পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ দ্বাদশ সংখ্যা । ও সহজ । লেখিকা মনোযোগ প্রদান করিলে মৌলিক উপহাস লিখিতে পরিবেন বলিয়া অাশা হয় । ইংরাজী ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে সরোজকুমারী জন্মগ্রহণ করেন । র্তাহার পিতা মথুরানাথ গুপ্ত মহাশয় সবজজ ছিলেন। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা টিবিউন সম্পাদক ত্রযুক্ত নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত বঙ্গভাষায় একজন প্রসিদ্ধ গল্প ও উপন্যাস-লেখক । সিভিলিয়ান বঙ্গসাহিত্যসে কী ঐযুক্ত জ্ঞানেন্দ্রনাথ গুপ্ত মহাশল সবেtঞ্জকুমারীর খুল্ল তাতপুত্র । অতর্কিত । సెసె ? সরোজকুমারী বল্যে পিতার নিকট শিক্ষালাভ করেন। দশ বৎসর বয়সে কলুটোলার প্রসিদ্ধ সেন বংশীয় শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ সেন মহাশয়ের সহিত র্তাহার বিবাহ হয় । স্বামীর যত্নে সরোজকুমারীর রীতিমত শিক্ষার স্ববন্দোবস্ত হয়। যোগেন্দ্র বাবু সম্বলপুরের গভর্ণমেণ্ট উকীল। সরোজকুমারী বলেন, “আমার জীবনে যাহা কিছু সুখসৌভাগ্য, যাহা কিছু শিক্ষা, সব স্বামীর জদ্য ।” অতর্কিত। লীলাকে আমি একটি বৎসবমাএ পেয়েছিলাম । সে বৎসরট যেন আরব্যোপস্যাসের একটা কাহিনী। আমার অন্ধকারাবত জীবনের মাঝখানে লীলা যে আলাদিনের প্রদীপ জালিয়েছিল, সে যে শুধু আনন্দ ও আলোকের দ্বারা আমাকে উদ্ভাসিত করেছিল তা আমার নিশ্চেষ্ট্র প্রাণকে যেন কোন অজ্ঞাতপুৰ্ব্ব জীবনীশক্তি দ্বাবা অনুপ্রাণিত করে তুলেছিল । আকাশের নীলিমা, শূন্যের উদারতা পৃথিবীর সম্পদ তেমন করে আtয় কখনও আমি উপভোগ করি নি এবং প্রেম ও আনন্দের মধ্যে আমি আর কখনও তেমন করে নিজেকে নিঃশেষ করে দিতে পারিনি। কিন্তু মাত্র একটি বৎসর। তারপর আমার জীবনের আনন্দ মুছে গেল, আলোক নিভিয়া গেল, এবং এক বর্ষণসিক্ত নয়, ঘনান্ধকার বজ্রবিদীর্ণ সন্ধ্যার স্নানিমার মধ্যে লীলা তাহার ইহজীবনের সংক্ষিপ্ত কাহিনী সমাপ্ত করিয়া দিল ! > ঝঞ্জাবসানে ভগ্নশির বৃক্ষের মত আমার মনে হইল হায় এ কি খেলা, এ কি নিদারুণ খেলা ! একটি বৎসরের জষ্ঠ এ প্রতারণ কেন ? লীলা বলিয়াছিল আবার তাহাকে দেখিতে পাইব । সেই আশা বুকে করিয়া দীর্ঘ দিবস কাটাইয়া দিতাম, তাহার পর ষপণ সন্ধ্যা হইয়া যাইত, তখন শয্যাবিস্তার করিয়া তাহারই প্রতীক্ষায় শয্যার একপাশ্বে বসিয়া থাকি তাম । মনে হইত দুরে যেন কাহার পদশব্দ শোনা যাইতেছে। উন্মুখ ব্যগ্র হৃদয়ে দুয়ারের পানে চাহিয়া থাকি তাম যদি সে আসে । রাত্রি যখন গভীর এবং স্তব্ধতা স্বনিবিড় হইয়া আসিত, তখন মনে হইত