পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} e e в ভারতী । ולכל 5a: ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল । “নারীব যে সুকোমল হস্ত শিশুকে দোলাইয়া ঘুম পাড়ায় সেই হস্তই পৃথিবীর শাসন দণ্ড ধারণ করে।” ইচ্ছায় হউক অনিচ্ছায় হউক রমণীকেই সমাজ এবং সংসারের শাসন ভার বচ্চন কবিতে হয় । আমাদিগকে সেই সন্মানপদবীর যোগ্য করিবার জন্ত, সেই পদের যোগ্য শিক্ষা বিধানের নিমিত্ত ; এলং ভারতবর্ষীয় সমাজকে উন্নত ও সুশিক্ষিত করিবার জন্তই এই ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডল স্থাপিত হইয়াছে। দেশের নাবী শক্তি এক মহতী শক্তি তাছাকে অতিক্রম করিয়া কোন সমাজই উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পারে না, সেই মহাশক্তিই যদি সুপ্ত থাকে তবে কেমন করিয়া জাতীয় শক্তি জাগ্রত এবং প্রবুদ্ধ হইবে ? স্বতরাং সৰ্ব্বাগ্রে ব্যক্তিগত ভাবে নারীশক্তির উদ্বোধন আবশ্যক । প্রভাতের আলোকে মঙ্গল শঙ্খ রবে যখন আমাদের এই বিশাল ভারতের মন্দিরে মন্দিরে নব দিবসের উদ্বোধন ধ্বনিত হয় তখন আমাদিগকে ও জাগ্রত হইতে হইবে । সুচনায় পুর্ণরূপে ধারণা করিতে হইবে আমি এই গৃহমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, আমি আছি । পরে ধারণা করিতে হইবে মানব সমাজ ও সংসারের সম্রাজ্ঞী আমরা আছি । পরম শক্তি যখন সুষুপ্ত তখন বিশ্ব প্রকৃতি প্রলয়নিমগ্ন, কালরাত্রির অন্ধকারে লীন এবং নিলুপ্ত। ভারতনারীরাজ্যের পরম শক্তিকে উদ্বোধিত করিতে পারিলেই সংসার এবং সমাজ জাগ্রত এবং জীবন্ত হইবে। মহুষি পতঞ্জল তাঙ্কার যোগস্থত্রে বলিয়াছেন—শব্দের একটি বিশেষ এবং মহতী শক্তি আছে । উপযুক্ত শব্দ নিৰ্ব্বাচন এবং প্রয়োগ, মন্ত্রকে সার্থক এবং সফল করে। ভীত হও’ এই বাক্যটি উচ্চারণ মাত্র শ্রোতাদিগের হৃদয়ে এক অস্বচ্ছন্দতার উদয় হয় আবার মাভৈঃ শব্দ উচ্চারণে অস্বচ্ছন্দতা দূব হুষ্টয়া সঙ্কোচ অপসারিত হয় হৃদয় উদার উৎসাহে পরিপূর্ণ হইয় আবার স্ফীত হইয়া উঠে । কত যুগ যুগান্তর হইতে ভাবতবৰ্ষীয় নারীগণ আপনাদিগকে কে বলি হীন তুচ্ছ অক্ষম এবং দুৰ্ব্বল বলিয়া ধারণা করিয়া আসিতেছেন। সহস্র প্রকারে সহস্র ঘটনায় এই ধারণা র্তাহীদের হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছে। শিশু পুত্রের জন্মে গৃহে গৃহে যে আনন্দ উৎসব হয়, বঁtশরীতে যে আনন্দের রাগিনী বাজিয়া উঠে আত্মীয় স্বজন যেমন মুক্ত হস্তে দান ও পারিতোষিক বিতরণ করেন শিশু কন্যার আগমনে তাহার একাংশও দেখা যায় না । সেদিন মান্ত যে মুকুমার শিশু কন্যাটিকে বক্ষের কাছে টানিয়া লইয়া স্থতিক গৃহে শয়ন করিয়া থাকেন কোন আননা কোলাহল কোন উৎসব বাদ্য কোন আত্মীয়ের সাগ্রহ আগমন সে নিভূত কক্ষের নির্জনতা ভঙ্গ করে না, কোন মঙ্গল অনুষ্ঠান সেই নবীন জীবনের গুভাগমন সুচনা করেন । তাহার অস্তিত্ব যে আছে তাহ স্বীকার করিতে যেন সকলে কুষ্ঠিত সেই জন্তই ভারতের প্রত্যেক বালিকা যখন নারী পদবীতে উন্নীত তখনও সে আপন গৌরবের অধিকারী হইতে শিক্ষালাভ করেন,