পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা ও পাঞ্চজন্য একসঙ্গে বাজিয় উঠল, লাজবর্ষিত গন্ধহীন পদ্ম, ও জীবন শৃষ্ঠ ভ্রমব অঙ্কিত পথের দুইপাশে নারীবাহিনী উন্মুখ ছষ্টয়া বাহিবেব পানে চাহিয়া দাড়াইল, ছেলেব অসহিষ্ণু হইয়া ব্যস্ত দিয়া ছুটয়ছিল। বব কনেব যান আসিয়া দ্বাবে থামিল ।” ওম! একি গো ! এ কি কনে । এ যে সাত ব্যাটাব মা ধেড়ে মাগী –“হবি বলে। কে এই কনে তুলে কোমব ভাঙ্গবে, ওলো কল্যাণি । তাত ধবে নে আয়, কনে তোব মতন সাতটাকে চেপে মেবে ফেলতে পাবে ।” "একে তো এই বুড় কন্তে তবে ওপব চাটু ঢেকে বস্তর ও জোটেনি।” ‘পায়ে গাছ মলও দ্যায়নি গা, অবাক –গিবি জ। স্ন দেবী বিস্ময়ে নিৰ্ব্বাকৃ হইয়। যথাস্থানে দাড়াইয়া বঙ্গিলেন, এই বধূ ঘবে আসিল ! কাহাব মুখে তিনি হাত চাপা দিয়া লেড়াইবেন ? শচী কবিল কি ? শুধু কল্যাণীই কোন বধ৷ মানিল না, একেবারে দ্বিধাশূণ্ঠ চিত্ত্বে সে গিয়া বধূব হাত ধবিল। বিলম্ব সহিতে না পাবিয়া সেইখানেই সে বধূব মুখেব অববণ তুলিয়৷ তাহার মুখে উৎসুক দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া স্মিত হাস্তে কহিল “এসে লক্ষ্মী এসে"। কিন্তু গিবি জা সেই উন্মোচিত অবগুষ্ঠিত নববধূব মুখেব দিকে চাহিয়া অকস্মাৎ শিহরিয়া উঠিয়ছিলেন তাহার মনে হইল কবর খনন কবিয়া শচীকান্ত একটা বহুদিনের মৃত নারীকে কোন যাদুমন্ত্র প্রভাবে তাহার পাশ্বে উত্তোলন কবিয়া আনিয়াছে। কি একটা অজ্ঞাত ভয়ে তাহাব বক্ষ স্পন্দিত হইয়া উঠিল । সুযোগমত শিশিব কল্যাণীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া বলিল “এ বিয়ের সবই যেন হেঁয়ালি দেখচি; বউ কেমন বাগদত্ত৷ లా6 দেখলে ?” কল্যাণী অকপটে উত্তব করিল “কেন চমৎকার । দাদা সাধে পাগল হয়েছিল ।” শিশিব এই সবলতাব প্রতিমাকে তাহাব সংশয়াকুল চিত্তের বৃথাভাবে ভাবাত্রণ স্ত করিতে চাহিল না, সে শুধু কহিল “কে জানে এসব কি রকম!” “কি রকম ?” “না এমন কিছু নয়, মেয়েটিব বোধ হয় মৃগী বেগে আছে, সাবধানে বেথ, সম্প্রদান টান সমস্তই মুৰ্চ্ছার মধ্যে হয়েচে।” গিবি জাম্বন্দবী কণ্ঠকে ডাকিয় গোপনে কহিলেন “শচী কি কা গুটাই করলে এমন লোকের কাছে মুখ পাওয়া দায়, তবে ওপোব একটা বদ্ধ পাগল এত স্বষ্টি কবে জোটালে ! আমার যেন মাথামুড় খুড়তে ইচ্ছে করচে ।” কমলার অসামান্ত সৌন্দর্য্য কল্যাণীর ংসাব অনভিজ্ঞ কিশোব চিত্তের উপর মায়। যষ্টি স্পর্শ করাইয়াছিল। সে ব্যথিত হইয়৷ কেবলমাত্র কহিল “না মা বউ খুব ভাল হয়েচে পথে'ব কষ্টে নিশ্চয় আজ ও রকম হয়ে অাছে, কাল দেখে বেশ সহজ লোকের মত হয়ে যাবে।” কিন্তু সে রাত্রিব অবসানে পূর্ণ একটা দিন চলিয়া গেল তথাপি নববধূব মধ্যে পরিবর্তনেব লেশ দেখা গেল না, সেই একই উদভ্ৰান্তভাব, অর্থহীন দৃষ্টি, বর্ণললিত্য ঘুচিয়া গিয়া একটা শুভ্র বিবর্ণত ক্রমেই তাহার ললাট গণ্ডে বিস্তুত হইতেছিল, পাড়াব ছোট ছোট বধূ ও কস্তাগণ বিবিধ উপায় অবলম্বনেও যখন সেই পাংশু ওষ্ঠ হইতে এক বর্ণাত্মক একটি শব্দও