পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δώ. • বুঝতে হইবে। দৃষ্টান্ত দ্বারা এই বিষয়ট বুঝাইবার চেষ্টা করা যাক। রামের জমীর উৎপাদিক শক্তি ও আয় শু্যামের জমীর অপেক্ষ বেশী। আয় কথাটী দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়— স্থল আয় ও আসল আয়। চাষের জন্য যে খবচ হয় উহা বাদ না দিয়া মোট যাহা উৎপন্ন হয়, তাহাকে স্থল আয় বলে। কিন্তু কৃষকের অ সল আর নিদ্ধারণ করিতে হইলে এই স্থল আয় হইতে ঐ জমীব আবাদে যত প্রকার খরচ হয় তাহ বাদ দিতে হুইবে । জমীতে যে মূলধন প্রয়োগ করা হয়, তাহার স্বদ স্বরূপ কিছু অংশ ঐ স্থল আর হইতে বাদ দিতে হইবে ; কৃষক যে তত্ত্বাবধান করিবে তাঙ্গাব বাবদ ও কিছু বাদ দিতে হইলে ; ইহায় পব শ্রমিকের বেতন বাবদ, জমির সরে অর্থাৎ জমির ফসল উৎপাদন করিতে যত প্রকার খরচ হয় উহা বাদ দিয়া যে আয় অবশিষ্ট থাকিবে উহাকেই আসল অায় বলে। এখন রামের জমীর আসল আয় যদি শু্যামের জমী অপেক্ষ বাৎসরিক ১০ বেশী হয়, তাহা হইলে ইহা বুঝতে হইবে যে আবখ্যক হষ্টলে রাম খামের অপেক্ষ ১০ বেশী খাজনা দিতে সমর্থ। যদি শুমের জমার অল্পোৎপাদিক। শক্তির দরুণ নাম মাত্র খাজনা ধাৰ্য্য হষ্টয়া থাকে, তবে ঐ জমার আসল লভ্য ও নাম মাত্র ইহাই বুঝতে হইবে। অনেকে খলিবেন, এ ক্ষেত্রে গুমি জমী চাষ কৰিবে কেন ? তদুত্তরে ইহা বলিলেই যথেষ্ট যে, সমস্ত প্রকার খরচাদি বাদ যৎসামান্ত উদ্ধত হইলে ও কৃষকের ক্ষতি হয় না। আমবা পূর্বে বলিয়াছি যে শ্যামের জমীর উৎপাদিত দ্রব্যের মুল্যাপেক্ষা রামের জমীর উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য ভারতী ১৩১৭ ১০ বেশী এবং আবশ্যক হইলে এই ১০ রাম জমিদারকে খাজনা স্বরূপ বেণী দিতে পারে । কেননা, সচরাচর দেখা যায় যে, সকল প্রকার থবচ বাদে সামান্ত মাত্র লাভ হইলেই লোকে সে জমী বা ব্যবসায় ছাড়িতে চাহে না । এইক্ষণ, রামেং ভূম্যধিকারী যদি রামের খাজনা ১০ বৃদ্ধি করেন, তাহা হইলেও রাম জমী; ছাড়িতে চাহিলেন কেন না এই ১ •২ এবং অন্ত সকল প্রকার থবচ বাদ দিয়াও আসল আয় স্বরূপ সে কিছু পায় ; কিন্তু ভূম্যাধিকারী যদি ১০। স্থলে ১১ খাজনা করিতে চাহেন, তাহা হইলে রাম আর সে জমা চাষ করতে চাহিবে না। ঐ জমতে রাম যে প্রকার অর্থ পরিশ্রম ইত্যাদি প্রয়োগ কৰিত উহা অন্য জমীতে বা অন্ত ব্যবসায়ে প্রয়োগ করিলে রামের অধিক লাভ হইবে এবং উক্ত কারণে ভূম্যধিকারা রামেব নিকট ১০ টাকার অধিক দাবী করিলে রাম জমা ছাড়িয়া দিবে এবং তিনিও এই কারণে ইহার খাজনা আর বুদ্ধি করিতে পরিবেন না । এই প্রসঙ্গে ইহাও জিজ্ঞাসা করা যাক্টতে পাবে যে, জমাদার যেমন খাজনা বৃদ্ধিব চেষ্টা করিবেন, রামও সেই প্রকাব খাজনা স্বাসেব চেষ্টা করিবে । করুক, কি স্থ প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রে রামেব সমব্যবসাধাগণ উক্ত জমীতে কত লাভ হইতে পাবে অনায়াসে উহ! নিদ্ধারণ করিয়া রামেব খাজন। হ্রাসের চেষ্টা ব্যর্থ করিয়া দিবে। রিকার্ডোর নিয়ম এই জন্য প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রেই প্রাযুজ্য । আমরা পূৰ্ব্বে কয়েকস্থলে উল্লেখ করিয়াছি যে কোন কোন জমী কর্ষণের শেষ মামায় অবস্থিত । ‘কর্ষণের শেষ মাত্র।” অর্থে এইরূপ বুঝিতে হইবে যে ঐ জমীর উর্বরাশক্তি ও স্থিতি