পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা এস্থলে আর একটি কথা এই যে প্রত্যেক পৰমাণুকে আমবা সাধারণ ভাবে যেরূপ নির্জীব জড় পদার্থ বলিয়া মনে করি বাস্তবিক তাঙ্গ নহে। প্রত্যেক পরমাণুবই শক্তি আছে ও জীলন্ত পদার্থের দ্যfয় তাহ কৰ্ম্মঠ ও বুদ্ধিমান। তাহাব সহজ দৃষ্টান্ত এই যে, গর্ভেব মধ্যে যখন অণ্ড শুক্র কীটের সহিত সংযুক্ত হইয় ভৌতিক নিয়মে পবিবৰ্ত্তিত পরিবৰ্দ্ধিত ও গঠিত হয়, তখন তাহাতে একটি চমৎকার বুদ্ধির কাৰ্য্য দেখিতে পাওয়া যায়। চক্ষু সম্বন্ধে দেখ– কোন জীববস্তুবই চক্ষু পায়েব তলায় হয় না ; উহ! এমন স্থানে রক্ষিত, যাহাতে চতুর্দিকে ভালরূপে দৃষ্টি করা যায়। আবাব আবে। স্বাক্ষরূপে দেখিতে গেলে তাহার মধ্যে (Iris) আইরিস নামে একটি পর্দা আছে, যাহাব মধ্যস্থিত ছিদ্র দিয়া অালে চক্ষুব মধ্যে প্রবেশ কবে, যদি এই আলো প্রখর হয়, তাহা হইলে ঐ ছিদ্রটি প্রতিফলিত ক্রিয় দ্বারা সঙ্কুচিত হইয়া অতিবিত্ত আলোককে চক্ষুর মধ্যে প্রবেশ কবিতে দেয় না। সেইরূপ যখন পাকাশয় শক্ত বস্তু পরিপাক করিবার উপযুক্ত হয়, তখনই দন্তোদগম হয়, এই সকল দম্ভেব মৌলিক অংশ মাড়িব ভিতর অবস্থান কবে, সময় অনুসারে বাহিরে বহির্গত হইয়া উহার নিজ নিজ কার্য সম্পাদন কবে । এইরূপে মনুষ্য-দেহের প্রত্যেক অংশেব কাক কর্য্যেই বুদ্ধির সমাবেশ দেখা যায়। তবে পরমাণুসমাবেশের তারতম্য অনুসারে বুদ্ধিবিকাশেব তারতম্য দেখিতে পাওয়া যায়। ঘথ পরমাণু সমাবেশেব তারতম্য অনুসারে বিভিন্ন মস্তিকে বুদ্ধি, বিচক্ষণত, ধাবণ, মেধা, বিচারশক্তি প্রভৃতিব তারতম্য হইয় বৈজ্ঞানিক অদ্বৈতবাদ br © ☾ থাকে। আবাব যখন মৃত্যুর পর এই সমবেশ বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়, তখন ঐ সকল পরমাণু নিৰ্জ্জীব, বুদ্ধিহীন, মৃত্তিকালং হষ্টয় মৃত্তিকায় মিশিয়া যায়। পুনরায় ঐ সকল পরমাণু ভিন্ন ভিন্ন জীব, জন্তু, উদ্ভিদ প্রভূতিব দেহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাঙ্গদের অবস্থানুসাবে ভিন্ন ভিন্ন শক্তিব ও বুদ্ধির পবিচয় দেয়। কোন কোন বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিত বৃক্ষ লতা দিব অনুভব শক্তি প্রমাণ কবিয়াছেন । এমন কি জড় পাপব ও একে বাবে অনুভব শক্তিবর্জিত নহে বলিয়াই অনেকে মনে করেন । কেত বলিতে পাবেন, আমি একটি ভিন্ন বস্তু, সে অব একটি, ইত (বা যদি সকলেই ঈশ্বব হন, তাহ হইলে “আমি” তুমি” এই জ্ঞান কেন ? ইহাব উত্তর এক্ট, কেবল অল্পকালের জন্য পবমাণু সমাবেশের বিভিন্নতা বশ তঃ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি বা জীবজন্তু প্রভৃতি প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন মন কবে, কিন্তু কালেব গতিতে সেই ভিন্নভােব কিছুকাল পবে পুনবায় বিলীন হইয়া যায়। যেমন সমুদ্র হইতে এক বোতল জল উঠাইয়া আনিলে উষ্ঠা সমুদ্র হষ্টতে পৃথক্ বলিয়া বোধ হয়, আবার বোতল ভাঙ্গিয় দিলে, সমুদ্রেব জল সমুদ্রে গিয়া এক বিস্তীর্ণ জলরাশিতে বিলীন হইয়া এক তুষ্টয়া যায়, আমাদেৰ দেঙ্গ ও কিছুকাল পবে সেইরূপ অবস্থাতে পরিণত হয়, তখন আগব “আমি” বলিয়া একটি ভিন্ন বস্থজ্ঞান থাকে না । আমি যাহাকে “আমি” বলি তাঙ্কণর মধ্যে ও চিন্ত কবিয়া দেখিলে অমাব দ্যায় অনেক আমির সমষ্টি বোধ হইবে। যথা আমার দেহের কোষ, রক্তকণা, cool (phaguacyte) Cofiññā, (anti