পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्र8२ শচী বিরক্তির হদি হাসিল “আমিই বা করিচি কি ? সুবিধা হলেই আসচি, কখনও আপনাকে অমান্ত করিনি, আর কি করবো বলুন ।” ভক্তিনাথ চুপ কবিয়া বহিলেন, বলিদার মত এমন সত্যষ্ট কিছু ছিল না, কেবল মনের একটু পানি ক্ষোভ মাত্র। যাহাকে জন্মমুহূৰ্ত্ত হইতে জীবনের মধ্যে একটা মেহাধিকাব দিয়া আসিয়াছেন সে যদি সেট তুচ্ছ বলিয়া প্রতাপান করে তাহাতে স্বভাবতঃই মনে ক্লেশ হয়, ইহাতে আইনের দাবী নয় এ যে বুকে ব টান । “তবে এখনই আসচে ? মাসিমাকে আমার প্রণাম দিও, কল্যাণী সেখানে আছে বুঝি ? আশীৰ্ব্বাদ করচি তাকে বলো—” দাদাকে মুর ফিরাইতে দেখিয়া সেও একটু লজ্জামুভব কবিল। দাদা আজন্মই এইরূপে নিজেকে সংযত কবিতে অভ্যস্ত ইহা তাহার মনে পড়িল । মৃদ্ধ স্ববে সে কলি “আসি তপে দাদা আবার শীঘ্র একদিন আসবে। না হয় । বলেন তো কিছুদিন থাকা যাবে তখন,—এখন একটু কাজ আছে। বাবার চিঠি প্রেয়েছেন ?” চব্বিশ ঘণ্টার ভিতর এই প্রথম পিতাব সংবাদ লইবার কথা মনে পড়িল ! “পেয়েছি, ভাল আছেন । এসে তাহলে সুবিধা হলেই। দূবে থাক, মন তোমার কাছেই সৰ্ব্বদা পড়ে আছে, গিয়ে এক থানা পত্র দিও।” “দেবে,” এই বলিয়া কয়েক মুহূর্ত পরেই শচীকান্ত ভ্রাতার দৃষ্টিবর্হিভূত হইয় গেল । সেই দিকে কিছুক্ষণ চাহিয়া থাকিয় নেত্র ফিরাইয়া ভক্তিনাথ আবার একটা মৃদুশ্বাস ভাবতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ পবিত্যাগ করিলেন । শিশু ভ্রাতার সৌম্য সুকুমাব মূৰ্ত্তি, জ্যেষ্ঠের প্রতি অসহায় আত্মসমৰ্পণ মনে পড়িল । মানুষ কত বদলাইয়। যায় । তাহার মনের স্নেহ নিৰ্ব্বর আজও ঝরিতেছে কিন্তু সে ক্ষীবধারা আর শচীকান্ত স্পর্শ কবিতে ইচ্ছুক নয়। নাই হোক, ভাল থাক সুখী হোক, ভাই এর জন্ত ভাই আর কি কবিতে পাবে ! 8 2 মধ্যাহ্লে দাওয়ায় মাদুর পাতিয়া করাণীচবণ তাহাব সমান দরের একটি বন্ধু লইয়। বড়ে টিপিতেছিল এমন সময় বেড়ার পাশ একখানা সুন্দর তরুণ মুখ সেখানে দৃষ্টি প্রেবণ করিল। কলাঝাড়ে কদলীপুষ্প দোদুল্যমান, বেড়ার ধারে পালং বাতাসে মাথা লাইতেছে, মাচাভর! ল(উশাকের মধ্যে মধ্যে সাদাফুলের বাহার খুণিয়া দিয়া ছোট ছোট লাউ ধরিয়াছিল, থানকত উচ্ছিষ্ট বাসনকোসন লইয়া কমল৷ সেই ফসল ক্ষেতেব মধ্য দিয়া ঘাটের পানে চলিয়াছে, শচীকান্ত তাহা দেখিয়া অন্তরালে সবিয়া দাড়াইল – পল্লীগ্রামে গৃহস্থ গৃহে লক্ষ্মীপূজা হয় সে দেখিয়াছিল ; অগ্রগয়ণ মাসে লক্ষ্মীপূজায় তাহার মা “তিল-সোনার” কথা বলিতেন, ছোট বেলায় সে তাহ অনেকবার শুনিয়াছে, সে কাহিনীর মধ্যে তিলফুল তোলার প্রায়শ্চিত্ত হেতু বৈকুণ্ঠবাসিনী নারায়ণীকে দরিদ্র-ব্রাহ্মণগৃহে দাসীবৃত্তি করিতে হইয়াছিল ; সেই গল্পটা আজ অকস্মাৎ সূর্থেকভাবে তাহার মনে জাগিয়া উঠিল। কি পাপে এই লক্ষ্মীস্বরূপ কমলাকে হইতে