পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্য, অষ্টম সংখ্যা ভাবিতে গেলে স্বর্য্যের মধ্যে যে কাণ্ড হইতেছে পৃথিবীব সৰ্ব্বত্রই সৰ্ব্বস্থানে সকল বস্তুর মধ্যে অহরহ প্রায় ঐকুপই কাণ্ড ঘটিতেছে। আমবা ইতস্ততঃ যে সকল বস্তু দেখিতে পষ্ট তাহার কোন অংশ কোমল, কোন অংশ কোন অংশ বাষ্পীয় । জীবদেহ ও উদ্ভিদ লতাপাত প্রভৃতি সমুদয়েবই নিৰ্ম্মাণ এইরূপ। মনুষ্য দেহে অস্থি কঠিন, মাংস কোমল, রক্তরস তবল ও ফুসফুসে বায়বীয় পদার্থ বিদ্যমান । এতদ্ব্যতীত যে কতকগুলি জীবন্ত বস্তুব সমষ্টিতে প্রত্যেক দেহ নিৰ্ম্মিত, তহবি প্রত্যেকটিকে দেখিতে গেলে পৃথক পৃথক বস্তু বলিযা বোধ হয়। যথা দেহ কোষ, রক্তের শ্বেত আবে সূক্ষ্মরূপে প্রত্যেক অংশই তরল, ভিন্ন ভিন্ন কবিয়া মূধ্যস্থ ভিন্ন ভিন্ন কণিকা, বক্তকণিকা, দেপিতে গেলে শবীবের জীবন্ত পদার্থেব সমষ্টি, তাহীদের প্রত্যেককে ভিন্ন পদার্থ বলিলেও বলা যায় ; পক্ষান্তরে আমরা সেই ভিন্ন ভিন্ন জীবন্ত পদার্থের সমষ্টিকে “আমি” বলিয়া মনে কবি । এই এইরূপ । যথা স্থান তরল, অনন্ত সৌরজগতেবও নিৰ্ম্মাণ কোন স্থান কঠিন, কোন কোন স্থান বাষ্পীয়, এবং সকল স্থানই স্বাক্ষ ইথারের অন্তর্গত। যদি আমব ! বিদ্যুৎবেগেও উত্তর দিকে চলিতে থাকি তাহ হইলেও অনন্ত কোটি কোটি বৎসরে তাহাব অস্ত পাইব না। সেইরূপ দক্ষিণ, পূৰ্ব্ব পশ্চিম প্রভৃতি সকল দিকই অসীম অনন্ত । তথাপি যেরূপ আমার দেহকে একটি ভিন্ন বস্তু বলিয়া মনে করি সেইরূপ পূৰ্ব্ববর্ণিত অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডকেও বৈজ্ঞানিক অদ্বৈতবাদ ケ23 একটিমাত্র বস্তু বলিয়া মনে করা যাইতে পাবে । - এই অনন্ত অসীম বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তর্গত প্রত্যেক পরমাণুরই একটা শক্তি আছে, শক্তি ছাড়া পবমাণু হয় না, পরমাণু ছাড়াও শক্তি হইতে পারে না । সুতরাং যদি কেহ পরমাণুকে শক্তি হইতে তফাৎ করিয়া শক্তিকেই বা পরমাণুকেই ঈশ্বর বলিয়া কল্পনা করেন, তবে বিজ্ঞান বলিবে তাই ভুল। প্রকৃত পক্ষে ধরিতে গেলে হিন্দু বা পবমাণুকে শিব এবং গুণকে শক্তি বলিয়| আদ্যশক্তি রূপে পূজা থাকেন । সুতরাং এহিসাবে সমুদয় অখিল ব্রহ্মাণ্ড শিব ও শক্তি ভিন্ন অব কিছুষ্ট নয়। অথবা এক ব্ৰহ্ম বই দ্বিতীয় আর কিছুই নাই— অর্থাৎ স্থাবব, জঙ্গম, খেচর, ভূচব, আকাশ নক্ষত্র, চন্দ্র, স্বৰ্য্য, যত কিছু সমুদয়ই ঈশ্বব ব্যতীত কিছুই নহে । এইজন্তই বোধ হয় ঈশ্ববেব স্তবে বলা হয়, তুমি ব্রহ্মা, তুমি বিষ্ণু, তুমি শিব, তুমি চন্দ্র, তুমি স্থৰ্য্য, তুমি বায়ু, তুমি বরুণ, তুমি স্থাবর তুমি জঙ্গম, ইত্যাদি । আবার চণ্ডীতে বলা হইয়াছে “নমস্তস্মৈ, নমস্তস্মৈ, নমস্তস্মৈ, নমো নমঃ, যা দেবী সৰ্ব্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিত। “নমস্তস্মৈ নমস্তস্মৈ, নমস্তস্মৈ নমো নমঃ যাদেী সৰ্ব্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেন সংস্থিত।” এইরূপে ছায়া, লজ্জ, আলো ইত্যাদিকে ও উহার মধ্যে স্থানদান কবা হইয়াছে তাঙ্গ হইলে এই অনন্ত অখিল ব্ৰহ্মা গু মধ্যে ঈশ্বব ব্যতীত বাকি কি রঙ্গিল ? মোটামুটি বলিতে গেলে কিছুই রহিল না । আবার মোসলমান ধৰ্ম্মের প্রথম কথাই করিয়া