার অন্তৰ্য্যামী পৰম পুরুষ, ধিনি এই প্রজলিন্ত অগ্নিতে, দিবসে আলোক মালায়, রজনীর গাঢ় অন্ধকার পুঞ্জে, জলে, স্থলে এবং আকাশে সতত বৰ্ত্তমান আছেন আমি তাছাকেই এক্টরূপে অৰ্চনা করিয়া * থাকি ; এইরূপেই তাহাকে প্রত্যক্ষ করিয়া ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ র্তাহার সস্থিত প্রতিদিন যোগযুক্ত হুই ; পরম আনন্দই ইহার একমাত্র পরিণাম ! আমি ইহার অতিরিক্ত আর কিছুই জানিনা । পিতার নিকট জিজ্ঞাসা করিলে সবিশেষ সমস্তই জানিতে পরিবে ।” - বালিকার মুখে এই সকল কথা শুনিয়া দম্য অত্যন্ত আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া কহিলঃ– “ভাগ্যবতি, আমি আরোগ্য লাভ করিয়া আর গৃহে ফিরিয়া যাইব না ; তোমাদেরই আশ্রমে থাকিয়! তোমাদেরই স্থায় আমি ও সেই অন্তৰ্য্যামী পরম পুরুষকে জলে, স্থলে, অনলে, আকাশে, আলোকে অন্ধকাবে সৰ্ব্বত্র প্রত্যক্ষ করিতে শিক্ষা করিব !” রুদ্র সেই হইতেই সৌম্যের তপোবনে থাকিয় গেল ; এবং মহর্ষির নিকটে ব্ৰহ্মজ্ঞানের দীক্ষা গ্রহণ করিয়া, সেই পরম পুরুষের দর্শন মানসে ব্রহ্ম সাধনায় নিযুক্ত হইল । এই দম্য রুদ্রই পরে মহর্ষি-রুদ্র নামে বিখ্যাত হইয়াছিলেন। শ্ৰীভেমলতা দেবী । प्स्रन्झब ।। আগ্ৰা । ৩৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯০ • । আগ্রাই ভারতীয় মুসলমান-সভ্যতার সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ শিল্পরচনা। ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি, উদারচেতা মোগলসম্রাটু আকৃবার দিল্লী হইতে র্তাহার রাজধানী আগ্ৰায় উঠাইয়া আনেন –এই মহাপুরুষের স্মৃতি এই বৃহৎ নগরটিকে সজীব রাথিয়াছে । যে সময়ে যুরোপীয়েরা, ধৰ্ম্মসংক্রান্ত তুচ্ছ বিবাদ লষ্টয় আপনাদের মধ্যে কাটাকাটি সেই ষোড়শ শতাব্দীতে এই ভাবত-সম্রাট সকল ধৰ্ম্মকে এক করিবেন বলিয়। স্বপ্ন দেখিতেছিলেন । জাতিতে মুসলমান হুইলেও তিনি প্রথমে, উচ্চতম হিন্দুসমাঙ্কের অন্তভূর্ত দুষ্টটি কস্তাকে বিবাহ করতেছিল,