পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ণ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । মহাত্মারাই ওরকম পদ্ধতিতে ছবি অঁাকৃতে खांन्ट्ङन । অজন্ত গুহার এক এক দেয়ালে এক এক ধরণের ( style ) ছবি । তা’তে বেশ বোঝা যায় যে গুহাগুলি একটা বিরাট শিল্প-বিদ্যালয় বা অtশ্রম ছিল ; এবং গুরু শিষ্যেরা মিলে এক একটা দেয়ালে ছবি অঁাকতেন । আমব অজস্তার দেয়ালে অসম্পূর্ণ ছবিও অনেক দেখেছি ; কিন্তু, সে গুলির মধ্যে কতকগুলি অসম্পূর্ণ হ’লেও দেখে মনে হ’ল যেন কোন ওস্তাদেরই হাতের কাজ । ছ নম্বর গুহায় এ অসম্পূর্ণ কাজের সংখ্যা অধিক । অল্পবয়স্ক বালকের হাতের কাজ ও কোন কোন দেয়ালে বেশ স্পষ্ট cदांदी यूtग्न । গুহার ক্ষোদিত শিল্পে ও চিত্রশিল্পীগণ রং দিতে ছাড়েন নি ; দুয়ের নম্বর গুহার বারাওয়ে দেখলুম থামের উপব এবং থামের ধীরে ধীরে সাদ high light দিয়ে থামের গঠন ফুটিয়ে তুলেছেন । সেই নির্জন ইন্দ্র-পুরী তুল্য গিরি গুহায় নিঝরণীর পাশে, স্তব্ধ স্নিগ্ধ ভাবে বিভোর হয়ে পুণ্যাত্মা শিল্পির বাদর পেচা যা কিছু একে গেছেন তারই ভিতর থেকে যেন আমরা এক অমৃতময় শান্তি ও আনন্দের বিকাশ দেখতে পাই ! অজস্তার ছবির আর একটি বিশেষ বাহাঙ্কুরী এই যে, কোন ছবি কোনটার নকলে অঁাকা হয় নি। প্রত্যেকটার ভাব ও ব্যাপার ভিন্ন। কালিদাস প্রভৃতি প্রাচীন কবির বর্ণনায় যে যে ভাব ব্যক্ত করে গেছেন,অজস্তার ছবিতে সেই সমস্ত ভাব প্রত্যক্ষ করা যায়। কালিদাস যেমন বিবাহের বরষাজী দেখবার $ 2 বৌদ্ধ ও প্রাচীন মোগল চিত্রশিল্প । ৬১৩ জন্তে উৎসুক মহিলাদের কাউকে লাজ-বর্ষণতংপরা, কাউকে চুল বাধতে বাধতে,— কাউকে বা আলতা পায়ে দিতে দিতে ব্যস্তসমস্ত ভাবে জানালার কাছে উঠে আসতে দেখিয়েছেন ;-অজস্তাতেও ঠিকু সেই সমস্ত ভাবের ছবি অঙ্কিত আছে। পদ্মবনে হাতী, হংস-মিথুন, চকা-চকি, মৃগ-মূগী প্রভৃতি পূৰ্ব্ব কবিদের বর্ণিত বিষয় অজস্তার ছবিতে দেখতে পাই। পূৰ্ব্ব কবিরা যেমন সুন্দৰী ললনার উপমায় কৃণাঙ্গী, পীণপয়োধরা প্রভৃতির দ্বারা আকৃতি-বর্ণনা করতেন, আমরা অজস্তাতে ঠিক সেই বর্ণনার অনুরূপ চিত্র দেখতে পাই। কালিদাসের রঘুবংশে আছে, বন পথ দিয়ে যখন মহারাজ দিলীপ আর রাণী স্বদক্ষিণ পুত্রকামনায় বিমানে চড়ে বশিষ্ঠঋষির আশ্রমে যাচ্চেন, তখন তাদের রথের শব্দে হরিণ-হরিণীগণ কিছু মাত্র ও ভীত ত্রস্ত না হ’য়ে বরং যেন রাজা রাণীকে দেখ বাব জন্তেই পথ ছেড়ে রথবক্সের দিকে অনিমেষ নেত্রে চেয়ে আছে । অজন্ত৷ চিত্রের মধ্যেও একটা ঠিক এই ভাবেরই ছবি আছে । আমরা ছবিতে এমন-সব অনেক জিনিষ আঁকা দেখতে পাই, যে গুলো আমরা আমাদের ভারতের জিনিষ ব’লে মোটেই জানি না --অামাদের বোধ হয় কারো ধারণাই নেই যে, বগলস’টা আমাদের দেশে অনেকদিন থেকে চলে আস্চে ! একটা ঘরে, কলকাতার ঠিকৃ কুক কম্পানির ঘোড়ার আড়গড়ার মত অনেকগুলি ঘোড়া রাখা আর হুকের উপর সাজসরঞ্জাম টাঙান। দেখলে সত্যি সত্যি অবাক হয়ে যেতে হয় !