পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । অবতরণ করিলাম সিড়ি বাহিয়া উমানন্দ পাহাড়ে উঠতে লাগিলাম । সিড়ির দুই ধারে পাহাড়ের গায় স্থানে স্থানে সিন্দুর-রাগ-রঞ্জিত খোদাই হিন্দুদেবদেবী মূৰ্ত্তি শোভা পৃাইতেছে। ব্ৰহ্মপুত্র চুম্বিত শৈলমালার দিকে নিরীক্ষণ করিতে করিতে কথঞ্চিং শ্রাস্তদেহে আমরা মন্দিরের বাহিবে আসিযl উপস্থিত হইলাম । এখানে একজন পুরোহিত প্রভু আসিয়া দর্শন দিলেন । দূর হইতে পাহাড়ের শীর্ষ ভাগে জাহাজের মাস্তুলের মত একটা উচ্চ স্তম্ভ দেখিতে পা ওয়া যায় । উপরে আসিয়া দেখিলাম এই বিশাল স্তম্ভের উপর গবর্ণমেণ্টেব টেলিগ্রাফেব তার দুই দিকে সংযুক্ত রহিয়াছে। নগ্নদেহ পুরোহিত প্রভুর সঙ্গে আমবা মন্দিরাভিমুখে চলিলাম । বৰ্ত্তমান মন্দিরেব অধিকাংশই ইট দিয়া গ্রথিত । চাবিদিকেব ভগ্ন প্রস্তর দেখিয়া মনে হয় এই মন্দির পূৰ্ব্বে প্ৰস্তৰু নিৰ্ম্মিত ছিল । সম্ভবতঃ গদাধর সিংহেব রাজত্বের সময় প্রাচীন মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। মন্দিরের কারুকায্য খুব উৎকৃষ্ট বলিয়া বোধ হইল না। মন্দিরের পুরো ভাগে একটী নাটনন্দির আছে। সেখানে প্রবেশ কবিয়া প্রতিনিধি শিবলিঙ্গ মুক্তি দশন করিলাম। এ সময়ে পাণ্ডা ঠাকুর বাবা উমানন্দ’ দর্শনে ‘দর্শনীর চুক্তি প্রস্তাব করিয়া বলিলেন, "কাঞ্চনমুদ্রার অভাবে রজতমুদ্রা না হইলে মন্দির গর্ভস্থ ভৈরবদর্শন সম্ভবপর নয় ।” এস্থলে কামাখ্যার হিন্দুমন্দিব সংরক্ষিণী সভার ( যদি উপরোক্ত নামে কোনও সভাসমিতি থাকে ) সভ্যদিগকে আমাদের সাঙ্গনয় নিবেদন,তাহারা পাণ্ড প্রভুদের অন্যায় এবং পোষ্যপুত্র । సెb আক্রমণ হইতে যাত্রীদিগকে রক্ষা করিবার জন্ত একটা উপায় করুন। যাহা হউক, পুরোহিতের জালাতন অসহ্য হইলেও সহিষ্ণুতার চুড়ান্ত আদর্শ রূপে তাহ সহ্য করিয়া লইয়া আমরা সিড়ি দিয়া মন্দিরস্থ গুহায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম । মন্দিরেব এই ংশ ব্রহ্মপুত্রের ভিতর প্রবেশ করিয়াছে । মন্দিরগভ অন্ধকারময় ; সেই গুহাস্থ ভীষণ আঁধারের ভিতর একটি ক্ষুদ্র ঘু তপাত্রে দীপ শিথ আলোক বিতৰণ করিতেছে, এখানে লিঙ্গরূপী উমানন্দ ভৈরব জল হইতে প্রস্তর করিয়া উদ্ধfদকে উথি ত । জগতের কারণ এই স্নিগ্ধ ও বিরাট মুক্তি দেখিলে ভয় ও ভজুিত মস্তক আপন আপনি অবনত ংহয় আসে । আমরা ভূমিতে লুটাইয়া পাবকে প্রণাম কবিয়া আশীৰ্ব্বাদ ভিক্ষা করিয়া কৃতাৰ্থ হহল;ম । সহসা শিবের ডানদিকে কিসের একটা ফে। ফে শব্দ শুনিতে পাইলাম। প্রশ্ন করিলে পাণ্ডাঠাকুর বলিলেন, “ইহা সাপের ভেদ ডাক ৷” উমানদের সেই সৌম্য দিব্যমূৰ্ত্তি দশনের পর পুনৰায় আমরা নৌকারোহণে সন্নিকটস্থ “উৰ্ব্বশীকুণ্ডে” অবতরণ কfরণাম । কথিত আছে, এই কুণ্ডে স্বর্গের অথার উৰ্ব্বশ মান করিয়া ছিলেন। এখন আর সেই কুণ্ড অথবা কুণ্ডের কোন চিহ্ন দেখা যায় না । বর্ষাগমে উৰ্ব্বশীকুণ্ড জলে ডুবিয়া যায়। ষ্টীমার রক্ষা করিবার জন্ত এই মগ্নশৈলের উপর একটা স্তম্ভ স্থাপন করা হইয়াছে। এইখানে নান দেবদেবীর ও বুদ্ধদেবের ধ্যানস্থ দুই একটা মূৰ্ত্তিও দেখিতে পাইলাম। পদ্মাসনে উপবিষ্ট