পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা এ উদ্ধৃবৃত্তি অবলম্বন করিতে হইয়াছে ? তবু মুখ লোকে বলে ঈশ্বৰ আছেন! অদুব পুষ্করিণীর ভয় সোপান অবতৰণ কবিয়া জলেব মধ্যে কিশোরী বাসন বাখিল । হাত ধুইয়া একবাব চারিদিকে চাহিয়া দেখিল, তারপব,—কোথা গেল সে ? শচীক স্ত উংমুক দৃষ্টি বিস্তৃত করিয়াও আব তাহাকে দেখিতে পাইলন, জলে অবগাহন করিয়া থাকিবে ভাবিয়া সেখান হইতে অপস্থত হইল। মধুব স্বপ্ন উপভোগান্তে নিদ্র।ভঙ্গ হইলে যেমন মনে একটা বিশেষ তৃপ্তি বোধ হয় তেমনই একটি প্রসন্ন তাব আনন্দ লইয়া সে কবালীচবণেব সহিত সাক্ষাৎ মানসে অগ্রসর হইল । মাঝখানেব মানসিক সংগ্রাম, সেই মুহূর্তে যেন যাদু মন্ত্রে তাহাব স্মৃতি হইতে মুছিয়া গিয়াছিল। করলীেচরণ বড়েব চাল ভুলিয়া আহলাদে লাফাইয়া উঠিয়া কহিল “আমুন, আসুন, কাল থেকে কেবল আপনাব কথাই ভেবেচি। ওহে নৃসিংহ । এখন ত৷ হলে তুমি এসে গিয়ে, থেলাটা এখন ত আর হলে না, রাত্তিবে তখন তোমাব গিয়ে শোধ দেওয়া যাবে। তারপর শচীকান্ত বাবু! কি মনে কবে ?” আবার সেই মনের উপর আক্রমণ ! শচীকাস্তের আললাটকণ্ঠ রভুবর্ণ হইয়া উঠিল, “বিশেষ কিছু নয়, দেখা হয়েছিল তাই একবার —” “বটে বটে এমনই আমার সৌভাগ্য, বমন, বমন, কম্‌লি কোথা গেল পান এনে ধিক্ না,—” অকস্মাৎ সস্কুচিত শ্রোতা এমন করিয়া চমকিয়া উঠিল যে, যেন সে গুপ্ত ঘাতকের তাহাব বাগদত্তা ન્દિડ. ছুরিব আঘাত পাইয়াছে, আকস্মিক ক্রোধের উচ্ছ,াসে তাহার সমুদয় মুখখান অরুণাচলের মন্ত লোহিত হইয়া গেল, সে দুই পদ পিছাইয়া তীব্রম্ববে কহিয়া উঠিল “ছিঃ-—” করালীচবণ এ অকস্মাং ভাব পরিবর্তনের কারণ খুজিয়া পাইল না । বিস্ময়ে সে তাহার ক্ষুদ্র চক্ষু টানিয়া ডাগর কবিল “রাগ করলেন কেন ? কিছু অলেহ বলেচি ? মুখ্য সুমু মানুষ ও সব ধৰ্ত্তব্য কববেন না, আপনার ইয়ং ম্যান ইংরিজীশেখা, আমরা সেকেলে ;–বেফাঁস বলা রোগ আমাদের । তা যা হোক শচীবাবু যখন দয়া কবে পা’র ধূলো দে’ছেন তখন এ গরীবের একটি উপকাব করুন । আমি ছা পে{য| কোথা থেকে বাইরের লোক পুষি বলুন ? শিবনারাণ বাবু যখন কমলকে নিতে চান না তখন কাহাতক আমি অব তাদেব পায়ে তেল দিতে থাকবে ? একটি যোগ্য পাত্তব খুঁজে দিন, মেয়েও তো বড় সড় হয়েচে, দু হাত এক করে দিয়ে নিশ্চিন্ত হই ।” কোথায় বিরক্তি, কোথায় ক্রোধ ! হৃদপিণ্ড হইতে নির্গত শোণিত পুনরায় নিজ স্থানে প্রত্যাবৃত্ত হইয়া আছড়াপাছড়ি করিতে লাগিল, সে বহুক্ষণ নীরব থাকিয়া হঠাৎ বলিয়া ফেলিল “সেটা কি উচিত !” “কেন নয় মশাই ? ষোল বছরের মেয়ে ! র্তাব জানেন ন মাথায় কি ভার ? চিঠির উত্তবটাও দেওয়া দরকার বোধ করলেন না তো, সে দিনও তো স্পষ্ট বলেচেন—” অতি কষ্ট্রে শচীকান্ত রুদ্ধ প্রায় কণ্ঠে উচ্চারণ করিল “কি ?” “কেম বলেছেন যার ভাগ্যে যা আছে