পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২২ যে ভাবে চিন্তা করিতেন, আমব আজকাল ঠিক সেরূপটা করিনা। উন্নতির পথেই বল বা অবনতির দিকেই বল অগ্রসর হইতে হইতে আমরা প্রাচীন আর্য্যসভ্যতার সহিত যোগাযোগের পথ প্রায় রুদ্ধ করিয়া তুলিয়াছি সুতরাং এ অবস্থায় ভাবতশিল্পেৰ নিগূঢ় সৌন্দর্য বুঝিবার অবসর আমাদেব কোথায় ? অন্তবে বাহিরে ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে প্রাচীন ভাবনদীর সহিত বিচ্ছিন্ন রহিয়া পিণাস তো আমাদের কোন দিন মিটবে না উপরন্তু নদীর নাম ধরিয়া চিৎকাৰ করিলে স্বরভঙ্গ হইয়া মরিবারই সম্ভাবনা । এ অবস্থায় তপস্তা করিয়া নদীর স্রোত নিজের দিকে আনি, নিজেকে প্রাণপণে নদীর দিকেই অগ্রসর করা অথবা ভগবানের কৃপা ভিক্ষা করিয়া স্থির থাকা ছাড়া উপায় কি ! নীরস আধুনিক ও বিজ্ঞান যুগেৰ মরু প্রান্তবে আমরা প্রাণ হীরাইতে বসিয়াছি, জীবনে ভাবের প্রভাব সৌন্দর্য্যের স্পর্শ হইতে বঞ্চিত হইয়া কোন নরকের দিকে যে আমবt অগ্রসর হইতেছি তাহা বুঝিবার ক্ষমতা পর্যন্ত আমাদের লোপ হইয়াছে। বিজ্ঞানের চোখে শিল্পটাকে দেখা চলেন, ভাবের চক্ষে ধরা যায়। বিজ্ঞানের চক্ষে শিল্পে এটার অভাব ওটার অভাব, আর ভাবের চক্ষে সকল অভাব পূর্ণ হইয়া শিল্পের স্বরূপ আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়। কি ভারত কি ইউরোপীয় সকল শিল্পকেই বুঝিবার এই একমাত্র অমোঘ উপায় । প্রাচীন ভারতশিল্প যেটা প্রাচীন ভারতবাসীর ভাবের বিকশ সেনকে হৃদয়ঙ্গম করিতে চাহি কিন্তু হৃদয়টাকে বিপরীত ভাবের ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ বৰ্ম্মাচ্ছাদনে ঢাকিয়া রাখিয়া । এ অবস্থায় ভারতশিল্প যে কোনদিন আমাদের হৃদয় ম্পর্শ করিবে এ অtশ দুবাশ । এই নবযুগের স্বতীয় জ্ঞানের অণুবীক্ষণ সাহায্যে লুপ্ত অক্ষর উদ্ধার করিয়া প্রত্নতত্ব প্রকাশ করা চলে কিন্তু তাহাতে পুরাতন পুথির ভাব ও রস গ্রহণে কোন সহায়তা কবে না । শিল্পে ও তেমনি ভাবের চশম। ন লাগাইলে আমাদের কোন লাভেরই ठां*! नाझे । এখন প্রশ্ন হইতেছে যে, প্রাচীন সভ্যতার ও ভাবের সহিত যদি আধুনিক আমরা বিচ্ছিন্নই হইলাম তবে প্রাচীন শিল্পটাকেই বা ধরিয়া থাকিব কেন ? আমরা একটা নুতন অবস্থার উপযোগী নব শিল্পের অবতারণ। কেন না করি ? অবশ্য এ কথা গ্ৰাহ হইবে সেইদিন যেদিন আমরা নবভাবে এমনই অস্ত্র প্রাণিত হইব যে ভার স্তবাণী বলিয়া আমরা নিজেকে স্বপ্নে ও অনুভব করিতে পারিব না, ধে দিন আমাদের কাব্য সঙ্গীত আচার ব্যবহার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম আমাদের নিকটে অসভ্যেব খেয়াল কৌতুকের সামগ্ৰী মাত্র বলিয়া প্রতিপন্ন হুইবে । নব নব জ্ঞানের রেলগাড়িতে চলিয়া যে দ্রুত গতিতে আমরা অগ্রসর হইতেছি— তাহাতে সেদিনের আর বড় বিলম্ব নাই, কিন্তু অশোর বিষয় এই যে ভারতের কোটী কোট নরনারীর মধ্যে অতি অল্পসংখ্যক औद३ यहे भइषाबाम्न ििकफ्नै किमिग्राहि । দেশের কুলকামিনীগণের হস্ত হইতে সেই সত্যযুগের শঙ্খ আভরণ এখনও স্বলিত হয় নাই। বেদ ধ্বনিতে ব্রাহ্মণের এখনও আকাশ