পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 8 তাহার একইরূপ অর্থ, যথা “লাষ্টণাঙ্গ ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদ রসুলপ্লাহু” ইঙ্গর অর্থ "ঈশ্বর ব্যতীত আর কিছুষ্ট নাই।”

          • There is nothing but God :

“কলেম।” | সেক্টরূপ ভাবে একজন অদ্বৈতবাদী বলিলেন “শিবেই মৃ” অর্থাৎ আমি ঈশ্বব। সমুদ্র হইতে এক কলসী জল উঠাইলে উঙ্গ একটি ভিন্ন পদাৰ্থ বলিয়া অনুমিত হয়, কিন্তু কলসী ভাঙ্গিয় দিলে পুনবায় সমুদের জল সমুদ্রেষ্ট মিলিত হয়, পৃথক ভাব থাকে না, সেইরূপ মনুষ্য জীব জন্তু প্রভৃতি সমুদয় বস্তুষ্ট যাহা একবাব ভিন্ন বস্তু বলিয়া মনে হয়, তাহ। আপাব সেই অনন্ত ঈশ্ববেই বিলীন হইয় পড়ে। ত{হা হইলে এক্ষণে বলিতে হইবে সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই ঈশ্বর । অধিকাংশ লোকে বলেন যে, “ঈশ্বব সমুদয় পদার্থেব স্বষ্টিকর্তা । তাঙ্গা হইলে তিনি কোথায় থাকিয়! কিরূপে এসকল স্বষ্টি করিলেন ? এই অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে শূন্ত স্থান নষ্ট, তাহাব থাকার স্থান কোথায় ? ঈশ্ববেব স্বাষ্ট কৰ্ত্ত কে” ? ইক্তার উত্তরে অনেকে বলিতে পারেন যে চৈতন্তস্বরূপ নিরাকার ঈশ্বরের তার থাকার স্থানের প্রয়োজন কি ? তিনি সৰ্ব্বত্রই বিদ্যমান আছেন। তাহা হইলে প্রকারান্তবে হিন্দু দিcগর সেই আদ্যশক্তিই আসিয়া পড়িল, অর্থাৎ প্রত্যেক পরমাণুব অন্তবলে যে শক্তি নিহিত আছে, সেই শক্তিই আদ্যশক্তি ; এবং তাঁহাই ব্রহ্মদিগের নিরাকাব চৈতন্তস্বরূপ সৰ্ব্বব্যাপী পরমেশ্বর । বিজ্ঞানের মতে এ শক্তি “পরমাণুর* সহিত সম্বন্ধযুক্ত। তাহা হইলে সেই পূৰ্ব্বকথা আসিয়া পড়ে, আধার ব্যতীত শক্তি থাকিতে পারে না । সেই আধাররূপ পরমাণুই তাহা ভারতী अ5श्झ%, ०५२० হক্টলে শিব ও তাইণদের শক্তিই আদ্যশক্তি অথবা পরমেশ্বর । বস্তুত বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে শিব ও শক্তি পৃথক নহে তাহাই ঈশ্বর । কিম্বা অন্তভাবে বলিতে গেলে অনন্ত, অসীম, অনাদি, অনশ্বব, অপৰিমিত শক্তিস্বরূপ, নিপিল ব্ৰহ্মা গুই সৰ্ব্বশক্তিমান, পরমেশ্বব । ঈশ্বর “স্বয়স্তৃ” এই কথাব উত্তর দেওয়া হয় নাই। বিজ্ঞান-জগতে স্বষ্টি ও লয় বলিয়া কিছুই নষ্ট । অর্থাৎ কোন বস্তু স্বষ্টিও হইতে পাবে না ধ্বংসও হইতে পাবে না ; তবে অবস্থাব পবিবর্তন হয় মাত্র। একটি দৃষ্টান্ত দিলে এ বিষয় সম্পূর্ণ বোধগম্য হইবে । যথা এক খণ্ড কাষ্ঠ অগ্নিতে দাহন কবিলে উহার অক্সিজেনের সহিত মিলিত হইয়৷ কাৰ্ব্বন ডাইঅক্সাইড (Carbon dyoxcied) রূপে আকাশে উডডীয়মান হয়, কতক অংশ বাষ্পরূপে পরিণত হয় ও অবশিষ্ট ভষ্মরূপে অবস্থান করে। ইহার কোন অংশই একবারে ধ্বংস হয় না,—অথবা কোন অংশ ধবংস করা কাহারও সাধ্যায়ত্ত নহে । সেইরূপ কোন বস্তু স্বষ্টি করাও কাহার সাধ্যায়ত্ত নহে বা স্বষ্টি হওয়াও সম্ভবপর নহে। তবে এই পৰ্য্যন্ত হইতে পারে যে মাটী দিয়া একটি ঘট প্রস্তুত করিতে পারা যায়। কিন্তু বিনা মাটীতে ঘট প্রস্তুত করিতে পরিলে তাহাকেই স্বষ্টি বলা যাইতে পারে। এইরূপ স্বষ্টি হওয়া বিজ্ঞানের মতে একেবারেই অসম্ভব । তবে যে সকল বস্তু বর্তমান আছে তাহারই অবস্থার পরিবর্তন হয় মাত্র । তাই বলিতে হয়, ঈশ্বর অনন্তকাল - হইতেই আছেন ও থাকিবেন। স্বষ্টিও হয় নাই ধ্বংসও হইবে না । ” কতক অংশ