পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ● > グ झुनिभनौव्र हेल्लोग्न श्रडिङ्ठ श्हेब्र श्रृष्ङि श्च्न । এই সকল বিস্তৃত জনপদ ও বিলুপ্ত সাম্রাজ্যের মধ্য দিয়া বিচরণ করিতে করিতে সেই মুদূর এবং অতীতের বিপুল কীৰ্ত্তিগাথার ক্ষীণ প্রতিধ্বনি যেন আমাদের শ্রতিপথে আসিয়া আঘাত করে। কিন্তু হায় । মহাকাল একে ভারতী । চৈত্র, ১৩১৭ একে সকল কীৰ্ত্তিই নাশ করিয়া ফেলিতেছে । বিষ্কৃতির অতলঙ্গলে সকলই ডুবিয়া যাইতেছে। বাস্তব স্বপ্নে পরিণত হইতেছে কালের এই তাণ্ডব নৃত্যের বিশ্ববিধ্বংসিনী গতির রোধ কে করিবে ? ঐদীনবন্ধু সেন বি এ। আন্দামান দ্বীপ । বৰ্ত্তমান কালে আন্দামান দ্বীপ পুঞ্জের নাম শুনিলে আমাদের মনে যে খুব সুখকর ভাবের উদয় হয তাহা নহে। স্থানটি নির্বাসিত অপরাধীর সহিত আজকাল এরূপ একটা ঘনিষ্ট সম্বন্ধ পাতাইয়া বসিয়াছে যে, আমরা ইহাকে একটা ভয়ঙ্কর স্থান বলিয়াই মনে করি, ইহার ইতিহাসের মধ্যে যে কোন প্রকার বিশেষ চিন্তাকর্ষক ব্যাপার আছে তাহ কল্পনা করিতে পারি মা । কিন্তু স্থানটি বহুযুগ হইতে ভারতের সভ্যতা ও সমৃদ্ধির ইতিহাসের সহিত সংশ্লিষ্ট । প্রাচীনতম যুগ হইতে বঙ্গদেশ শস্তষ্ঠামল এবং শিল্প সম্পদে ভারতের গৌরবস্থল ছিল। বঙ্গের সমুদ্রতীরবর্তী বন্দরগুলি সমগ্র উত্তর ভারতের বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। এই বন্দরগুলি হইতে অর্ণবপোতের সাহায্যে ভারতের বাণিজ্যদ্রব্যগুলি নানাস্থানে প্রেরিত হইত এবং সেই সকল স্থান হইতে বণিকগণ তদেশীয় জ্বৰ্যtfদ লইয়া ভারতে বাণিজ্যকল্পে আগমন করিতেন । এইজন্ত অতি প্রাচীনযুগ হইতে নাবিকদিগের নিকটে এই দ্বীপপুঞ্জ পরিচিত ছিল। গ্রীক নাবিকদিগের ভ্রমণ বৃত্তান্তে এই দ্বীপপুঞ্জের উল্লেখ দেখা যায়। চীন, জাপান ও আরব্য দেশের বশিকগণ সহস্ৰাধিক বৎসর পূর্বে এই দ্বীপপুঞ্জের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ভারতের ইতিহাসেও প্রায় ৮৫০ বৎসর পূর্বে ইহার নাম দেখিতে পাওয়া যায়। মার্কে পোলো ১২৯২ সালে যে ‘অঙ্গনালায়েন দ্বীপের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন তাহাই বৰ্ত্তমান আনামান। পরবর্তী পরিব্রাজকগণ ইহার যে মামের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন তাহ অনেকটা ইহার বর্তমান নামের অনুরূপ । ১৪৩০ সালে কfট ইহাকে ‘আন্দামাণিয়l, বলিয়া গিয়াছেন । ১৭৯৯ সালে ব্লেয়ার সাহেব তাহার মানচিত্রে এই দ্বীপের চিত্ৰ দিয়াছিলেন বলিযাই ইহায় এক স্থানের নাম পোর্ট ব্লেযার হইয়াছে । ইয়ুরোপের অনেকে মনে করেন গ্রীকগণই সবপ্রথম এই দ্বীপের সমকরণ করেন । ম্যান সাহেব বলেন টলেমি ইহাকে 'আগামাউ ডাইমনোস্ অর্থাৎ সৌভাগ্যদ্বীপ বলিয়া উল্লেখ করিয়া মান, ক্ৰমে তাহার অপভ্রংশ হইয়। আন্দামান দাড়াইয়াছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিশেষ সন্দেহ আছে, কারণ গেরিনি উtহার প্রাচ্যভূগেলে নিলোচর দ্বীপকেই সৌভাগ্যদ্বীপ বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন, আন্দামানকে ‘পাশকাটা বলিয়া গিয়াছেন । সুতরাং আগামাউ ডাইমনোদ বলিতে নিকোচর দ্বীপকে বুঝানই সম্ভব । যাহা হউক এই দ্বীপপুঞ্জ যে বছদিন হইতে বিদেশী ও ভারতবাসীর নিকট পরিচিত ছিল্ল সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কম্পানির কৰ্ম্মচারীগণ ইহার চতুর্দিকের সমুদ্র পরীক্ষা করিয়া একটি জরিপের মানচিত্র প্রস্তুত করেন। পরে ১৭৮৮ খৃষ্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিস আচির্বল্ড ব্লেয়ার সাহেবকে এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করিতে আদেশ করেন। বোধ হয় বঙ্গোপসাগবের