পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెప్టీ চেষ্টা ও ক ৰ্ম্মকে কমলার স্বারে অঞ্জলি প্রদান করিয়া যখন তাহারা বীণাপাণির প্রসাদ আকাঙ্ক্ষা করে, তখন তিনি বরের পরিবর্তে তাহাদিগকে অভিশাপ প্রদান করেন । ইউরোপ সাধারণের শিক্ষার জন্ত বদ্ধ পরিকর হইয়া বিদ্যা শিক্ষার বহু ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। নৈশ বিদ্যালয়, অতৈনিক বিদ্যালয়, ফ্রি লাইব্রেরী—কোনো দিকৃ দিয়া সে কিছু বাকি রাখে নাই। তাহার অতি সচেতন সভ্যতা লিপিবিদ্যার পরিচয়ের অভাবকে জীবনের সমস্ত দৈন্তের ভিতর হীনতম বলিয়া নির্দেশ করিয়াছে এবং বিদ্যাশিক্ষাকে ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও অভিরুচির উপর ছাড়িয়া না দিয়া সে দেশের আইনকে ও সমাজশক্তিকে তাহার রক্ষার জন্ত প্রহরী নিযুক্ত করিয়াছে । তাহার বিধান অনুসারে প্রত্যেক শিশু পঞ্চম বর্ষে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যfমন্দিরে প্রবেশ না করিলে তাহার অতি ভাবকগণের দণ্ড গ্রহণ করিতে হয়। এখন দেখা যাক শিক্ষার এই বৃহৎ চেষ্টা ও বিরাট আয়োজন কি পরিমাণ সার্থকতার দ্বারা পুরস্কৃত হইতেছে। হাৰ্ব্বটি স্পেন্সারের ভাষায় বলিতে গেলে বলা যায় যে, “শিক্ষার প্রধান কার্য অfমাদিগকে সম্পূর্ণভাবে জীবনযাপনের উপযোগী গড়িয় তোলা ।” সোনাকে পরীক্ষা করিয়া লইতে গেলে যেমন কষ্টি পাথরে অঁাক দিয়া লইতে হয়, তেমনি পশ্চিমের প্রবল চেষ্ট। ও কঠিন ব্যবস্থার এই শিক্ষা পিওটাকে আমরা যদি পরীক্ষা করিতে যাই তাহা হইলে মিকষ সোনার বক্লিপীত রেখাটির ভারতী । i. - וי לסיני , t:5d পরিবর্তে একটি মলিন কৃষ্ণ রেখাই আমাদের চোখে পড়িবে । ইউরোপ নিজে ও আজ একথা অস্বীকার করিতে পারিতেছে না, যে গুরুভার নিষ্ফলতা বৃহৎ ব্যঙ্গের মত তাহার আশা-দীপ্ত চক্ষের অtনন-জ্যোতিকে আড়াল করিয়া দাড়াইতেছে—তtহ তাহার অন্তরের অন্তরতম প্রদেশে একটা অস্ফুট ভীতির বেদন-শিহরণ প্রেরণ করিতেছে । আজ আমরা তাহাদিগকে বলিতে শুনিতেছি যে, “শিক্ষা, বিজ্ঞান, কলাবিদ্যা প্রভৃতি শিক্ষার বহু তরবিষয় সম্বন্ধে আমরা প্রচুর পর্য্যালোচনা করিয়া থাকি, কিন্তু তাহার ফলে এখন এইরূপ প্রমাণই পাইতেছি যে শিক্ষা যথন আইন-নির্দিষ্ট ছিল না তখনকার কাজই সৰ্ব্বাংশে প্রশংসা যোগ্য ছিল। তখনকার ইমারতের গঠন প্রণালী আধুনিক প্রণালী অপেক্ষা উন্নততর fছল, এবং গৃহসজ্জার উপকরণাদি অধিকতৰ স্থায়ী ভাবে নিৰ্ম্মিত হইত। ষষ্ঠদশ শতাব্দীর তাপরক্ষার উপযোগী পুক দেয়াল ও ওক কাম্ভের খামওয়ালা কৃষিবাটিক অথবা বৃহৎ প্রাসাদের সঙ্গে আধুনিক পল্লীস্থাপত্যের কোনো উপমাই চলে না। প্রাচীনকালের কাঠের সিড়ি যে বাড়ীতে আছে সে বাড়ীতে, তাহা একটি সম্পত্তির মধ্যে গণ্য হইয়া থাকে,—তাহ শুধু প্রাচীনত্বের জন্ত নছে, গঠনের অনুপমত্ত্বের জন্তই তাহার অাদর । আমাদের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট শিল্পীগণ চেষ্টার দ্বারা তাহার অনুকরণ করিতে পারে বটে কিন্তু কখনও অতিক্রম করিতে পারে না । ইহা অবশুই স্বীকার্য্য ষে আমাদের অপেক্ষা আমাদের